ঢাকা ০৭:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

মাদ্রারাসা ছাত্রীকে নিয়ে ঘুরাঘুরি, বিয়ের প্রলোবনে ধর্ষণ, গ্রেফতার ১

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:১৮:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মার্চ ২০২৩ ১০৮২০ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসাসা ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগে উঠেছে আরিফ উদ্দিন (২২) ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় হেজু নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সকালে এবিষয়ে হাতিয়া থানায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ৩জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনদমন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেন।

 

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের শরীফ মার্কেটের পাশে পরিত্যাক্ত একটি বাড়িতে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে।

 

মামলার ১নং আসামী আরিফ উদ্দিন (২২) হাতিয়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের লক্ষীদিয়া গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে। সহযোগী মো: হারুন (২৮) বুড়িরচর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কালীরচর গ্রামের মো: হেজু মাঝির ছেলে। আটক অপর সহযোগী অটো রিক্সা চালক মো: হেজু (২৬) বুড়িরচর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কালীরচর গ্রামের মো: নুরুল আমিরের ছেলে।

 

মামলার বাদী মাদরাসা ছাত্রীর বাবা বলেন, আমার মেয়ে হাতিয়া দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে। গত বৃহস্পতিবার সকালে সে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে ১ ও ২ নং বিবাদী আরিফ, হারুন মাদ্রাসার সমানে আসিয়া তাকে ফুসলাইয়া প্রলোভন দেখাইয়া ৩নং বিবাদী হেজুর অটো রিক্সা করিয়া প্রথমে লালচর তারপর কমলার দিঘীর এলাকায় গুরাগুরি করিয়া সন্ধ্যার সময় শরিফ মার্কেটের পাশে পরিত্যাক্ত একটি বাড়ীতে নিয়া আটক করে। এসময় হারুন ও হেজুর সহযোগীতায় আরিফ আমার মেয়েকে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করেন।

 

তিনি আরো জানান, পরের দিন সকালে তারা আমার মেয়েকে বুড়িরচরের ধনুমার্কেট আমার মেয়ের বান্দবীর বাড়ীর সামনে রেখে যায়। তাকে চট্টগ্রাম নিয়ে বিয়ে করার প্রলোভন দেখার এবং ধর্ষণের কথা কাউকে বলতে নিষেধ করে, করলে তার অনেক বড় ক্ষতি করে পেলেবে বলে হুমকি দেয়। পরে মেয়ে বাড়িতে আসলে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে তার মায়ের কাছে ঘটনাটি বলে। তখন আমার স্ত্রী আমাকে বিষয়টি জানালে আমি চট্টগ্রাম থেকে এসে সমাজের সকলকে জানায়, পরে সবার পরামর্শে থানায় মামলা করি।

 

এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। মামলার ৩নং আসামী হেজুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপার আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। ভিকটিমকে মেডিকেল পরিক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

মাদ্রারাসা ছাত্রীকে নিয়ে ঘুরাঘুরি, বিয়ের প্রলোবনে ধর্ষণ, গ্রেফতার ১

আপডেট সময় : ০৭:১৮:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মার্চ ২০২৩

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসাসা ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগে উঠেছে আরিফ উদ্দিন (২২) ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় হেজু নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সকালে এবিষয়ে হাতিয়া থানায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ৩জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনদমন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেন।

 

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের শরীফ মার্কেটের পাশে পরিত্যাক্ত একটি বাড়িতে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে।

 

মামলার ১নং আসামী আরিফ উদ্দিন (২২) হাতিয়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের লক্ষীদিয়া গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে। সহযোগী মো: হারুন (২৮) বুড়িরচর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কালীরচর গ্রামের মো: হেজু মাঝির ছেলে। আটক অপর সহযোগী অটো রিক্সা চালক মো: হেজু (২৬) বুড়িরচর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কালীরচর গ্রামের মো: নুরুল আমিরের ছেলে।

 

মামলার বাদী মাদরাসা ছাত্রীর বাবা বলেন, আমার মেয়ে হাতিয়া দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে। গত বৃহস্পতিবার সকালে সে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে ১ ও ২ নং বিবাদী আরিফ, হারুন মাদ্রাসার সমানে আসিয়া তাকে ফুসলাইয়া প্রলোভন দেখাইয়া ৩নং বিবাদী হেজুর অটো রিক্সা করিয়া প্রথমে লালচর তারপর কমলার দিঘীর এলাকায় গুরাগুরি করিয়া সন্ধ্যার সময় শরিফ মার্কেটের পাশে পরিত্যাক্ত একটি বাড়ীতে নিয়া আটক করে। এসময় হারুন ও হেজুর সহযোগীতায় আরিফ আমার মেয়েকে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করেন।

 

তিনি আরো জানান, পরের দিন সকালে তারা আমার মেয়েকে বুড়িরচরের ধনুমার্কেট আমার মেয়ের বান্দবীর বাড়ীর সামনে রেখে যায়। তাকে চট্টগ্রাম নিয়ে বিয়ে করার প্রলোভন দেখার এবং ধর্ষণের কথা কাউকে বলতে নিষেধ করে, করলে তার অনেক বড় ক্ষতি করে পেলেবে বলে হুমকি দেয়। পরে মেয়ে বাড়িতে আসলে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে তার মায়ের কাছে ঘটনাটি বলে। তখন আমার স্ত্রী আমাকে বিষয়টি জানালে আমি চট্টগ্রাম থেকে এসে সমাজের সকলকে জানায়, পরে সবার পরামর্শে থানায় মামলা করি।

 

এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। মামলার ৩নং আসামী হেজুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপার আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। ভিকটিমকে মেডিকেল পরিক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।