ঢাকা ০৪:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

ভাগনের রডের আঘাতে ফুফার মৃত্যু, গ্রেফতার পাঁচ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:১৮:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৩ ১২৮২৮ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ভাগনের লোহার রডের আঘাতে ফুফার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।

 

নিহত মো. হোসেন (৬৬) উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আব্দুল খালেক মিয়ার বাড়ির বাসিন্দা। রোববার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে আসামিদের গ্রেফতার দেখিয়ে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে, গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আব্দুল খালেক মিয়ার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

 

গ্রেফতারকৃতরা হলো, উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আব্দুল খালেক মিয়ার বাড়ির জাহিদ হাসান (১৯) আহসান উল্যাহ সাজু (২৬), আনোয়ার হোসেন (৬৫), মেহেদী হাসান (২১) ও উপজেলার মুছারপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মুন্সি সওদাগর বাড়ির মো. ইসমাইল (৩৩)।

 

নিহত বৃদ্ধার ছেলে মোতাহের হোসেন জানান, তারা তার নানার বাড়িতে স্থায়ী ভাবে বসবাস করে। তার মামাতো বোনের জামাই মো. ইসমাইল (৩৩) মোবাইলে তার সমন্ধি আহসান উল্যাহ সাজু (২৬) কে জানায় তার ভাই মেহেদী হাসানের (২৭) পারিবারিক বিষয়ে তার শ্বশুর বাড়িতে বিভিন্ন কটু কথা বলে আমার মা রোকসানা বেগম। এরপর আহসান উল্যাহ ও তার পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি যাচাই বাচাই না করে বাড়ির উঠানে প্রকাশ্যে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে। তখন তাদের কাকা আব্দুর রহিম (৪৫) বাধা দিতে গেলে তাকে তার ভাতিজারা হত্যার হুমকি দেয়। এ ঘটনা নিয়ে বাড়ির উঠানে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বাকবিতন্ডা দেখা দেয়। এক এপর্যায়ে আমার বাবা মো. হোসেন বিষয়টি মীমাংসার জন্য ঘটনাস্থলে গেলে তার ভাগনে জাহিদ হোসেন তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে তাকে মাথায় আঘাত করলে কপালের মাঝের বাম পার্শ্বে পড়ে গুরুতর জখম হয়। আরেক ভাগনে আহসান উল্যাহ সাজু পিছন থেকে বাবার পিঠে সজোরে লাথি মারে। এতে তিনি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক এসে তাকে মৃত ঘোষণা করে। স্থানীয় লোকজন তার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আসামিদের তাদের ঘরে আটকে রেখে পুলিশ এবং স্থানীয় চেয়ারম্যানকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ উত্তেজিত জনতার কবল থেকে আসামিদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

 

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মোতাহের হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। অপরদিকে, রোববার সকালের দিকে ভিকটিমের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

ভাগনের রডের আঘাতে ফুফার মৃত্যু, গ্রেফতার পাঁচ

আপডেট সময় : ০১:১৮:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৩

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ভাগনের লোহার রডের আঘাতে ফুফার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।

 

নিহত মো. হোসেন (৬৬) উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আব্দুল খালেক মিয়ার বাড়ির বাসিন্দা। রোববার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে আসামিদের গ্রেফতার দেখিয়ে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে, গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আব্দুল খালেক মিয়ার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

 

গ্রেফতারকৃতরা হলো, উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আব্দুল খালেক মিয়ার বাড়ির জাহিদ হাসান (১৯) আহসান উল্যাহ সাজু (২৬), আনোয়ার হোসেন (৬৫), মেহেদী হাসান (২১) ও উপজেলার মুছারপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মুন্সি সওদাগর বাড়ির মো. ইসমাইল (৩৩)।

 

নিহত বৃদ্ধার ছেলে মোতাহের হোসেন জানান, তারা তার নানার বাড়িতে স্থায়ী ভাবে বসবাস করে। তার মামাতো বোনের জামাই মো. ইসমাইল (৩৩) মোবাইলে তার সমন্ধি আহসান উল্যাহ সাজু (২৬) কে জানায় তার ভাই মেহেদী হাসানের (২৭) পারিবারিক বিষয়ে তার শ্বশুর বাড়িতে বিভিন্ন কটু কথা বলে আমার মা রোকসানা বেগম। এরপর আহসান উল্যাহ ও তার পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি যাচাই বাচাই না করে বাড়ির উঠানে প্রকাশ্যে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে। তখন তাদের কাকা আব্দুর রহিম (৪৫) বাধা দিতে গেলে তাকে তার ভাতিজারা হত্যার হুমকি দেয়। এ ঘটনা নিয়ে বাড়ির উঠানে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বাকবিতন্ডা দেখা দেয়। এক এপর্যায়ে আমার বাবা মো. হোসেন বিষয়টি মীমাংসার জন্য ঘটনাস্থলে গেলে তার ভাগনে জাহিদ হোসেন তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে তাকে মাথায় আঘাত করলে কপালের মাঝের বাম পার্শ্বে পড়ে গুরুতর জখম হয়। আরেক ভাগনে আহসান উল্যাহ সাজু পিছন থেকে বাবার পিঠে সজোরে লাথি মারে। এতে তিনি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক এসে তাকে মৃত ঘোষণা করে। স্থানীয় লোকজন তার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আসামিদের তাদের ঘরে আটকে রেখে পুলিশ এবং স্থানীয় চেয়ারম্যানকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ উত্তেজিত জনতার কবল থেকে আসামিদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

 

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মোতাহের হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। অপরদিকে, রোববার সকালের দিকে ভিকটিমের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।