ঢাকা ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মালিকানা ছিনতাই করেও এনসিপি সংগঠন হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে: নাছির Blind Amjad receives Eid gift from Tarique Zia জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দৃষ্টি হারানো আমজাদ পেলো তারেক জিয়ার ঈদ উপহার ভাড়াটিয়ার দোকানে তালা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা School student murdered in trivial incident: Police unravel mystery নোয়াখালীতে তুচ্ছ ঘটনায় স্কুল ছাত্র খুন: রহস্য উদঘাটন করল পুলিশ তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে কবিরহাটের ইতালি মার্কেটে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ নিখোঁজের ২ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে কবিরহাটের পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ নিজ এলাকায় হামলার শিকার এনসিপি নেতা হান্নান মাসুদ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আহত-১৫

ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে মহিলাদের গোসলের ভিডিও ধারণ, বাধা দেওয়ায় হামলা-মামলার অভিযোগ

নোয়াখালী প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৭:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৪২ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় ড্রোন ক্যামেরা উড়িয়ে মহিলাদের গোসলের ভিডিও ধারণ করার সময় বাঁধা দিলে হামলা ও মিথ্যা মামলার শিকারের অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

 

গত ১৩ ফেব্রুয়ারী বিকেলে উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের উত্তর জগদানন্দ গ্রামে ফাতেমার বাপের বাড়ি, রিপনের বাড়ি ও মাসুদের বাড়িতে এ ড্রোন উড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। পরে ড্রোণ উড়ানোর জেরধরে সেলিমের বাড়ির সামনে হামলার ঘটনা ঘটে।

 

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, ঘটনার ২/৩ দিন আগে হামলাকারীরা ঢাকা থেকে নিজ এলাকায় আসে। আসার সময় ঢাকা থেকে একটি ড্রোন ক্যামেরা সঙ্গে এনে তাদের বাড়ির পাশের একটি কৃষি জমিতে বসে কয়েকজন মিলে ড্রোন ক্যামেরাটি আকাশে উড়িয়ে আশপাশের বাড়ি গুলোতে নজরদারি করার সময় বাড়ি গুলোর মহিলারা পুকুরঘাটে গোসল করাকালে ও অগোছালো ভাবে বাড়ির কাজ করার সময় ড্রোন ক্যামেরাটি তাদের গোসল ও অগোছালো অবস্থায় ভিডিও ধারণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে ড্রোন ক্যামেরাটি ধরতে গেলে তা রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে সেখান থেকে সরিয়ে নেয় স্থানীয় সেলিমের ছেলেসহ তার বন্ধুরা। পরবর্তীতে মহিলাদের চিল্লাপাল্লাতে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ঘটনার সত্যতা পেয়ে সাইফুল ইসলাম ও শাহাদাত হোসেন এবং আনোয়ার হোসেন মনজুর পিতা সেলিমের নিকট নালিশ করতে গেলে সেখানে উপস্থিত সাইফুল ইসলাম ও শাহাদাত হোসেন এবং আনোয়ার হোসেন মনজু সহ তাদের ঢাকা থেকে আগত বন্ধুরা বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এসময় ভুক্তভোগী পরিবারের ৫/৭জন লোক আহত হয়। হামলাকারীদেরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে দাবি করেন হামলা কারীরা। পরে হামলাকারীরা নিজেদেরকে বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসারত দেখিয়ে ও গুরত্বর আহত দাবি করে কবিরহাট থানায় একটি মামলা দিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করার অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসি।

 

স্থানীয় এলাকাবাসিরা বলেন, এলাকাতে দীর্ঘদিন ধরে এই বখাটে ছেলেরা বিভিন্ন প্রকারের মাদকের সাথে জড়িত রয়েছে, প্রায় সময় স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সময় হয়নারি করতেন। এখন ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে যেই ভাবে মানুষের বাড়িতে মহিলাদের গোসলের ভিডিও সহ বাড়িতে কাজ করা অবস্থায় যেই সকল নারীদের শরিলে কাপড় থাকেনা তাদের ভিডিও করতেছে, এটা কিন্তু একেবারে মানার মতনা, উল্টো এই বখাটে ছেলেরা এদের উপর হামলা চালায় এবং শেষে এদের বিরুদ্ধে একটা মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। আমরা চাই প্রসাশন যেনো অতি দ্রুত সুস্থ তদন্ত করে এদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যাবস্থা করে এবং ভুক্তভোগীদের উপর করা মিথ্যা মামলাটি অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

 

অভিযোগের বিষয় জানতে অভিযুক্ত মনজু মুঠোফোনে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ড্রোন ক্যামেরার ঘটনা সঠিক নয়, তবে মারামারির ঘটনায় দু’পক্ষের লোকজনই আহত হয়েছে।

 

ঘটনার সত্যতা শিকার করে কবিরহাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, এ ঘটনায় একটি মারামারির মামলা হয়েছে, যা তদন্তাধীন রয়েছে। আরেক প্রশ্নের জবাবে এ কর্মকর্তা জানান, সরজমিন তদন্তকালে এলাকার লোকজনদের কাছে জানতে পারেন ড্রোণ ক্যামেরা উড়ানোর প্রতিবাদ করায় এমন হামলার ঘটনা ঘটেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে মহিলাদের গোসলের ভিডিও ধারণ, বাধা দেওয়ায় হামলা-মামলার অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৭:৫৭:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় ড্রোন ক্যামেরা উড়িয়ে মহিলাদের গোসলের ভিডিও ধারণ করার সময় বাঁধা দিলে হামলা ও মিথ্যা মামলার শিকারের অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

 

গত ১৩ ফেব্রুয়ারী বিকেলে উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের উত্তর জগদানন্দ গ্রামে ফাতেমার বাপের বাড়ি, রিপনের বাড়ি ও মাসুদের বাড়িতে এ ড্রোন উড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। পরে ড্রোণ উড়ানোর জেরধরে সেলিমের বাড়ির সামনে হামলার ঘটনা ঘটে।

 

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, ঘটনার ২/৩ দিন আগে হামলাকারীরা ঢাকা থেকে নিজ এলাকায় আসে। আসার সময় ঢাকা থেকে একটি ড্রোন ক্যামেরা সঙ্গে এনে তাদের বাড়ির পাশের একটি কৃষি জমিতে বসে কয়েকজন মিলে ড্রোন ক্যামেরাটি আকাশে উড়িয়ে আশপাশের বাড়ি গুলোতে নজরদারি করার সময় বাড়ি গুলোর মহিলারা পুকুরঘাটে গোসল করাকালে ও অগোছালো ভাবে বাড়ির কাজ করার সময় ড্রোন ক্যামেরাটি তাদের গোসল ও অগোছালো অবস্থায় ভিডিও ধারণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে ড্রোন ক্যামেরাটি ধরতে গেলে তা রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে সেখান থেকে সরিয়ে নেয় স্থানীয় সেলিমের ছেলেসহ তার বন্ধুরা। পরবর্তীতে মহিলাদের চিল্লাপাল্লাতে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ঘটনার সত্যতা পেয়ে সাইফুল ইসলাম ও শাহাদাত হোসেন এবং আনোয়ার হোসেন মনজুর পিতা সেলিমের নিকট নালিশ করতে গেলে সেখানে উপস্থিত সাইফুল ইসলাম ও শাহাদাত হোসেন এবং আনোয়ার হোসেন মনজু সহ তাদের ঢাকা থেকে আগত বন্ধুরা বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এসময় ভুক্তভোগী পরিবারের ৫/৭জন লোক আহত হয়। হামলাকারীদেরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে দাবি করেন হামলা কারীরা। পরে হামলাকারীরা নিজেদেরকে বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসারত দেখিয়ে ও গুরত্বর আহত দাবি করে কবিরহাট থানায় একটি মামলা দিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করার অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসি।

 

স্থানীয় এলাকাবাসিরা বলেন, এলাকাতে দীর্ঘদিন ধরে এই বখাটে ছেলেরা বিভিন্ন প্রকারের মাদকের সাথে জড়িত রয়েছে, প্রায় সময় স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সময় হয়নারি করতেন। এখন ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে যেই ভাবে মানুষের বাড়িতে মহিলাদের গোসলের ভিডিও সহ বাড়িতে কাজ করা অবস্থায় যেই সকল নারীদের শরিলে কাপড় থাকেনা তাদের ভিডিও করতেছে, এটা কিন্তু একেবারে মানার মতনা, উল্টো এই বখাটে ছেলেরা এদের উপর হামলা চালায় এবং শেষে এদের বিরুদ্ধে একটা মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। আমরা চাই প্রসাশন যেনো অতি দ্রুত সুস্থ তদন্ত করে এদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যাবস্থা করে এবং ভুক্তভোগীদের উপর করা মিথ্যা মামলাটি অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

 

অভিযোগের বিষয় জানতে অভিযুক্ত মনজু মুঠোফোনে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ড্রোন ক্যামেরার ঘটনা সঠিক নয়, তবে মারামারির ঘটনায় দু’পক্ষের লোকজনই আহত হয়েছে।

 

ঘটনার সত্যতা শিকার করে কবিরহাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, এ ঘটনায় একটি মারামারির মামলা হয়েছে, যা তদন্তাধীন রয়েছে। আরেক প্রশ্নের জবাবে এ কর্মকর্তা জানান, সরজমিন তদন্তকালে এলাকার লোকজনদের কাছে জানতে পারেন ড্রোণ ক্যামেরা উড়ানোর প্রতিবাদ করায় এমন হামলার ঘটনা ঘটেছে।