নোয়াখালীতে তুচ্ছ ঘটনায় স্কুল ছাত্র খুন: রহস্য উদঘাটন করল পুলিশ

- আপডেট সময় : ১০:০৬:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫ ৬৭ বার পড়া হয়েছে
নোয়াখালীর সদরের দাদপুর ইউনিয়নে স্কুল ছাত্র আবদুল হামিদ রায়হান হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসামি মারুফ হোসেনকে (২২) গ্রেপ্তার করার পর নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
আরো পড়ুন: তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে কবিরহাটের ইতালি মার্কেটে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ
শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিকেলে সুধারাম মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ্ আল ফারুক এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরো পড়ুন: নিখোঁজের ২ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার
নিহত রায়হান একই গ্রামের হাজী বাড়ির কৃষক আলমগীরের ছেলে এবং স্থানীয় খলিফারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। অপরদিকে, গ্রেপ্তার মারুফ (২৫) একই বাড়ির মো. সেলিমের ছেলে।
আরো পড়ুন: ৩৬ কলেজ-মাদরাসায় ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষনা, আনন্দ মিছিল
পুলিশ সুপার বলেন, গত ২৫ মার্চ রাত ৮টার দিকে তারাবির নামাজ পড়ার জন্য দাদপুর ইউনিয়নের হুগলি গ্রামের নিজের বাড়ি থেকে বের হয় রায়হান। পরবর্তীতে রাতে আর সে বাড়ি ফিরে আসেনি। পরদিন বিষয়টি নিয়ে রায়হানের ভাই হারুন অর রশিদ শান্ত তার ভাইয়ের সন্ধ্যান চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে যেখানে একটা মোবাইল নাম্বার দেয়। ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মারুফ নিজের পরিচয় গোপন রেখে শান্তের নাম্বারে কল দিয়ে ১৫লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং টাকা নিয়ে চৌমুহনী রেল লাইনে যেতে বলে। পরবর্তীতে ওই নাম্বারের সূত্র ধরে আসামি মারুফকে আটকের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ বিকেলে বাড়ির পাশে সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে রায়হানের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
আরো পড়ুন: কবিরহাটে ছাত্রদল নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা ফাঁস, থানায় জিডি
পুলিশ সুপার আরো জানান, ঘটনার দিন রাতে রায়হান ও মারুফ পাশ্ববর্তী একটি জায়গায় গিয়ে নারিকেল খায়। পরবর্তীতে ওইস্থান থেকে ফিরে আসার সময় তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে প্রথমে তাদের দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে মারুফ তার হাতে থাকা ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে রায়হানের মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। পরে গভীররাতে মারুফ একা রায়হানের মৃতদেহ নিয়ে পাশ্ববর্তী একটি সেপটিপ ট্যাঙ্কের মধ্যে রেখে দেয়।
আরো পড়ুন: তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে কবিরহাটের পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ
এ ঘটনায় নিহত রায়হানের বাবা আলমগীর হোসেন বাদি হয়ে মারুফের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। শুক্রবার ২৮ মার্চ বিকেলে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরো পড়ুন: বাড়ির পাশে দোকানে গিয়ে ধর্ষণের শিকার ৭বছরের শিশু
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন ও সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম।