ঢাকা ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, পাঁচ শিশুসহ আহত-৬ মানবিক তারুণ্যের ৮ম যুব সম্মেলন ও এ্যাওয়ার্ড বিতরণ সম্পত্তির বিরোধ নিয়ে থানায় অভিযোগ, পুলিশের তদন্তকালে বাদীর উপর হামলা, আহত ৪ হাসনাত-সারজিস ছাত্রলীগ থেকে গিয়ে নতুন দলে এসেছে: ইসমাইল সম্রাট কবিরহাটের একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র শিরিন গার্ডেনে হামলার অভিযোগ, পুলিশসহ আহত ৭ সুধারামে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে জখম, অভিযোগ যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতকর্মীদের বিরুদ্ধে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মালিকানা ছিনতাই করেও এনসিপি সংগঠন হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে: নাছির Blind Amjad receives Eid gift from Tarique Zia জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দৃষ্টি হারানো আমজাদ পেলো তারেক জিয়ার ঈদ উপহার ভাড়াটিয়ার দোকানে তালা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহারের নিন্দা ও বাতিলের দাবি সম্পাদক পরিষদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৪১:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মে ২০২০ ৭৮০ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গণমাধ্যম ও নাগরিকদের বিরুদ্ধে অহরহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহারের নিন্দা এবং এই আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে আজ এক বিবৃতি দিয়েছে সংগঠনটি।

সম্পাদক পরিষদের পক্ষে দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম ও পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নঈম নিজামের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি যেসব সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এই আইনে মামলা গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে পরিষ্কারভাবে তা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বাক স্বাধীনতার জন্য হুমকি। এ ধরনের সব মামলা প্রত্যাহার ও সাংবাদিকদের মুক্তির দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।

এতে বলা হয়, গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ভিত্তিহীন অভিযোগে সম্প্রতি সাংবাদিক, কার্টুনিস্ট ও একজন লেখককে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যাসত্য যাচাইয়ের আগেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

‘ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন, ‘গুজব রটনা’, ‘সরকারের সমালোচনা’ এ ধরনের অভিযোগ আমলে নিয়ে সাংবাদিকদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোনো অভিযোগ হওয়া মাত্র প্রায় সব ক্ষেত্রে গ্রেপ্তারে গিয়ে ঠেকছে। সম্প্রতি ফটো জার্নালিস্ট কাজলকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে হাতকড়া পরিয়ে।

মুক্ত গণমাধ্যম, চিন্তার স্বাধীনতার পক্ষে সংসদ সদস্যরা দাঁড়াবেন এটিই ছিল ঐতিহ্য। পরিতাপের ব্যাপার হলো, এখন গণমাধ্যম যখন আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে তখন তাদের মধ্য থেকেই কয়েকজন এতে যুক্ত হয়েছেন। মানহানি সংক্রান্ত প্রচলিত আইনের চেয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় বেশি আগ্রহ থেকে পরিষ্কারভাব এটিই প্রতীয়মান হয় যে বিচার চাওয়া নয় বরং সাংবাদিকদের ভয় দেখানোই এই মামলাগুলোর উদ্দেশ্য। প্রশাসনের ব্যর্থতা, অনিয়ম, দুর্নীতির কথা প্রকাশ করা গণমাধ্যমের অন্তর্নীহিত দায়িত্ব উল্লেখ করে সম্পাদক পরিষদ জানায়, সরকার যখন মহামারি মোকাবিলায় হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে তখন গণমাধ্যমের দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়। মহামারি ও এর থেকে সৃষ্ট অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যখন পুরো জাতির ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার তখন গণমাধ্যমবিরোধী এ ধরনের কর্মকাণ্ড সেই ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে মনে করে সম্পাদক পরিষদ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহারের নিন্দা ও বাতিলের দাবি সম্পাদক পরিষদের

আপডেট সময় : ০৪:৪১:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মে ২০২০

গণমাধ্যম ও নাগরিকদের বিরুদ্ধে অহরহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহারের নিন্দা এবং এই আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে আজ এক বিবৃতি দিয়েছে সংগঠনটি।

সম্পাদক পরিষদের পক্ষে দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম ও পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নঈম নিজামের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি যেসব সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এই আইনে মামলা গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে পরিষ্কারভাবে তা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বাক স্বাধীনতার জন্য হুমকি। এ ধরনের সব মামলা প্রত্যাহার ও সাংবাদিকদের মুক্তির দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।

এতে বলা হয়, গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ভিত্তিহীন অভিযোগে সম্প্রতি সাংবাদিক, কার্টুনিস্ট ও একজন লেখককে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যাসত্য যাচাইয়ের আগেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

‘ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন, ‘গুজব রটনা’, ‘সরকারের সমালোচনা’ এ ধরনের অভিযোগ আমলে নিয়ে সাংবাদিকদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোনো অভিযোগ হওয়া মাত্র প্রায় সব ক্ষেত্রে গ্রেপ্তারে গিয়ে ঠেকছে। সম্প্রতি ফটো জার্নালিস্ট কাজলকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে হাতকড়া পরিয়ে।

মুক্ত গণমাধ্যম, চিন্তার স্বাধীনতার পক্ষে সংসদ সদস্যরা দাঁড়াবেন এটিই ছিল ঐতিহ্য। পরিতাপের ব্যাপার হলো, এখন গণমাধ্যম যখন আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে তখন তাদের মধ্য থেকেই কয়েকজন এতে যুক্ত হয়েছেন। মানহানি সংক্রান্ত প্রচলিত আইনের চেয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় বেশি আগ্রহ থেকে পরিষ্কারভাব এটিই প্রতীয়মান হয় যে বিচার চাওয়া নয় বরং সাংবাদিকদের ভয় দেখানোই এই মামলাগুলোর উদ্দেশ্য। প্রশাসনের ব্যর্থতা, অনিয়ম, দুর্নীতির কথা প্রকাশ করা গণমাধ্যমের অন্তর্নীহিত দায়িত্ব উল্লেখ করে সম্পাদক পরিষদ জানায়, সরকার যখন মহামারি মোকাবিলায় হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে তখন গণমাধ্যমের দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়। মহামারি ও এর থেকে সৃষ্ট অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যখন পুরো জাতির ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার তখন গণমাধ্যমবিরোধী এ ধরনের কর্মকাণ্ড সেই ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে মনে করে সম্পাদক পরিষদ।