ঢাকা ০১:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

হাতিয়ায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় আরও দুই লাশ উদ্ধার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:২৭:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ ১৯২৯ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

 

নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে বর যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় জাকিয়া বেগম (৫৫) ও নিহা বেগম (১) নামের আরও দুই জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় এ পর্যন্ত নববধূসহ ১০জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে ৫শিশু।

 

শনিবার সকালে মেঘনা নদীর পৃথক স্থান থেকে লাশ দু’টি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত জাকিয়া বেগম নলেরচরের আল আমিন গ্রামের নাছির উদ্দিনের স্ত্রী ও নিহা বেগম পূর্ব আজিমপুর গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের মেয়ে।

 

ঘটনায় এখনও নিখোঁজ শিশুরা হচ্ছেন, হাতিয়ার নলেরচর (চানন্দি) ইউনিয়নের আল আমিন গ্রামের নার্গিস বেগম (৪), রুবেল হোসেনের মেয়ে হালিমা বেগম (৫), ভয়ারচর গ্রামের ইলিয়াস উদ্দিনের ছেলে আমির হোসেন (২), ভোলার মনপুরার কলাতলী গ্রামের মাইন উদ্দিনের মেয়ে লামিয়া বেগম (৩) ও একই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে আলিফ উদ্দিন (২)।

 

কোস্টগার্ড হাতিয়ার স্টেশন অফিসার লে. বিশ্বজিৎ বড়ুয়া লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ১৫ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকালে বর যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির পর থেকে নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে কোস্টগার্ড হাতিয়ার দু’টি ও ভোলার একটি ডুবুরিদল সার্চ এন্ড রেসকিউ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। উদ্ধার অভিযান চলাকালে শনিবার সকালে স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় ভোলার গজারিয়া মেঘনা নদী থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় শিশু নিহা ও পরে মনপুরা থেকে জাকিয়া বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়। অপর নিখোঁজদের উদ্ধারে কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যহত রয়েছে।

 

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুরে ভোলার মনপুরা উপজেলার কলাতলী গ্রামের বেলাল মেস্ত্রী ছেলে ফরিদ উদ্দিন বিয়ে করতে হাতিয়ার চানন্দি ইউনিয়নের আল আমিন গ্রামে আসে। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর বিকাল ৩টার দিকে ৭০-৭৫জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারযোগে চানন্দি ঘাট থেকে মনপুরার কলাতলী গ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। পথে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মেঘনা নদীর টাংকিরখাল-ঘাসিয়ারচরের মাঝামাঝি এলাকায় তীব্র স্রোতের কবলে পড়ে তাদের ট্রলারটি উল্টে যায়। এসময় ট্রলারে থাকা বর ও নববধূসহ সকল যাত্রী নদীতে পড়ে যায়। এদের মধ্যে কয়েকজন সাঁতার দিয়ে কূলে উঠে আসলেও বেশির ভাগ যাত্রী নিখোঁজ হয়। পরে স্থানীয় লোকজন, পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা ট্রলার ও নৌকার মাধ্যমে রাত পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে বর’সহ অন্তত ৫৫জনকে জীবিত উদ্ধার করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

হাতিয়ায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় আরও দুই লাশ উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৭:২৭:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২০

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

 

নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে বর যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় জাকিয়া বেগম (৫৫) ও নিহা বেগম (১) নামের আরও দুই জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় এ পর্যন্ত নববধূসহ ১০জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে ৫শিশু।

 

শনিবার সকালে মেঘনা নদীর পৃথক স্থান থেকে লাশ দু’টি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত জাকিয়া বেগম নলেরচরের আল আমিন গ্রামের নাছির উদ্দিনের স্ত্রী ও নিহা বেগম পূর্ব আজিমপুর গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের মেয়ে।

 

ঘটনায় এখনও নিখোঁজ শিশুরা হচ্ছেন, হাতিয়ার নলেরচর (চানন্দি) ইউনিয়নের আল আমিন গ্রামের নার্গিস বেগম (৪), রুবেল হোসেনের মেয়ে হালিমা বেগম (৫), ভয়ারচর গ্রামের ইলিয়াস উদ্দিনের ছেলে আমির হোসেন (২), ভোলার মনপুরার কলাতলী গ্রামের মাইন উদ্দিনের মেয়ে লামিয়া বেগম (৩) ও একই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে আলিফ উদ্দিন (২)।

 

কোস্টগার্ড হাতিয়ার স্টেশন অফিসার লে. বিশ্বজিৎ বড়ুয়া লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ১৫ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকালে বর যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির পর থেকে নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে কোস্টগার্ড হাতিয়ার দু’টি ও ভোলার একটি ডুবুরিদল সার্চ এন্ড রেসকিউ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। উদ্ধার অভিযান চলাকালে শনিবার সকালে স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় ভোলার গজারিয়া মেঘনা নদী থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় শিশু নিহা ও পরে মনপুরা থেকে জাকিয়া বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়। অপর নিখোঁজদের উদ্ধারে কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যহত রয়েছে।

 

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুরে ভোলার মনপুরা উপজেলার কলাতলী গ্রামের বেলাল মেস্ত্রী ছেলে ফরিদ উদ্দিন বিয়ে করতে হাতিয়ার চানন্দি ইউনিয়নের আল আমিন গ্রামে আসে। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর বিকাল ৩টার দিকে ৭০-৭৫জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারযোগে চানন্দি ঘাট থেকে মনপুরার কলাতলী গ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। পথে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মেঘনা নদীর টাংকিরখাল-ঘাসিয়ারচরের মাঝামাঝি এলাকায় তীব্র স্রোতের কবলে পড়ে তাদের ট্রলারটি উল্টে যায়। এসময় ট্রলারে থাকা বর ও নববধূসহ সকল যাত্রী নদীতে পড়ে যায়। এদের মধ্যে কয়েকজন সাঁতার দিয়ে কূলে উঠে আসলেও বেশির ভাগ যাত্রী নিখোঁজ হয়। পরে স্থানীয় লোকজন, পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা ট্রলার ও নৌকার মাধ্যমে রাত পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে বর’সহ অন্তত ৫৫জনকে জীবিত উদ্ধার করে।