ঢাকা ০৮:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

লাগামহীন লোডশেডিং, রমজানে চরম ভোগান্তিতে নোয়াখালীর মানুষ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৭:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩ ১৯০৭১ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আজিজ আহমেদ, বেগমগঞ্জ:

 

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় রমজান মাসেও পল্লী বিদ্যুতের লাগামহীন লোডশেডিংয়ে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। এতে করে ধর্মপ্রাণ মুসলিমসহ সর্ব সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। পবিত্র মাহে রমজান মাসে উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ সেবার মানে হতাশ এলাকাবাসী।

 

তাই রোজাদারদের আশা ছিল বিদ্যুতের লোডশেডিং থাকলেও হয়তো ৫ ওয়াক্ত নামাজের সময়, ইফতার ও সেহেরি এবং তারাবীর নামাজের সময় বিদ্যুৎ সেবার মান সহনীয় থাকবে। তবে সেই আশা নিরাশ করেছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। দিন নেই রাত নেই কেবল আসা-যাওয়ার মধ্যেই থাকে বিদ্যুৎ। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে বিস্তর সমালোচনা।

 

তাই জেলাসহ গ্রাম গঞ্জে লাগামহীন লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়ে গেছে। গ্রামের কোথাও শিডিউল মানা হচ্ছে না। সাধারণ মানুষ বিদ্যুৎ ভোগান্তিতে পড়ে নাগাল জনজীবন। কোথাও কোথাও দেখা যাচ্ছে বিদ্যুৎ ভোগান্তির কারনে বিদ্যুৎ অফিস ভাংচুর সহ নানান অভিযোগ দিতে। এক্ষেত্রে অভিযোগ ও নানান ক্ষোভ গুলো পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি গুলোর দিকে।

 

এ কারণে মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পমালিকরা বিপাকে পড়ছেন। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ না পাওয়ায় তারা কারখানা চালাতে পারছেন না। ফলে শিল্পোৎপাদনে ধ্বস নেমেছে। দিনের বেলায় বেশিরভাগ কারখানা বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে গিয়ে উৎপাদন ব্যয় সামাল দিতে পারছে না। গ্রামে গ্রামে ডিজেল সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে সেচসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যাঘাত ঘটছে।

 

রমজানের শেষদিকে এসে উপজেলাতে চলছে ভয়াবহ লোডশেডিং। প্রচন্ড তাপদাহ গরমের দিনে সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতার ও তারাবির নামাজের সময় সহ রাতে-দিনে বিদ্যুৎ ঠিক মতো না থাকায় চরম কষ্ট পোহাতে হচ্ছে সকলকে।

 

বেগমগঞ্জ নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম জাকির হোসেন সকালের সময় পত্রিকার বেগমগঞ্জ প্রতিনিধি কে জানান, প্রতিদিন ১৩২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদা থাকলেও সেখানে ৩০-৪০% বিদ্যুৎ কম পাচ্ছি। দিন রাত মিলিয়ে কত লোডশেডিং হয়, তা চাইলে তিনি বলেন প্র‍তিদিন ১০-১২ ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছে। রামপাল ও ঘোড়াশাল কেন্দ্রে সমস্যা হওয়ায় ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। কিন্তু কিছুদিনের ভিতর স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

 

এছাড়াও ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যাংক-বীমা,, কারখানা, ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠান, বিপনি-বিতান, কম্পিউটার ও বাসা বাড়ি ফ্রিজের খাবার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। বিদ্যুতের এমন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট হয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী সহ বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সচেতন মহল বৃন্দরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

লাগামহীন লোডশেডিং, রমজানে চরম ভোগান্তিতে নোয়াখালীর মানুষ

আপডেট সময় : ০৮:৪৭:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩

আজিজ আহমেদ, বেগমগঞ্জ:

 

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় রমজান মাসেও পল্লী বিদ্যুতের লাগামহীন লোডশেডিংয়ে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। এতে করে ধর্মপ্রাণ মুসলিমসহ সর্ব সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। পবিত্র মাহে রমজান মাসে উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ সেবার মানে হতাশ এলাকাবাসী।

 

তাই রোজাদারদের আশা ছিল বিদ্যুতের লোডশেডিং থাকলেও হয়তো ৫ ওয়াক্ত নামাজের সময়, ইফতার ও সেহেরি এবং তারাবীর নামাজের সময় বিদ্যুৎ সেবার মান সহনীয় থাকবে। তবে সেই আশা নিরাশ করেছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। দিন নেই রাত নেই কেবল আসা-যাওয়ার মধ্যেই থাকে বিদ্যুৎ। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে বিস্তর সমালোচনা।

 

তাই জেলাসহ গ্রাম গঞ্জে লাগামহীন লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়ে গেছে। গ্রামের কোথাও শিডিউল মানা হচ্ছে না। সাধারণ মানুষ বিদ্যুৎ ভোগান্তিতে পড়ে নাগাল জনজীবন। কোথাও কোথাও দেখা যাচ্ছে বিদ্যুৎ ভোগান্তির কারনে বিদ্যুৎ অফিস ভাংচুর সহ নানান অভিযোগ দিতে। এক্ষেত্রে অভিযোগ ও নানান ক্ষোভ গুলো পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি গুলোর দিকে।

 

এ কারণে মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পমালিকরা বিপাকে পড়ছেন। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ না পাওয়ায় তারা কারখানা চালাতে পারছেন না। ফলে শিল্পোৎপাদনে ধ্বস নেমেছে। দিনের বেলায় বেশিরভাগ কারখানা বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে গিয়ে উৎপাদন ব্যয় সামাল দিতে পারছে না। গ্রামে গ্রামে ডিজেল সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে সেচসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যাঘাত ঘটছে।

 

রমজানের শেষদিকে এসে উপজেলাতে চলছে ভয়াবহ লোডশেডিং। প্রচন্ড তাপদাহ গরমের দিনে সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতার ও তারাবির নামাজের সময় সহ রাতে-দিনে বিদ্যুৎ ঠিক মতো না থাকায় চরম কষ্ট পোহাতে হচ্ছে সকলকে।

 

বেগমগঞ্জ নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম জাকির হোসেন সকালের সময় পত্রিকার বেগমগঞ্জ প্রতিনিধি কে জানান, প্রতিদিন ১৩২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদা থাকলেও সেখানে ৩০-৪০% বিদ্যুৎ কম পাচ্ছি। দিন রাত মিলিয়ে কত লোডশেডিং হয়, তা চাইলে তিনি বলেন প্র‍তিদিন ১০-১২ ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছে। রামপাল ও ঘোড়াশাল কেন্দ্রে সমস্যা হওয়ায় ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। কিন্তু কিছুদিনের ভিতর স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

 

এছাড়াও ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যাংক-বীমা,, কারখানা, ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠান, বিপনি-বিতান, কম্পিউটার ও বাসা বাড়ি ফ্রিজের খাবার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। বিদ্যুতের এমন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট হয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী সহ বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সচেতন মহল বৃন্দরা।