নোয়াখালীর মাইজদী শহর ও বেগমগঞ্জের চৌমুহনী বাজারের ছয়টি প্রাইভেট হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও নার্স না থাকাসহ নানান ধরনের অপরাধে ছয়টি হাসপাতালকে তিন লক্ষ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত র্যাব-১১ (সিপিসি-৩) নোয়াখালী কার্যালয়ের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াসির আরাফাত এবং সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার অসীম কুমার দত্ত সহ র্যাব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, অভিযানে লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্র ও অন্যান্য কাগজপত্র হালনাগাদ না থাকা, প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক ও নার্স না থাকায় শাইনিং মেডিকেল সার্ভিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইসমাইলকে ৫০ হাজার টাকা , চৌমুহনী মেডিকেল সার্ভিস প্রাইভেটের পরিচালক জোবায়ের হোসেনকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, গ্রীন লাইফ হাসপাতাল প্রাইভেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুল হায়দারকে ৩০ হাজার টাকা, জেনারেল শিশু হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়েজ আহম্মেদ স্বপনকে ৫০ হাজার, মর্ডান প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদুল হাসানকে ৩০ হাজার টাকা ও ইউনিক ডায়গনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুজ্জামানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
র্যাব-১১ (সিপিসি-৩) নোয়াখালী কার্যালয়ের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান জানান, নোয়াখালীতে প্রায় পাঁচ শতাধিক বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে। যার অধিকাংশই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তাদের ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এসব প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সময় চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা ভুল চিকিৎসাসহ নানা হয়রানির শিকার হন। জনসাধারণকে ভুল চিকিৎসাসহ নানা হয়রানির শিকার হতে রক্ষার্থে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে।