ডেঙ্গু আক্রান্ত, গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৪ মৃত্যু, হাসপাতালে ২৪১
- আপডেট সময় : ০৮:১৭:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৫ বার পড়া হয়েছে
সারা দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪৫ জন। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৪১ জন। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮ হাজার ১৮৮ জনে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৪ জনের সবাই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকার বাসিন্দা।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২১ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ৬১ জন রয়েছেন। এছাড়া, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৪১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৪৬ জন, খুলনা বিভাগে ৪৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ৮ জন, ময়মনসিংহে ৮ জন, রংপুরে একজন ও সিলেটে ২ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৯৮ হাজার ১৮৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যার মধ্যে ৬৩ দশমিক ১০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৯০ শতাংশ নারী। একই সময়ে ৫৪৫ জন ডেঙ্গুরোগী মৃত্যুবরণ করেছেন। যাদের মধ্যে ৫১ দশমিক ৭০ শতাংশ নারী এবং ৪৮ দশমিক ৩০ শতাংশ পুরুষ।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ঐ সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ঐ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জন মারা যান।
এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ঐ বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ২৮১ জন।