ঢাকা ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
হজ্জযাত্রা উপলক্ষে সুবর্ণচর উপজেলা সমিতি সদস্যদের বিদায় সংবর্ধনা সাড়ে তিন বছর পর জামায়াত নেতা হলেন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত মাটি নিয়ে দ্বন্দ্ব: যুবলীগ কর্মিকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ২ সুবর্ণচরে সন্ত্রাসী কায়দায় বাড়ীঘরে হামলা-ভাংচুরের অভিযোগ, নারীসহ আহত ৩ জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের সভাপতি আবদুল হক, সম্পাদক পলাশ সাম্যবাদী আন্দোলনের নেতাকর্মিদের ওপর হামলা, আহত-৫ কারাগারের দেয়াল টপকে পালানোর চেষ্টা, ফেসবুকে ভাইরাল ভিডিও বেগমগঞ্জে সম্পত্তির জন্য মা বোনকে মারধর, বসতঘর ভাঙচুরের অভিযোগ গাছের ঢাল কাটা নিয়ে ঝগড়া, প্রতিবেশী বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যা তাহজ্জত নামাজ পড়তে উঠে ছুরিকাঘাতে খুন হয় বৃদ্ধা নারী

মত্যুর আগে ওসিয়ত, ৩ ভাগিনা ও বাদল যেন কাদের মির্জার জানাযা না পড়ে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:২৭:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুন ২০২১ ৪৭৬৬ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজেস্ব প্রতিবেদক, নোয়াখালী:

 

 

আলোচিত নোয়াখালীর বসুরহাট পৌর মেয়র এবার মৃত্যুর আগে তিন ভাগিনাসহ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে নিজের জানাযায় না যেতে ওসিয়ত করেছেন আব্দুল কাদের মির্জা।

মঙ্গলবার (১ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নে ঈদুল ফিতর পরবর্তী নিজের অনুসারীদের সাথে চা চক্র অনুষ্ঠানে বকৃক্তাকালে তিনি এই ওসিয়তের ঘোষণা দেন।

বকৃক্তাকালে কাদের মির্জা পানি হাতে শপথ করে বলেন, প্রথমে আমার ভাগিনা তিনটা ও বাদল। তারা যেন আমার জানাযায় না যায়। আমি যদি তাদের আগে মারা যাই, তারা আমার জানাযায় না যাক। আর হেগুনও যদি আমার আগে মারা যায়, আমিও জানাযায় যাইতাম নয়। কেন যাবনা এটা পরবর্তী পর্যায়ে কমু।

মেয়র বলেন, আমি চাই কোম্পানীগঞ্জে শান্তি। প্রথমে ১১টা প্রস্তাব দিছি। কিছু প্রস্তাব মানেনা, আমাদের দল থেকেও বাঁধা আছে। সকল দলে রাজনীতি করবে এটা মানেনা, ইউনিয়ন পরিষদের ভোট পেয়ার হবে এটা মানেনা। এই রকম কিছু দাবি মানেনা। তাহলে আমি বলেছি ঠিক আছে চারটি দাবি মানেন। অস্ত্রটা উদ্ধার করেন। জেলে যারা আছে তাদেরকে মুক্ত করে আনেন। মামলা গুলো কিভাবে সমাধান করা যায় এটার প্রক্রিয়াটা শুরু করেন। যে অপরাজনীতি কোম্পানীগঞ্জে চলতেছে এগুলো থেকে মানুষকে মুক্ত করেন।

ওনার তিন ভাগিনারা হলো, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু, উপজেলা আ’লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম রাহাত ও রামপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সালেকীন রিমন। এই তিন ভাগিনা কোম্পানীগঞ্জে আ’লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিবদমান দ্বন্দ্বে কাদের মির্জার শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে ভূমিকা রাখে। তিনজনই কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শক্রতার জের ধরে তিন ভাগিনার সাথে কাদের মির্জার সাপে নেউলে সম্পর্ক বিরাজ করছে। একে অপরের বিরুদ্ধে ফেইসবুক লাইভে এবং বিভিন্ন সভা সমাবেশে তির্যক বাক্যবাণে জর্জরিত করেন।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কাদের মির্জা সমর্থিত উপজেলা আ’লীগ সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মো.ইউনুস, রামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়রম্যান ইকবাল বাহার চৌধুরী প্রমূখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

মত্যুর আগে ওসিয়ত, ৩ ভাগিনা ও বাদল যেন কাদের মির্জার জানাযা না পড়ে

আপডেট সময় : ০৯:২৭:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুন ২০২১

নিজেস্ব প্রতিবেদক, নোয়াখালী:

 

 

আলোচিত নোয়াখালীর বসুরহাট পৌর মেয়র এবার মৃত্যুর আগে তিন ভাগিনাসহ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে নিজের জানাযায় না যেতে ওসিয়ত করেছেন আব্দুল কাদের মির্জা।

মঙ্গলবার (১ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নে ঈদুল ফিতর পরবর্তী নিজের অনুসারীদের সাথে চা চক্র অনুষ্ঠানে বকৃক্তাকালে তিনি এই ওসিয়তের ঘোষণা দেন।

বকৃক্তাকালে কাদের মির্জা পানি হাতে শপথ করে বলেন, প্রথমে আমার ভাগিনা তিনটা ও বাদল। তারা যেন আমার জানাযায় না যায়। আমি যদি তাদের আগে মারা যাই, তারা আমার জানাযায় না যাক। আর হেগুনও যদি আমার আগে মারা যায়, আমিও জানাযায় যাইতাম নয়। কেন যাবনা এটা পরবর্তী পর্যায়ে কমু।

মেয়র বলেন, আমি চাই কোম্পানীগঞ্জে শান্তি। প্রথমে ১১টা প্রস্তাব দিছি। কিছু প্রস্তাব মানেনা, আমাদের দল থেকেও বাঁধা আছে। সকল দলে রাজনীতি করবে এটা মানেনা, ইউনিয়ন পরিষদের ভোট পেয়ার হবে এটা মানেনা। এই রকম কিছু দাবি মানেনা। তাহলে আমি বলেছি ঠিক আছে চারটি দাবি মানেন। অস্ত্রটা উদ্ধার করেন। জেলে যারা আছে তাদেরকে মুক্ত করে আনেন। মামলা গুলো কিভাবে সমাধান করা যায় এটার প্রক্রিয়াটা শুরু করেন। যে অপরাজনীতি কোম্পানীগঞ্জে চলতেছে এগুলো থেকে মানুষকে মুক্ত করেন।

ওনার তিন ভাগিনারা হলো, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু, উপজেলা আ’লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম রাহাত ও রামপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সালেকীন রিমন। এই তিন ভাগিনা কোম্পানীগঞ্জে আ’লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিবদমান দ্বন্দ্বে কাদের মির্জার শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে ভূমিকা রাখে। তিনজনই কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শক্রতার জের ধরে তিন ভাগিনার সাথে কাদের মির্জার সাপে নেউলে সম্পর্ক বিরাজ করছে। একে অপরের বিরুদ্ধে ফেইসবুক লাইভে এবং বিভিন্ন সভা সমাবেশে তির্যক বাক্যবাণে জর্জরিত করেন।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কাদের মির্জা সমর্থিত উপজেলা আ’লীগ সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মো.ইউনুস, রামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়রম্যান ইকবাল বাহার চৌধুরী প্রমূখ।