নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, স্পিকার মরহুম আবদুল মালেক উকিলের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সুবর্ণচরে আলোচনা সভা ও মিলাদ, দোয়া মাহফিলের অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সুবর্ণচর উপজেলা মডেল মসজিদে বাদ মাগরিব দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামীলীগ। দোয়া ও মোনাজাত পেশ করেন সুবর্ণচর উপজেলা মডেল মসজিদের খতিব ক্বারী আব্দুল মান্নান।
সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামিলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছানা উল্যাহ বি.কম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ চৌধুরী, মালেক উকিলের পুত্র বাহার উদ্দিন খেলন।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, সুবর্ণচর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন চৌধুরী বাহার, ১ নং চরজব্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট ওমর ফারক, উপজেলা ছাত্রলীগ আহবায়ক আব্দুল্যাহ আল মামুন জাবেদ, আওয়ামীলীগ নেতা মোজাম্মেল হোসেন, নোয়াখালী জেলা পরিষদের সদস্য প্রার্থী আতিক উল্যাহ সুজনসহ ছাত্রলীগ যুবলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন রাজনীতির আদর্শ এবং দেশ প্রেম বলতে যা বোঝায় তার উদাহরণ হলো আবদুল মালেক উকিল। কারণ তিনি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-স্বাধিকার আন্দোলনসহ স্বৈরাচার বিরোধী সকল আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। এই আন্দোলন করতে গিয়ে আবদুল মালেক উকিল কখনোই স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে আপোষ করেননি। ফলশ্রুতিতে তাকে অনেক জেল-জুলুম ও কারানির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে।
বাহার উদ্দিন খেলন বলেন, আমার পিতা মরহুম আবদুল মালেক উকিল স্বৈরশাসকদের রক্তচক্ষু, ভয়-ভীতি ও লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে উঠে মৃত্যুর আগমুহূর্ত পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে স্বাধীনতা পরবর্তী বঙ্গবন্ধু সরকারের ক্ষুদ্রতম সময়ে জনগণ ও এলাকার উন্নয়নে অনেক প্রতিষ্ঠান স্থাপন এবং শত শত বেকার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন। তাঁর অনন্য সাধারণ এসব অবদানের কারণে মৃত্যুর ৩৫ বছর পর সারাদেশে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন তার প্রমাণ।
এদিকে, আবদুল মালেক উকিলের মৃত্যু বাষির্কী উপলক্ষে জেলা মডেল মসজিদ, বাঁধেরহাট আবদুল মালেক উকিল ডিগ্রি কলেজ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ, মাইজদী গালর্স একাডেমি হাই স্কুল, জেলা আওয়ামী লীগ এবং মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবসহ বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসায় আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। আবদুল মালেক উকিলের মৃত্যু বাষির্কীতে জেলায় দিন ব্যাপি কর্মসূচিতে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের ঢল দেখা গেছে।