ঢাকা ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, পাঁচ শিশুসহ আহত-৬ মানবিক তারুণ্যের ৮ম যুব সম্মেলন ও এ্যাওয়ার্ড বিতরণ সম্পত্তির বিরোধ নিয়ে থানায় অভিযোগ, পুলিশের তদন্তকালে বাদীর উপর হামলা, আহত ৪ হাসনাত-সারজিস ছাত্রলীগ থেকে গিয়ে নতুন দলে এসেছে: ইসমাইল সম্রাট কবিরহাটের একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র শিরিন গার্ডেনে হামলার অভিযোগ, পুলিশসহ আহত ৭ সুধারামে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে জখম, অভিযোগ যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতকর্মীদের বিরুদ্ধে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মালিকানা ছিনতাই করেও এনসিপি সংগঠন হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে: নাছির Blind Amjad receives Eid gift from Tarique Zia জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দৃষ্টি হারানো আমজাদ পেলো তারেক জিয়ার ঈদ উপহার ভাড়াটিয়ার দোকানে তালা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে অধিনায়ক সাকিব

স্পোর্টস ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৬:০৮:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অগাস্ট ২০২৩ ৭১ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

২০১৭ সালের এপ্রিলে সাকিব আল হাসানকে টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব দিয়ে তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়কের যুগে প্রবেশ করেছিল বাংলাদেশ। বছর ছয়ের ব্যবধানে এবার সেই সাকিবের হাত ধরেই তিন ফরম্যাটে এক অধিনায়ক তত্ত্বে ফিরে গেল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

 

আজ (শুক্রবার) আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়ানডে অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারকে। আপাতত আসন্ন এশিয়া কাপ ও ভারত বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেবেন তিনি।

 

নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নাজমুল হাসান পাপন। বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অধিনায়ক করা হয়েছে সাকিবকে।’ অবশ্য এই দুই টুর্নামেন্টের মাঝে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজেও বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন সাকিব।

 

গত ৩ আগস্ট বিসিবির সঙ্গে বৈঠক শেষে পাপনের বাসভবনের গ্যারেজে সংবাদ সম্মেলন করেন তামিম ইকবাল।সেখানেই স্বেচ্ছায় অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন এই ওপেনার। বিশ্বকাপ আর এশিয়া কাপের আগ-মুহূর্তে এসে তামিমের এমন সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও বিপাকে পড়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেই সংকট নিরসনে অবশ্য খুব একটা সময় নেয়নি নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বোর্ড।

 

তামিম নেতৃত্ব ছাড়ার সপ্তাহ খানেক পরেই নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করল বিসিবি। এই সময়ে একাধিক নাম ঘিরে গুঞ্জন থাকলেও শেষ পর্যন্ত সাকিবের অভিজ্ঞতাই আস্থা রেখেছে বোর্ড।

 

২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে মাশরাফি বিন মর্তুজার সহ-অধিনায়ক ছিলেন সাকিব। প্রথম টেস্টে মাশরাফি ইনজুরিতে পড়ায় সাকিবকে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক করা হয়। সেটাই ছিল নেতা সাকিবের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। সেখানে নিজেকে প্রমাণ করায় পরের সিরিজেই তাকে ভারমুক্ত করে আনুষ্ঠানিকভাবে নেতৃত্ব দেয় বিসিবি।

 

প্রথম দফায় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রায় দুই বছর। ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরের পর অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয় এই অলরাউন্ডারকে। এর ৬ বছর পর ২০১৭ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজা টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে গেলে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট দিয়ে আবারও নেতৃত্বে ফেরেন সাকিব। একই বছরে মুশফিকুর রহিমের কাছ থেকে দ্বিতীয়বারের মতো সাদা পোশাকের অধিনায়কের দায়িত্বও পান তিনি। এরপর ২০১৯ সালে আইসিসি কর্তৃক একই বছরের নিষেধাজ্ঞায় পড়ে দ্বিতীয় দফায় নেতৃত্ব হারান তিনি।

 

এরপর ২০২২ সালের জুনে টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে আবারও দলের নেতৃত্বে ফেরেন সাকিব। মাস কয়কে পরেই টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বও পান তিনি। এবার পেলেন ওয়ানডের অধিনায়কত্ব। তাতে প্রায় এক যুগ পর আবারও তিন ফরম্যাটে সাকিবের নেতৃত্বে খেলবে বাংলাদেশ।

 

সাদা পোশাকে তিন দফায় ১৯ ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব। যেখানে ৪ জয়ের বিপরীতে ১৫ টেস্টে হেরেছে টাইগাররা। ওয়ানডেতে দুই দফায় ৫০ ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে অধিনায়কত্ব করেছেন সাকিব। যেখানে ২৩ জয়ের বিপরীতে ২৬ হার। বাকি একটি ম্যাচে কোনো ফলাফল আসেনি। আর টি-টোয়েন্টিতে তিন দফায় সাকিবের নেতৃত্বে ৩৯ বার মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। যেখানে ২৩ হারের বিপরীতে ১৬ বার হাসি মুখে মাঠ ছেড়েছে টাইগাররা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে অধিনায়ক সাকিব

আপডেট সময় : ০৬:০৮:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অগাস্ট ২০২৩

২০১৭ সালের এপ্রিলে সাকিব আল হাসানকে টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব দিয়ে তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়কের যুগে প্রবেশ করেছিল বাংলাদেশ। বছর ছয়ের ব্যবধানে এবার সেই সাকিবের হাত ধরেই তিন ফরম্যাটে এক অধিনায়ক তত্ত্বে ফিরে গেল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

 

আজ (শুক্রবার) আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়ানডে অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারকে। আপাতত আসন্ন এশিয়া কাপ ও ভারত বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেবেন তিনি।

 

নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নাজমুল হাসান পাপন। বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অধিনায়ক করা হয়েছে সাকিবকে।’ অবশ্য এই দুই টুর্নামেন্টের মাঝে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজেও বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন সাকিব।

 

গত ৩ আগস্ট বিসিবির সঙ্গে বৈঠক শেষে পাপনের বাসভবনের গ্যারেজে সংবাদ সম্মেলন করেন তামিম ইকবাল।সেখানেই স্বেচ্ছায় অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন এই ওপেনার। বিশ্বকাপ আর এশিয়া কাপের আগ-মুহূর্তে এসে তামিমের এমন সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও বিপাকে পড়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেই সংকট নিরসনে অবশ্য খুব একটা সময় নেয়নি নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বোর্ড।

 

তামিম নেতৃত্ব ছাড়ার সপ্তাহ খানেক পরেই নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করল বিসিবি। এই সময়ে একাধিক নাম ঘিরে গুঞ্জন থাকলেও শেষ পর্যন্ত সাকিবের অভিজ্ঞতাই আস্থা রেখেছে বোর্ড।

 

২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে মাশরাফি বিন মর্তুজার সহ-অধিনায়ক ছিলেন সাকিব। প্রথম টেস্টে মাশরাফি ইনজুরিতে পড়ায় সাকিবকে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক করা হয়। সেটাই ছিল নেতা সাকিবের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। সেখানে নিজেকে প্রমাণ করায় পরের সিরিজেই তাকে ভারমুক্ত করে আনুষ্ঠানিকভাবে নেতৃত্ব দেয় বিসিবি।

 

প্রথম দফায় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রায় দুই বছর। ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরের পর অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয় এই অলরাউন্ডারকে। এর ৬ বছর পর ২০১৭ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজা টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে গেলে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট দিয়ে আবারও নেতৃত্বে ফেরেন সাকিব। একই বছরে মুশফিকুর রহিমের কাছ থেকে দ্বিতীয়বারের মতো সাদা পোশাকের অধিনায়কের দায়িত্বও পান তিনি। এরপর ২০১৯ সালে আইসিসি কর্তৃক একই বছরের নিষেধাজ্ঞায় পড়ে দ্বিতীয় দফায় নেতৃত্ব হারান তিনি।

 

এরপর ২০২২ সালের জুনে টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে আবারও দলের নেতৃত্বে ফেরেন সাকিব। মাস কয়কে পরেই টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বও পান তিনি। এবার পেলেন ওয়ানডের অধিনায়কত্ব। তাতে প্রায় এক যুগ পর আবারও তিন ফরম্যাটে সাকিবের নেতৃত্বে খেলবে বাংলাদেশ।

 

সাদা পোশাকে তিন দফায় ১৯ ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব। যেখানে ৪ জয়ের বিপরীতে ১৫ টেস্টে হেরেছে টাইগাররা। ওয়ানডেতে দুই দফায় ৫০ ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে অধিনায়কত্ব করেছেন সাকিব। যেখানে ২৩ জয়ের বিপরীতে ২৬ হার। বাকি একটি ম্যাচে কোনো ফলাফল আসেনি। আর টি-টোয়েন্টিতে তিন দফায় সাকিবের নেতৃত্বে ৩৯ বার মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। যেখানে ২৩ হারের বিপরীতে ১৬ বার হাসি মুখে মাঠ ছেড়েছে টাইগাররা।