নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হরতালের সমর্থনে লাঠি নিয়ে বিক্ষোভ করেছে যুবদল নেতা টিটু বাহিনীর অনুসারীরা। এ সময় তার বাহিনীর হামলায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ পাঁচটি অবিস্ফোরিত ককটেল ও ১০টি গাবের লাঠি উদ্ধার করে।
আটককৃতরা হলেন, মো. রিয়াজ (২৮) আরিফ হোসেন হৃদয় (১৯) জোবায়ের হোসেন (১৯) মো. রায়হান (১৯) ফিরোজ আলম (২০) মো. আরিফ (২০) মো. রুবেল ওরফে মানিক (২৬) ইমাম হোসেন (২৬) মো. আশিক ওরফে ওমর ফারুক (১৯) রাশেদ হোসেন (১৯) মো. রয়েল (২৫) মো. রাসেল (২০) আরমান হোসেন (১৯) মো. রমজান (১৯) মো. রাসেল (১৯) মো. আরিফ (১৯) নিহাদ (১৯) মো. দেলোয়ার হোসেন (২০) মো. ইউসুফ (২০)।
সোমবার (২০ নভেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে উপজেলার আলাইয়ারপুর ইউনিয়নের চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, বেগমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু তাহের, আলাউদ্দিন ও নোয়াখালী পুলিশ লাইন্সের কনস্টেবল সায়েদুর রহমান, শরীফুল ইসলাম, বোরহান উদ্দিন। আহত পুলিশ সদস্যদের বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
তবে দলটির আলাইয়ারপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিঠু চেয়ারম্যান দাবি করেন মো. আবু হানিফ টিটু (৪২) এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী। সে যুবদলের কোনো দায়িত্বে নেই। কিছু দিন আগে সে জেল থেকে বের হয়।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেলা সোয়া ১১টার দিকে যুবদলের ব্যানারে টিটু বাহিনীর প্রধান টিটুর নেতৃত্বে তার অনুসারী ২০০-৩০০ জন অনুসারী হরতালের সমর্থনে উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নের চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজার লাঠি নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে মিছিল নিয়ে তারা সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এতে তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের উপর ইট-পাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করলে পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ৯১ রাউন্ড শর্টগানের রাবার কার্তুজ ফাঁকা গুলি চালিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। অভিযানে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হরতালের ১৯ সমর্থককে আটক করে।
আলাইয়ারপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিঠু চেয়ারম্যান অভিযোগ করে আরও বলেন, টিটু চরে থাকে। এমনিতে আলাইয়ারপুর সন্ত্রাসী কবলিত এলাকা। বাহিরের এলাকা থেকে পিকআপ ভ্যানে করে লোকজন এনে সে এখানে প্রোগ্রাম করে। স্থানীয় কোনো নেতাকর্মি তার সাথে ছিল না।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, পিকেটারদের হামলায় ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি অবিস্ফোরিত ককটেল, ১০টি গাবের লাঠি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে। মঙ্গলবার সকালে ওই মামলায় আটককৃতদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।