ঢাকা ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, পাঁচ শিশুসহ আহত-৬ মানবিক তারুণ্যের ৮ম যুব সম্মেলন ও এ্যাওয়ার্ড বিতরণ সম্পত্তির বিরোধ নিয়ে থানায় অভিযোগ, পুলিশের তদন্তকালে বাদীর উপর হামলা, আহত ৪ হাসনাত-সারজিস ছাত্রলীগ থেকে গিয়ে নতুন দলে এসেছে: ইসমাইল সম্রাট কবিরহাটের একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র শিরিন গার্ডেনে হামলার অভিযোগ, পুলিশসহ আহত ৭ সুধারামে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে জখম, অভিযোগ যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতকর্মীদের বিরুদ্ধে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মালিকানা ছিনতাই করেও এনসিপি সংগঠন হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে: নাছির Blind Amjad receives Eid gift from Tarique Zia জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দৃষ্টি হারানো আমজাদ পেলো তারেক জিয়ার ঈদ উপহার ভাড়াটিয়ার দোকানে তালা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

জামায়াত-শিবিরের ৪ নেতাকর্মি হত্যা মামলায় সাবেক কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:০৮:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ৯৭ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি:

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জামায়াত-শিবিরের চার নেতাকর্মি হত্যা মামলায় বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর নুর হোসাইন ফরহাদকে (৫৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

গতকাল সোমবার দুপুরে তাকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। এর আগে, রোববার দিবাগত রাতে ফেনীর এক আত্মীয়ের বাসা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ফরহাদ বসুরহাট পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ডের মৃত নুর ইসলাম মেম্বারের ছেলে।

 

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বিচারিক আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।

 

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ১৪ ডিসেম্বর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার উপজেলা গেইটে জামায়াত-শিবিরের চার নেতাকর্মিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নিহত জামায়াত কর্মি সাইফুল ইসলামের বড় ভাই মো. আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলার আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়। পরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জামায়াতের চার নেতা-কর্মিকে হত্যার ঘটনায় বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল, সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নুরুজ্জামানসহ ১১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রুজু করা হয়।

 

এ ছাড়া মামলায় আসামি করা হয় কোম্পানীগঞ্জ থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম, সাবেক উপপরিদর্শক সুধীর রঞ্জন বড়ুয়া, আবুল কালাম আজাদ, শিশির কুমার বিশ্বাস ও উক্যসিং মারমাকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

জামায়াত-শিবিরের ৪ নেতাকর্মি হত্যা মামলায় সাবেক কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ১০:০৮:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি:

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জামায়াত-শিবিরের চার নেতাকর্মি হত্যা মামলায় বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর নুর হোসাইন ফরহাদকে (৫৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

গতকাল সোমবার দুপুরে তাকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। এর আগে, রোববার দিবাগত রাতে ফেনীর এক আত্মীয়ের বাসা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ফরহাদ বসুরহাট পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ডের মৃত নুর ইসলাম মেম্বারের ছেলে।

 

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বিচারিক আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।

 

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ১৪ ডিসেম্বর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার উপজেলা গেইটে জামায়াত-শিবিরের চার নেতাকর্মিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নিহত জামায়াত কর্মি সাইফুল ইসলামের বড় ভাই মো. আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলার আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়। পরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জামায়াতের চার নেতা-কর্মিকে হত্যার ঘটনায় বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল, সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নুরুজ্জামানসহ ১১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রুজু করা হয়।

 

এ ছাড়া মামলায় আসামি করা হয় কোম্পানীগঞ্জ থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম, সাবেক উপপরিদর্শক সুধীর রঞ্জন বড়ুয়া, আবুল কালাম আজাদ, শিশির কুমার বিশ্বাস ও উক্যসিং মারমাকে।