ঢাকা ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, পাঁচ শিশুসহ আহত-৬ মানবিক তারুণ্যের ৮ম যুব সম্মেলন ও এ্যাওয়ার্ড বিতরণ সম্পত্তির বিরোধ নিয়ে থানায় অভিযোগ, পুলিশের তদন্তকালে বাদীর উপর হামলা, আহত ৪ হাসনাত-সারজিস ছাত্রলীগ থেকে গিয়ে নতুন দলে এসেছে: ইসমাইল সম্রাট কবিরহাটের একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র শিরিন গার্ডেনে হামলার অভিযোগ, পুলিশসহ আহত ৭ সুধারামে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে জখম, অভিযোগ যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতকর্মীদের বিরুদ্ধে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মালিকানা ছিনতাই করেও এনসিপি সংগঠন হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে: নাছির Blind Amjad receives Eid gift from Tarique Zia জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দৃষ্টি হারানো আমজাদ পেলো তারেক জিয়ার ঈদ উপহার ভাড়াটিয়ার দোকানে তালা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

রাজশাহীর আম নামছে ১৫ মে থেকে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:০৭:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মে ২০২০ ৩৩৫ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এনকে বার্তা ডেস্ক:

আগামী ১৫ মে থেকে বাজারে উঠবে রাজশাহীর আম। একে একে সাত ধাপে নামবে ফলের রাজা। অসময়ে আম সংগ্রহ বন্ধ রাখতে আগামী ১৫ মে-এর আগে কোনো আম নামানো যাবে না। ১৫ মে থেকে সব ধরনের গুটি আম পাড়তে পারবেন চাষিরা। আজ শুক্রবার জেলা প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. হামিদুল হক স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাজশাহীর চাষিরা গোপালভোগ আম নামাতে পারবেন ২০ মে থেকে। এছাড়া রানীপছন্দ ও লক্ষণভোগ বা লখনা ২৫ মে, হিমসাগর বা খিরসাপাত ২৮ মে, ল্যাংড়া ৬ জুন, আম্রপালি ১৫ জুন এবং ফজলি ১৫ জুন থেকে নামানো যাবে। সবার শেষে ১০ জুলাই থেকে নামবে আশ্বিনা এবং বারী আম-৪।

এই বিজ্ঞপ্তিতে জেলা প্রশাসক বলেছেন, অপরিপক্ব আম বাজারজাত ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে থাকবে প্রশাসন। সুষ্ঠুভাবে মনিটরিং করে নির্দিষ্ট সময়েই আম নামানো হবে।

এদিকে, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশে বিখ্যাত রাজশাহীর আম বাজারজাত করা নিয়ে চাষিদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। তারা আম বিক্রি করতে পারবেন কিনা সে চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। তাই অনেকটা অনাদরেই বাগানে বেড়ে উঠছে আম। এ অবস্থায় আম পাড়ার সময় বেঁধে দেওয়ায় চাষিরা আরও ক্ষতির শঙ্কা করছেন।

তবে জেলা প্রশাসন বলছে, কৃষিপণ্য লকডাউনের বাইরে থাকায় চাষিদের চিন্তার কোনো কারণ নেই। তাছাড়া ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলোকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে অর্ডার নিয়ে কুরিয়ারে আম পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। এরইমধ্যে রাজশাহীর সব উপজেলায় এ ধরনের নির্দেশনা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বলেন, অসময়ে আম পাড়া বন্ধে এবং ক্যালসিয়াম কার্বাইড, পিজিআর, ফরমালিন, ইথোফেনের মতো কেমিক্যাল ব্যবহারের মাধ্যমে যেন আম পাকানো না হয় তার জন্য নামানোর ক্ষেত্রে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং পুলিশ কঠোরভাবে মনিটরিং করবে।

তবে স্থানীয়ভাবে আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে কোথাও কোথাও নির্ধারিত সময়ের আগে গাছে আম পাকলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়ে চাষিরা আম পাড়তে পারবেন।

রাজশাহী কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় এবার ১৭ হাজার ৫৭৩ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। উৎপাদন ধরা হয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন। গাছে ফলন মোটামুটি ভালো। ঝড়-ঝঞ্ঝা ও শিলাবৃষ্টির কবলে না পড়লে এই আম দিয়েই গোটা দেশের চাহিদা পূরণ সম্ভব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

রাজশাহীর আম নামছে ১৫ মে থেকে

আপডেট সময় : ০৭:০৭:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মে ২০২০

এনকে বার্তা ডেস্ক:

আগামী ১৫ মে থেকে বাজারে উঠবে রাজশাহীর আম। একে একে সাত ধাপে নামবে ফলের রাজা। অসময়ে আম সংগ্রহ বন্ধ রাখতে আগামী ১৫ মে-এর আগে কোনো আম নামানো যাবে না। ১৫ মে থেকে সব ধরনের গুটি আম পাড়তে পারবেন চাষিরা। আজ শুক্রবার জেলা প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. হামিদুল হক স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাজশাহীর চাষিরা গোপালভোগ আম নামাতে পারবেন ২০ মে থেকে। এছাড়া রানীপছন্দ ও লক্ষণভোগ বা লখনা ২৫ মে, হিমসাগর বা খিরসাপাত ২৮ মে, ল্যাংড়া ৬ জুন, আম্রপালি ১৫ জুন এবং ফজলি ১৫ জুন থেকে নামানো যাবে। সবার শেষে ১০ জুলাই থেকে নামবে আশ্বিনা এবং বারী আম-৪।

এই বিজ্ঞপ্তিতে জেলা প্রশাসক বলেছেন, অপরিপক্ব আম বাজারজাত ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে থাকবে প্রশাসন। সুষ্ঠুভাবে মনিটরিং করে নির্দিষ্ট সময়েই আম নামানো হবে।

এদিকে, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশে বিখ্যাত রাজশাহীর আম বাজারজাত করা নিয়ে চাষিদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। তারা আম বিক্রি করতে পারবেন কিনা সে চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। তাই অনেকটা অনাদরেই বাগানে বেড়ে উঠছে আম। এ অবস্থায় আম পাড়ার সময় বেঁধে দেওয়ায় চাষিরা আরও ক্ষতির শঙ্কা করছেন।

তবে জেলা প্রশাসন বলছে, কৃষিপণ্য লকডাউনের বাইরে থাকায় চাষিদের চিন্তার কোনো কারণ নেই। তাছাড়া ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলোকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে অর্ডার নিয়ে কুরিয়ারে আম পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। এরইমধ্যে রাজশাহীর সব উপজেলায় এ ধরনের নির্দেশনা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বলেন, অসময়ে আম পাড়া বন্ধে এবং ক্যালসিয়াম কার্বাইড, পিজিআর, ফরমালিন, ইথোফেনের মতো কেমিক্যাল ব্যবহারের মাধ্যমে যেন আম পাকানো না হয় তার জন্য নামানোর ক্ষেত্রে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং পুলিশ কঠোরভাবে মনিটরিং করবে।

তবে স্থানীয়ভাবে আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে কোথাও কোথাও নির্ধারিত সময়ের আগে গাছে আম পাকলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়ে চাষিরা আম পাড়তে পারবেন।

রাজশাহী কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় এবার ১৭ হাজার ৫৭৩ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। উৎপাদন ধরা হয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন। গাছে ফলন মোটামুটি ভালো। ঝড়-ঝঞ্ঝা ও শিলাবৃষ্টির কবলে না পড়লে এই আম দিয়েই গোটা দেশের চাহিদা পূরণ সম্ভব।