নোয়াখালী প্রতিনিধি:
সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রাতের আঁধারে বসত বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। হামলা কারীরা পিটিয়ে কুপিয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী, তার মা বাবা সহ পরিবারের ৬ জনকে আহত করেছে।
শনিবার রাতে নোয়াখালী সদর উপজেলার ১ নং চর মটুয়া ইউনিয়নের নেওয়াজেরডগি গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহতদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় সন্ত্রাসী আলতাফ উদ্দিন মারুফ ও নোমানের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে আহতদের দাবী। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
চর মটুয়া ইউনিয়নের নেওয়াজেরডগি গ্রামের বাসিন্দা এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরমান আহমেদ জানান, তাদের প্রতিবেশী আলতাফ উদ্দিন মারুফ ও নোমানদের সঙ্গে তার বাবা শাহাবুদ্দিনের দীর্ঘদিন থেকে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জের ধরে শনিবার রাত ৮ টার দিকে স্থানীয় চিহ্নিত চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী আলতাফ উদ্দিন মারুফ, নোমান, সবুজ ও বাপ্পির নেতৃত্বে ১৪-১৫ জনের একদল যুবক রড, লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের বসত বাড়িতে অতর্কিত হমলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা বসতঘরে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এতে বাধা দিতে গেলে হামলাকারীরা কুপিয়ে ও পিটিয়ে ৬ জনকে আহত করে।
আহতরা হচ্ছেন, আরমান আহমেদ (২২), তার ববা শাহাবুদ্দিন (৫০), মা নাজমা বেগম (৪০), ছোট ভাই দশম শ্রেণীর শিক্ষর্থী রিফাত হোসেন (১৫), আলাউদ্দিন ও রাকিব হোসেন। হামলা কারীরা যাওয়ার পর তাদেরকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলায় আহত শাহাব উদ্দিন বলেন তিনি পেশায় দলিল লিখক। রবিবার একটি দলিল সৃজনবাবদ তার পকেটে থাকা ৫০ হাজার টাকা হামলা কারীরা লুট করে নিয়ে যায় বলে তাঁর দাবী।
হামলায় আহত নোবিপ্রবির শিক্ষার্থী আরও জানান, হামলাকারীরা তাদেরকে অব্যহত হুমকির মুখে রেখেছে। তারা নিরাপত্তাহীনতা ভূগছেন।
হামলায় অংশগ্রহণকারী বাপ্পি নামের যুবক তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি হামলায় অংশগ্রহণ করেন নি। আরমানদের বাড়িতে শোরচিৎকার শুনে তিনি সেখানে গেলে বাড়ির লোকজন তার চোখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে দেয়। এতে তিনি আহত হন।
সুধারাম মডেল থানার ওসি মো: নবীর হোসেন বলেন, শনিবার রাতে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে নেওয়াজেরডগি গ্রামে একটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ৬-৭ জন আহত হয়েছে। আহতরা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল পরিদর্শন করে আহতদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এঘটনায় রবিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত কোনপক্ষই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।