নিজেস্ব প্রতিবেদক, নোয়াখালী:
আলোচিত নোয়াখালীর বসুরহাট পৌর মেয়র এবার মৃত্যুর আগে তিন ভাগিনাসহ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে নিজের জানাযায় না যেতে ওসিয়ত করেছেন আব্দুল কাদের মির্জা।
মঙ্গলবার (১ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নে ঈদুল ফিতর পরবর্তী নিজের অনুসারীদের সাথে চা চক্র অনুষ্ঠানে বকৃক্তাকালে তিনি এই ওসিয়তের ঘোষণা দেন।
বকৃক্তাকালে কাদের মির্জা পানি হাতে শপথ করে বলেন, প্রথমে আমার ভাগিনা তিনটা ও বাদল। তারা যেন আমার জানাযায় না যায়। আমি যদি তাদের আগে মারা যাই, তারা আমার জানাযায় না যাক। আর হেগুনও যদি আমার আগে মারা যায়, আমিও জানাযায় যাইতাম নয়। কেন যাবনা এটা পরবর্তী পর্যায়ে কমু।
মেয়র বলেন, আমি চাই কোম্পানীগঞ্জে শান্তি। প্রথমে ১১টা প্রস্তাব দিছি। কিছু প্রস্তাব মানেনা, আমাদের দল থেকেও বাঁধা আছে। সকল দলে রাজনীতি করবে এটা মানেনা, ইউনিয়ন পরিষদের ভোট পেয়ার হবে এটা মানেনা। এই রকম কিছু দাবি মানেনা। তাহলে আমি বলেছি ঠিক আছে চারটি দাবি মানেন। অস্ত্রটা উদ্ধার করেন। জেলে যারা আছে তাদেরকে মুক্ত করে আনেন। মামলা গুলো কিভাবে সমাধান করা যায় এটার প্রক্রিয়াটা শুরু করেন। যে অপরাজনীতি কোম্পানীগঞ্জে চলতেছে এগুলো থেকে মানুষকে মুক্ত করেন।
ওনার তিন ভাগিনারা হলো, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু, উপজেলা আ’লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম রাহাত ও রামপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সালেকীন রিমন। এই তিন ভাগিনা কোম্পানীগঞ্জে আ’লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিবদমান দ্বন্দ্বে কাদের মির্জার শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে ভূমিকা রাখে। তিনজনই কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শক্রতার জের ধরে তিন ভাগিনার সাথে কাদের মির্জার সাপে নেউলে সম্পর্ক বিরাজ করছে। একে অপরের বিরুদ্ধে ফেইসবুক লাইভে এবং বিভিন্ন সভা সমাবেশে তির্যক বাক্যবাণে জর্জরিত করেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কাদের মির্জা সমর্থিত উপজেলা আ’লীগ সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মো.ইউনুস, রামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়রম্যান ইকবাল বাহার চৌধুরী প্রমূখ।