ঢাকা ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মালিকানা ছিনতাই করেও এনসিপি সংগঠন হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে: নাছির Blind Amjad receives Eid gift from Tarique Zia জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দৃষ্টি হারানো আমজাদ পেলো তারেক জিয়ার ঈদ উপহার ভাড়াটিয়ার দোকানে তালা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা School student murdered in trivial incident: Police unravel mystery নোয়াখালীতে তুচ্ছ ঘটনায় স্কুল ছাত্র খুন: রহস্য উদঘাটন করল পুলিশ তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে কবিরহাটের ইতালি মার্কেটে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ নিখোঁজের ২ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে কবিরহাটের পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ নিজ এলাকায় হামলার শিকার এনসিপি নেতা হান্নান মাসুদ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আহত-১৫

লক্ষীপুরে সেই ভূমি দস্যু জিল্লুরের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৪:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ৮২৪৬ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

লক্ষীপুর প্রতিনিধি:

 

লক্ষীপরে সেই চিহ্নিত ভূমি দস্যু জিল্লুর রহিমের কাছ থেকে ৪ গ্রামের মানুষের ২০০ একর জমি উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লক্ষীপুর প্রেস ক্লাবের সামনে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ও কুশাখালী ইউনিয়নের বাসিন্দারা এ আয়োজন করেন।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ভূক্তভোগী ফারুক হোসেন, জাবেদ হোসেন, আয়েশা বেগম, আবদুর রহমান, আবুল কালাম, সাইফুল ইসলাম, আবুল বাশার, মারজাহান বেগম ও মাজিয়া খাতুনসহ অর্ধ-শতাধিক নারী-পুরুষ। তারা তেওয়ারীগঞ্জের, চরমটুয়া, আন্ধারমানিক ও কুশাখালীর ফরাশগঞ্জ ও নলডগী গ্রামের বাসিন্দা।

 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জিল্লুর রহিম জমি সংক্রান্ত কাগজপত্র ভালো বুঝেন। সেই সুযোগ নিয়ে ওই গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের সঙ্গে প্রতারণা করে জিল্লুর নিজের ও স্ত্রীর নামে ২০০ একর জমি রেকর্ড করে নিয়েছেন। কমলনগর উপজেলা থেকে আসা মেঘনা নদী ভাঙনকবলিত কয়েকটি পরিবারের কাছে তিনি ভুয়া দলিল দিয়ে জমি বিক্রি করেছেন। কয়েক বছর পরই ওই জমিগুলো নিজের জমি বলে দাবি করে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে অসহায় পরিবারগুলোকে। জমি দাবি করায় জিল্লুর তার লোকজন দিয়ে ভুক্তভোগী কয়েকজনের ওপর হামলাও করেছেন। জিল্লুরের কাছ থেকে জমি উদ্ধারের জন্য আদালতে ২৭৪ জন বাসিন্দা মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া দুই মাস আগে লক্ষীপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের কাছে জিল্লুরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক তদন্তের জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন এডিএমকে ও পুলিশ সুপার দিয়েছেন সদর মডেল থানার ওসিকে। গত ৫ সেপ্টেম্বর ভূক্তভোগী গ্রামবাসী ঢাকা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনেও জিল্লুরের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন।

 

মারজাহান ও নাজমা বেগম জানায়, তারা নদী ভাঙনকবলিত পরিবার। কয়েক বছর আগে তারা প্রায় ৪০ শতাংশ জমি কিনে ফরাশগঞ্জে আসে। ওই জমিগুলো জিল্লুর তাদের কাছে বিক্রি করে। কিন্তু সম্প্রতি জিল্লুর ওই জমি নিজের বলে দাবি করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

লক্ষীপুরে সেই ভূমি দস্যু জিল্লুরের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৭:৫৪:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

লক্ষীপুর প্রতিনিধি:

 

লক্ষীপরে সেই চিহ্নিত ভূমি দস্যু জিল্লুর রহিমের কাছ থেকে ৪ গ্রামের মানুষের ২০০ একর জমি উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লক্ষীপুর প্রেস ক্লাবের সামনে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ও কুশাখালী ইউনিয়নের বাসিন্দারা এ আয়োজন করেন।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ভূক্তভোগী ফারুক হোসেন, জাবেদ হোসেন, আয়েশা বেগম, আবদুর রহমান, আবুল কালাম, সাইফুল ইসলাম, আবুল বাশার, মারজাহান বেগম ও মাজিয়া খাতুনসহ অর্ধ-শতাধিক নারী-পুরুষ। তারা তেওয়ারীগঞ্জের, চরমটুয়া, আন্ধারমানিক ও কুশাখালীর ফরাশগঞ্জ ও নলডগী গ্রামের বাসিন্দা।

 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জিল্লুর রহিম জমি সংক্রান্ত কাগজপত্র ভালো বুঝেন। সেই সুযোগ নিয়ে ওই গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের সঙ্গে প্রতারণা করে জিল্লুর নিজের ও স্ত্রীর নামে ২০০ একর জমি রেকর্ড করে নিয়েছেন। কমলনগর উপজেলা থেকে আসা মেঘনা নদী ভাঙনকবলিত কয়েকটি পরিবারের কাছে তিনি ভুয়া দলিল দিয়ে জমি বিক্রি করেছেন। কয়েক বছর পরই ওই জমিগুলো নিজের জমি বলে দাবি করে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে অসহায় পরিবারগুলোকে। জমি দাবি করায় জিল্লুর তার লোকজন দিয়ে ভুক্তভোগী কয়েকজনের ওপর হামলাও করেছেন। জিল্লুরের কাছ থেকে জমি উদ্ধারের জন্য আদালতে ২৭৪ জন বাসিন্দা মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া দুই মাস আগে লক্ষীপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের কাছে জিল্লুরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক তদন্তের জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন এডিএমকে ও পুলিশ সুপার দিয়েছেন সদর মডেল থানার ওসিকে। গত ৫ সেপ্টেম্বর ভূক্তভোগী গ্রামবাসী ঢাকা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনেও জিল্লুরের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন।

 

মারজাহান ও নাজমা বেগম জানায়, তারা নদী ভাঙনকবলিত পরিবার। কয়েক বছর আগে তারা প্রায় ৪০ শতাংশ জমি কিনে ফরাশগঞ্জে আসে। ওই জমিগুলো জিল্লুর তাদের কাছে বিক্রি করে। কিন্তু সম্প্রতি জিল্লুর ওই জমি নিজের বলে দাবি করছেন।