ঢাকা ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, পাঁচ শিশুসহ আহত-৬ মানবিক তারুণ্যের ৮ম যুব সম্মেলন ও এ্যাওয়ার্ড বিতরণ সম্পত্তির বিরোধ নিয়ে থানায় অভিযোগ, পুলিশের তদন্তকালে বাদীর উপর হামলা, আহত ৪ হাসনাত-সারজিস ছাত্রলীগ থেকে গিয়ে নতুন দলে এসেছে: ইসমাইল সম্রাট কবিরহাটের একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র শিরিন গার্ডেনে হামলার অভিযোগ, পুলিশসহ আহত ৭ সুধারামে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে জখম, অভিযোগ যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতকর্মীদের বিরুদ্ধে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মালিকানা ছিনতাই করেও এনসিপি সংগঠন হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে: নাছির Blind Amjad receives Eid gift from Tarique Zia জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দৃষ্টি হারানো আমজাদ পেলো তারেক জিয়ার ঈদ উপহার ভাড়াটিয়ার দোকানে তালা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

পৌর বাসির ভালোবাসয় পুনরায় মেয়ার নির্বাচিত হলেন শহীদউল্যা খান সোহেল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:০৫:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২২ ৩৫১৮ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

 

অনুষ্ঠিত বহুল আলোচিত দেড়’শ বছরের ঐতিহ্যবাহী নোয়াখালী পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. সহিদ উল্যাহ খান সোহেল টানা দ্বিতীয় বারের মত মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

 

রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নোয়াখালী জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. রবিউল আলম এই বেসরকারি ফল ঘোষনা করেন। এসময় তিনি জানান, সকাল ৮টা থেকে শান্তিপূর্ণ ভাবে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয়। সন্ধ্যায় পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৩৪টি কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষ হয়।

 

ইভিএমে প্রদত্ত ভোটে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সহিদ উল্যাহ খান সোহেল ২৬ হাজার ৪০৮ ভোট পেয়ে বে-সরকারী ভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কম্পিউটার প্রতীকের শহিদুল ইসলাম কিরণ (স্বতন্ত্র প্রার্থী) ৮ হাজার ৬২৮ ভোট এবং মোবাইল প্রতীকের প্রার্থী লুৎফুর হায়দার লেলিন ২ হাজার ২৪৪ ভোট পেয়েছেন। এই নির্বাচনে মেয়র পদে সাত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

 

উৎসবমুখর এই নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সকালের দিকে ভোটারের ভিড় থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি কমে যায়। নির্বাচনের আগে ভোটারদের মাঝে উৎকণ্ঠা দেখা গেলেও ভোটের দিন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় ভোটগ্রহণ।

 

পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৩৪টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হয়। প্রতিকূল আবহাওয়া মাড়িয়ে শীতের সকালে কেন্দ্রে হাজির হন ভোটাররা। তবে ভোটকেন্দ্রে পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।

 

দুপুরের দিকে পৌরসভার গোপাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে যান ১১০ বছর বয়সী আফিয়া খাতুন। তিনি বলেন, ‘জীবনে হইতো এটাই শেষ ভোট আমার। তাই কষ্ট করে অ্যাইছি ভোট দিতে। ভোট দিয়ে মেলা শান্তি পাইছি।’

 

আল ফারুক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে যান নাজমুন নাহার। তিনি বলেন, ‘ইভিএমে ভোট হচ্ছে । জীবনে প্রথম ইভিএমে ভোট দেব। তাই তাড়াতাড়ি বাড়ি থেকে আসছি।’

 

নোয়াখালী পৌরসভার ৭৫ হাজার ৭২৬ জন ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ৩৭ হাজার ৪০১ ও নারী ৩৮ হাজার ৩২৫ জন। নির্বাচনে মেয়র পদে সাত জন, ৯টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৪ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৬৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

 

ভোট চলাকালে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের অনিয়মের অভিযোগও তোলেননি মেয়র প্রার্থীরা।

 

জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, আওয়ামী লীগ প্রার্থী সহিদ উল্যাহ খান সোহেল ২৬ হাজার ৪০৮ ভোট পেয়ে বে-সরকারী ভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কম্পিউটার প্রতীকের শহিদুল ইসলাম কিরণ (স্বতন্ত্র প্রার্থী) ৮ হাজার ৬২৮ ভোট এবং মোবাইল প্রতীকের প্রার্থী লুৎফুর হায়দার লেলিন ২ হাজার ২৪৪ ভোট পেয়েছেন। এই নির্বাচনে মেয়র পদে সাত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

 

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম জানান, ‘প্রতিটি কেন্দ্রকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখেছি। সে মোতাবেক ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য ৭৫০ পুলিশ, ৪৫০ আনসার, তিন প্লাটুন বিজিবি, তিন প্লাটুন র‍্যাব, পুলিশের চারটি মোবাইল টিম, একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন।

 

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু এবং সুন্দর পরিবেশে ভোটগ্রহণ হয়েছে। নির্বাচনে কোনো অনিয়মের ঘটনা ঘটেনি। কেন্দ্রের ভেতর ও বাইরে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে ছিল।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

পৌর বাসির ভালোবাসয় পুনরায় মেয়ার নির্বাচিত হলেন শহীদউল্যা খান সোহেল

আপডেট সময় : ১০:০৫:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২২

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

 

অনুষ্ঠিত বহুল আলোচিত দেড়’শ বছরের ঐতিহ্যবাহী নোয়াখালী পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. সহিদ উল্যাহ খান সোহেল টানা দ্বিতীয় বারের মত মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

 

রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নোয়াখালী জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. রবিউল আলম এই বেসরকারি ফল ঘোষনা করেন। এসময় তিনি জানান, সকাল ৮টা থেকে শান্তিপূর্ণ ভাবে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয়। সন্ধ্যায় পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৩৪টি কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষ হয়।

 

ইভিএমে প্রদত্ত ভোটে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সহিদ উল্যাহ খান সোহেল ২৬ হাজার ৪০৮ ভোট পেয়ে বে-সরকারী ভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কম্পিউটার প্রতীকের শহিদুল ইসলাম কিরণ (স্বতন্ত্র প্রার্থী) ৮ হাজার ৬২৮ ভোট এবং মোবাইল প্রতীকের প্রার্থী লুৎফুর হায়দার লেলিন ২ হাজার ২৪৪ ভোট পেয়েছেন। এই নির্বাচনে মেয়র পদে সাত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

 

উৎসবমুখর এই নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সকালের দিকে ভোটারের ভিড় থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি কমে যায়। নির্বাচনের আগে ভোটারদের মাঝে উৎকণ্ঠা দেখা গেলেও ভোটের দিন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় ভোটগ্রহণ।

 

পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৩৪টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হয়। প্রতিকূল আবহাওয়া মাড়িয়ে শীতের সকালে কেন্দ্রে হাজির হন ভোটাররা। তবে ভোটকেন্দ্রে পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।

 

দুপুরের দিকে পৌরসভার গোপাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে যান ১১০ বছর বয়সী আফিয়া খাতুন। তিনি বলেন, ‘জীবনে হইতো এটাই শেষ ভোট আমার। তাই কষ্ট করে অ্যাইছি ভোট দিতে। ভোট দিয়ে মেলা শান্তি পাইছি।’

 

আল ফারুক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে যান নাজমুন নাহার। তিনি বলেন, ‘ইভিএমে ভোট হচ্ছে । জীবনে প্রথম ইভিএমে ভোট দেব। তাই তাড়াতাড়ি বাড়ি থেকে আসছি।’

 

নোয়াখালী পৌরসভার ৭৫ হাজার ৭২৬ জন ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ৩৭ হাজার ৪০১ ও নারী ৩৮ হাজার ৩২৫ জন। নির্বাচনে মেয়র পদে সাত জন, ৯টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৪ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৬৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

 

ভোট চলাকালে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের অনিয়মের অভিযোগও তোলেননি মেয়র প্রার্থীরা।

 

জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, আওয়ামী লীগ প্রার্থী সহিদ উল্যাহ খান সোহেল ২৬ হাজার ৪০৮ ভোট পেয়ে বে-সরকারী ভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কম্পিউটার প্রতীকের শহিদুল ইসলাম কিরণ (স্বতন্ত্র প্রার্থী) ৮ হাজার ৬২৮ ভোট এবং মোবাইল প্রতীকের প্রার্থী লুৎফুর হায়দার লেলিন ২ হাজার ২৪৪ ভোট পেয়েছেন। এই নির্বাচনে মেয়র পদে সাত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

 

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম জানান, ‘প্রতিটি কেন্দ্রকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখেছি। সে মোতাবেক ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য ৭৫০ পুলিশ, ৪৫০ আনসার, তিন প্লাটুন বিজিবি, তিন প্লাটুন র‍্যাব, পুলিশের চারটি মোবাইল টিম, একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন।

 

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু এবং সুন্দর পরিবেশে ভোটগ্রহণ হয়েছে। নির্বাচনে কোনো অনিয়মের ঘটনা ঘটেনি। কেন্দ্রের ভেতর ও বাইরে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে ছিল।’