৩০ মিটার গভীর কুয়ায় আটকে থাকা শিশু রায়ানের জীবনের করুণ সমাপ্তি
- আপডেট সময় : ১১:৪২:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ৪৫৫৬ বার পড়া হয়েছে
টানা পাঁচ দিন উদ্ধারকর্মীদের আপ্রাণ চেষ্টা সত্ত্বেও জীবিত উদ্ধার করা গেল না শিশু রায়ানকে। মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) ৩০ মিটার (১০৪ ফুট) গভীর কুয়ায় আটকে পড়ে যায় শিশুটি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোর উত্তরাঞ্চলের একটি গ্রামে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের। আপ্রাণ চেষ্টা করেও জীবিত উদ্ধার করা যায়নি রায়ানকে। শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় রায়ানের নিথর দেহ গভীর কুয়া থেকে বের করে আনেন উদ্ধারকর্মীরা। দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শিশু রায়নকে উদ্ধার অভিযানের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা হয়। ভিডিওতে দেখা গেছে, শত শত উদ্বিগ্ন উদ্ধারকর্মী এবং উৎসুক জনতা ওই স্থানে জড়ো হয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে সাহায্য চাইছেন। এ সময় তাদের মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইটে কুয়ার আশপাশ আলোকিত হয়ে ওঠে।
রায়ান কুয়ায় পড়ে যাওয়ার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই উদ্ধার তৎপরতা চলছিল। তবে এ কাজে বেশ বাধার মুখে পড়েছেন উদ্ধারকারীরা। কুয়ার মুখ দিয়ে প্রবেশ করে রায়ানের কাছে পৌঁছানোর উপায় ছিল না। কারণ মাটিতে পাথর ও বালুর সংমিশ্রণ ছিল। এর ফলে কুয়ার সংকীর্ণ মুখে খোঁড়াখুঁড়ি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। যেকোনো সময় ধসের ঘটনা ঘটতে পারতো।
তবে এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে কৌশলে শিশুটিকে উদ্ধারের পথ বেছে নেওয়া হয়। কুয়ার কাছে বুলডোজার দিয়ে খোঁড়া হয় নালা। সেটি ব্যবহার করে আড়াআড়িভাবে শিশুটির কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হয়।
শনিবার স্থানীয় কয়েকটি গণমাধ্যম জানিয়েছিল, শিশুটির থেকে আর মাত্র ১ দশমিক ৮ মিটার দূরে রয়েছেন উদ্ধারকারীরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রায়ানকে উদ্ধার করা হলেও ততক্ষণে তার মৃত্যু হয়েছে। মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ রায়ানের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের প্রতি গভীর শোক জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ৫ দিন আগে শিশু রায়ানের বাবা কুয়াটির মেরামত কাজ করছিলেন। সে সময় রায়ান হঠাৎ করে কুয়ায় পড়ে যায়।