ঢাকা ০৮:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

হত্যার ১৬ বছর পর মামলার রায়ে দুই ভাসুরের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:১৫:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ অগাস্ট ২০২২ ৯০০৭ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালী সদর উপজেলায় পূর্ব বিরোধের জেরধরে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে হত্যার দায়ে দুই ভাসুরকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন আদালত।

 

দন্ডিত মাইনুদ্দিন (৪৫) ও সবুজ (৩০) নোয়াখালীর সদর উপজেলার দয়ারামদি গ্রামের সারেং বাড়ির তাজুল ইসলামের ছেলে।

 

নোয়াখালী জেলা বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এনএম মোর্শেদ খান গতকাল সোমবার বিকেল ৪টার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন। যাবজ্জীবনের পাশাপাশি আদালত তাদেরকে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং তা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন।

 

রায় ঘোষণার সময় আসামি মাইনুদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এরপর তাকে পুলিশ পাহারায় নোয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। তবে অপর আসামি সবুজ পলাতক ছিলেন।

 

আদালতের নথি ও মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী সূত্রে জানা যা, ২০০৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে আসামি মাইনুদ্দিন ও সবুজ গৃহবধূ আমেনা বেগমকে মারধর করে হত্যা করেন। আমেনার স্বামী বিদেশ থাকায় তার মা রোমেনা বেগমকে জানান। এরপর দ্রুত মরদেহ দাফন করেন।

 

নিহতের মা রোমেনা বেগম বলেন, তারা আমার মেয়েকে হত্যা করে দ্রুত মরদেহ দাফন করে। পরবর্তীতে তিনি পুকুরে তার জামা কাপড় ভাসতে দেখে। আখি ও টুটুল নামে দুই নাতি তাদের মায়ের মৃত্যুর বর্ণনা দেয়। পরবর্তীতে তিনি বাদী হয়ে ২০০৬ সালের ২১ মার্চ আদালতে মামলা করেন।

 

রাষ্ট্রপক্ষের নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের কৌঁসুলি (পিপি) মো. এমদাদ হোসেন কৈশোর বলেন, দীর্ঘ শুনানী শেষে এ মামলায় অভিযুক্ত মাইনুদ্দিন ও সবুজকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- দিয়েছে আদালত। আদালত উক্ত মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় ঘোষণা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

হত্যার ১৬ বছর পর মামলার রায়ে দুই ভাসুরের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

আপডেট সময় : ০৭:১৫:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ অগাস্ট ২০২২

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালী সদর উপজেলায় পূর্ব বিরোধের জেরধরে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে হত্যার দায়ে দুই ভাসুরকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন আদালত।

 

দন্ডিত মাইনুদ্দিন (৪৫) ও সবুজ (৩০) নোয়াখালীর সদর উপজেলার দয়ারামদি গ্রামের সারেং বাড়ির তাজুল ইসলামের ছেলে।

 

নোয়াখালী জেলা বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এনএম মোর্শেদ খান গতকাল সোমবার বিকেল ৪টার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন। যাবজ্জীবনের পাশাপাশি আদালত তাদেরকে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং তা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন।

 

রায় ঘোষণার সময় আসামি মাইনুদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এরপর তাকে পুলিশ পাহারায় নোয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। তবে অপর আসামি সবুজ পলাতক ছিলেন।

 

আদালতের নথি ও মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী সূত্রে জানা যা, ২০০৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে আসামি মাইনুদ্দিন ও সবুজ গৃহবধূ আমেনা বেগমকে মারধর করে হত্যা করেন। আমেনার স্বামী বিদেশ থাকায় তার মা রোমেনা বেগমকে জানান। এরপর দ্রুত মরদেহ দাফন করেন।

 

নিহতের মা রোমেনা বেগম বলেন, তারা আমার মেয়েকে হত্যা করে দ্রুত মরদেহ দাফন করে। পরবর্তীতে তিনি পুকুরে তার জামা কাপড় ভাসতে দেখে। আখি ও টুটুল নামে দুই নাতি তাদের মায়ের মৃত্যুর বর্ণনা দেয়। পরবর্তীতে তিনি বাদী হয়ে ২০০৬ সালের ২১ মার্চ আদালতে মামলা করেন।

 

রাষ্ট্রপক্ষের নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের কৌঁসুলি (পিপি) মো. এমদাদ হোসেন কৈশোর বলেন, দীর্ঘ শুনানী শেষে এ মামলায় অভিযুক্ত মাইনুদ্দিন ও সবুজকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- দিয়েছে আদালত। আদালত উক্ত মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় ঘোষণা করেন।