ঢাকা ০১:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মালিকানা ছিনতাই করেও এনসিপি সংগঠন হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে: নাছির Blind Amjad receives Eid gift from Tarique Zia জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দৃষ্টি হারানো আমজাদ পেলো তারেক জিয়ার ঈদ উপহার ভাড়াটিয়ার দোকানে তালা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা School student murdered in trivial incident: Police unravel mystery নোয়াখালীতে তুচ্ছ ঘটনায় স্কুল ছাত্র খুন: রহস্য উদঘাটন করল পুলিশ তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে কবিরহাটের ইতালি মার্কেটে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ নিখোঁজের ২ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে কবিরহাটের পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ নিজ এলাকায় হামলার শিকার এনসিপি নেতা হান্নান মাসুদ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আহত-১৫

আবুধাবিতে অগ্নিকান্ডে নোয়াখালীর ৩ যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩৭:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩ ১৭৭৬৩ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

আবুধাবিতে গভীর রাতে একটি ফার্নিচার দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে তিন যুবক আগুনে পুড়ে মারা গেছেন।
নিহতদের সবার বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায়। তাদের মৃত্যুর সংবাদে পরিবারে বইছে শোকের মাতম।

 

নিহতরা হচ্ছেন ফার্নিচার দোকান ব্যবসায়ী মো. ইউছুফ (৪৩) তিনি উপজেলার পলতি গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের-মহব্বতের নেছা দম্পতির ছেলে, দোকান কর্মচারী মো. রাসেল (৩২) তিনি মতৈন গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াহাব-শরীফা বেগম দম্পতির ছেলে এবং অপর জন হচ্ছেন পলতি গ্রামের মীর আহাম্মদ-পেয়ারা বেগম দম্পতির ছেলে।

 

সোমবার (২৯ মে) দিনগত রাত তিনটার দিকে আবুধাবির স্থানীয় সময়) দেশটির সারজা এলাকায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

 

সেনবাগ থানার ওসি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারি ও নিহত ফার্নিচার দোকান ব্যবসায়ীর বড় ভাই ডাক্তার মো. রসুল মঙ্গল বার রাত ৯টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

নিহত ব্যবসায়ী মো. ইউছুফ এর বড় ভাই মো. রসুল বলেন, তার ছোট ভাই দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে আবুধাবিতে প্রবাস জীবন যাপন করে আসছিলেন। গত দুই বছর আগে তিনি আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে সারজা এলাকায় একটি ফার্নিসার (সোফা তৈরী- বিক্রির ব্যবসা) শুরু করেন। গত পাঁচ বছর আগে তিনি সর্বশেষ বাড়ি এসেছিলেন। তার সংসারে স্ত্রী নুরনাহার বেগম, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী বড় ছেল মাইনুল ইসলাম মিলন (২০) ও ৫ম শ্রেনীর ছাত্র মেহেদী হাসান সিফাত রয়েছেন।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার রাতে দোকান বন্ধ করে ভিতরে ইউছুফ দোকান কর্মচারী রাসেল ও বেড়াতে আসা মো. তারেক হোসেন ঘুমিয়ে পড়েন। আবুধাবীর স্থানীয় সময় রাত তিনটার দিকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে দোকানে আগুনের সূত্রপাত হলে দোকানের ভিতরে ঘুমের মধ্যেই তিনজন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারাযান। মঙ্গল বার সকালে আবুধাবিতে বসবাসরত ইউছুফের স্বজন আবুল বাশার ও আনোয়ার হোসেন মোবাইল ফোনে কল করে তাদের মৃত্যুর খবর দেন। মৃত্যুর সংবাদ শুনে তিন পরিবারে কান্নার রোল পড়ে যায়। পরিবার গুলোর দাবি নিহতদের মরদেহ যেন দেশের বাড়িতে পাঠায় যাতে করে শেষ বারের মত তাদেরকে একবার দেখাতে পান।

 

ওসি মো. ইক্ববাল হোসেন পাটোয়ারি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন মৃত প্রবাসীদের ব্যাপারে বিস্তারিত খোজ খবর নিচ্ছে পুলিশ।

 

নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহাবুর রহমান বলেন, তিনি এ ঘটনা শুনেননি তবে খোজ খবর নিয়ে জানাবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

আবুধাবিতে অগ্নিকান্ডে নোয়াখালীর ৩ যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু

আপডেট সময় : ১১:৩৭:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

আবুধাবিতে গভীর রাতে একটি ফার্নিচার দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে তিন যুবক আগুনে পুড়ে মারা গেছেন।
নিহতদের সবার বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায়। তাদের মৃত্যুর সংবাদে পরিবারে বইছে শোকের মাতম।

 

নিহতরা হচ্ছেন ফার্নিচার দোকান ব্যবসায়ী মো. ইউছুফ (৪৩) তিনি উপজেলার পলতি গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের-মহব্বতের নেছা দম্পতির ছেলে, দোকান কর্মচারী মো. রাসেল (৩২) তিনি মতৈন গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াহাব-শরীফা বেগম দম্পতির ছেলে এবং অপর জন হচ্ছেন পলতি গ্রামের মীর আহাম্মদ-পেয়ারা বেগম দম্পতির ছেলে।

 

সোমবার (২৯ মে) দিনগত রাত তিনটার দিকে আবুধাবির স্থানীয় সময়) দেশটির সারজা এলাকায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

 

সেনবাগ থানার ওসি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারি ও নিহত ফার্নিচার দোকান ব্যবসায়ীর বড় ভাই ডাক্তার মো. রসুল মঙ্গল বার রাত ৯টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

নিহত ব্যবসায়ী মো. ইউছুফ এর বড় ভাই মো. রসুল বলেন, তার ছোট ভাই দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে আবুধাবিতে প্রবাস জীবন যাপন করে আসছিলেন। গত দুই বছর আগে তিনি আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে সারজা এলাকায় একটি ফার্নিসার (সোফা তৈরী- বিক্রির ব্যবসা) শুরু করেন। গত পাঁচ বছর আগে তিনি সর্বশেষ বাড়ি এসেছিলেন। তার সংসারে স্ত্রী নুরনাহার বেগম, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী বড় ছেল মাইনুল ইসলাম মিলন (২০) ও ৫ম শ্রেনীর ছাত্র মেহেদী হাসান সিফাত রয়েছেন।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার রাতে দোকান বন্ধ করে ভিতরে ইউছুফ দোকান কর্মচারী রাসেল ও বেড়াতে আসা মো. তারেক হোসেন ঘুমিয়ে পড়েন। আবুধাবীর স্থানীয় সময় রাত তিনটার দিকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে দোকানে আগুনের সূত্রপাত হলে দোকানের ভিতরে ঘুমের মধ্যেই তিনজন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারাযান। মঙ্গল বার সকালে আবুধাবিতে বসবাসরত ইউছুফের স্বজন আবুল বাশার ও আনোয়ার হোসেন মোবাইল ফোনে কল করে তাদের মৃত্যুর খবর দেন। মৃত্যুর সংবাদ শুনে তিন পরিবারে কান্নার রোল পড়ে যায়। পরিবার গুলোর দাবি নিহতদের মরদেহ যেন দেশের বাড়িতে পাঠায় যাতে করে শেষ বারের মত তাদেরকে একবার দেখাতে পান।

 

ওসি মো. ইক্ববাল হোসেন পাটোয়ারি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন মৃত প্রবাসীদের ব্যাপারে বিস্তারিত খোজ খবর নিচ্ছে পুলিশ।

 

নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহাবুর রহমান বলেন, তিনি এ ঘটনা শুনেননি তবে খোজ খবর নিয়ে জানাবেন।