কবিরহাটে বাজার ইজারা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত-১২

- আপডেট সময় : ০৮:০৬:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫ ১০৭ বার পড়া হয়েছে
নোয়াখালীর কবিরহাটে হাটবাজার ইজারার দরপত্র মূল্যায়ন শেষে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুই পক্ষের ভাষ্যমতে এতে তাদের অন্তত ১২জন আহত হয়েছে ।
আরো পড়ুন: ঘাঁস কাটতে গিয়ে দেখলো জঙ্গলে পড়ে আছে তরুণের অর্ধগলিত লাশ
বুধবার (১২ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূদম পুষ্প চাকমার কার্যালয়ের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আরো পড়ুন: নারী-শিশু ধর্ষণসহ সহিংসতার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কবিরহাট উপজেলার বার্ষিক হাটবাজার ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে উপজেলা প্রশাসন। এরপর সিডিউল ক্রয় করে অনেক নতুন ও পুরাতন দরদাতা দরপত্র জমা দেন। বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ওই দরপত্র মূল্যায়ন শেষে বাজার ইজারার প্রথম ধাপের কার্যক্রম সমাপ্তি করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূদম পুষ্প চাকমা। দরপত্র মূল্যায়ন শেষে সর্বোচ্চ ধর ২৩ লক্ষ টাকায় উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের আমিন বাজারের ইাজারা পায় নতুন দরদাতা চট্রগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামরুল হাসান আকাশ। এনিয়ে ইউএনও কার্যালয় থেকে বের হলে আমিন বাজারের পুরাতন ইজারাদার বিএনপি নেতা ধনু মেম্বার ও তার ছেলে ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব আব্দুল হাকিম সুজন অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরবর্তীতে তারা ইউএনও কার্যালয়ের সামনে দুই পক্ষ বাকবিতন্ডা ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরে উপজেলা পরিষদের মাঠে তাদের মধ্যে পুনরায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় দুই পক্ষের কমপক্ষে ১২জন আহত হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালসহ স্থানীয় একাধিক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন: ওষুধের কার্টনে মিলল নবজাতকের মরদেহ
যোগাযোগ করা হলে চট্রগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামরুল হাসান আকাশ বলেন, আমি কোনো দলের পরিচয়ে ইজারা পাইনি। ইজারা না পেয়ে ধনু মেম্বার ও তার ছেলে যুবদল নেতা সুজন গায়ে পড়ে মারামারি করতে চেয়েছে। এতে আমার একজন লোকের হাত ভেঙ্গে যায় এবং আরো কয়েকজন আহত হয়।
আরো পড়ুন: চাটখিলে ব্যবসায়ী সংগঠন আইবিডব্লিউএফ-এর ইফতার
অপরদিকে ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মো. আব্দুল হাকিম সুজনের ছোট ভাই সাবেক ছাত্রদল নেতা মিরাজুল ইসলাম মিরাজ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, আমাদের প্রায় ৯-১০জন লোক প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলায় আহত হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: নামাজ পড়তে গেলে মসজিদের শৌচাগারে শিশুকে বলৎকার
এ বিষয়ে জানতে কবিরহাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামরুল হুদা চৌধুরী লিটন এর মুঠোফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাই এ বিষয়ে তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরো পড়ুন: দেশব্যাপী ধর্ষণের ভয়াবহতা ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির প্রতিবাদে মানববন্ধন
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন মিয়া বলেন, ইজারা এক পক্ষ পেয়েছে আরেক পক্ষ পায়নি। এটা নিয়ে মনোমালিন্য ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিক ভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে বের করে দেয়। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, এটা নিয়ে মনে হয় অভিযোগ পড়বে।
আরো পড়ুন: টিকিটের সিরিয়লের সুযোগে হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি
কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূদম পুষ্প চাকমা বলেন, দরপত্র মূল্যায়নে অনেক মানুষ এসেছে। দরপত্র মূল্যায়ন শেষে জটলা হয়েছে। তখন আমি আমার অফিসে ছিলাম। তবে মারামারির কোনো ঘটনা দেখেনি। হাটবাজার ইজারার প্রথম ধাপের কার্যক্রম শেষ হয়েছে বলেও তিনি জানান।