জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত নোয়াখালীর আঞ্চলিক ও গ্রামীণ ৪শ কি:মি: সড়ক
- আপডেট সময় : ০৮:১২:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৩৫৯ বার পড়া হয়েছে
* চার মাসে বৃষ্টির পানি জমে জেলার ৯ উপজেলার প্রায় সড়কই ক্ষতিগ্রস্ত।
* এসব পথে চলাচলে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন যানবাহনের যাত্রী ও চালকরা।
* বেহাল সড়কে গাড়ি চালিয়ে যেমন হতে হচ্ছে রোগী, তেমনই নষ্ট হচ্ছে যানবহন।
বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতায় নোয়াখালীর ৯টি উপজেলার ২৯টি সড়কের প্রায় ৪০০ কিলোমিটারের উপরে সড়ক ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সড়কের কোথাও পিচ ঢালাই উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও আবার খানাখন্দে পানি জমে আছে। এসব পথে যাত্রী ও চালকরা প্রতিদিন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এতে দুর্ঘটনাও ঘটছে। নষ্ট হচ্ছে সড়কে চলাচল করা ছোট-বড় যানবহন। চলতি বছরের মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত—চার মাসে বৃষ্টির পানি জমে এসব সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আরো পড়ুন: সুধারামে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের দাবিতে বিক্ষোভ
নোয়াখালীর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডির) সূত্রে জানা গেছে, জলাবদ্ধতা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় সড়কের ক্ষতির পরিমাণও বেশি হয়েছে। প্রায় ৪০০ কিলোমিটার আঞ্চলিক ও গ্রামীণ এই সড়ক সংস্কারের জন্য উপজেলাভিত্তিক তালিকা করা হয়েছে। সে অনুযায়ী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বরাদ্দও চাওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন: অটোরিকশা উল্টে প্রাণ গেল নারীর, আহত-৪
গত ২০২৪ সালের আগস্টে ভারতের ত্রিপুরা থেকে বয়ে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে নোয়াখালী ও ফেনীতে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়। সে সময় সড়ক গুলোরও ব্যাপক ক্ষতি হয়। এখনো সেসব সড়ক পুরোপুরি সংস্কার করা হয়নি। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে চলতি বছরের টানা বৃষ্টির পানির জলাবদ্ধতা।
আরো পড়ুন: কুমিল্লায় তওহীদভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থার উপর গোলটেবিল বৈঠক
সম্প্রতি জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডোবা ও নালা ডুবে চার মাস ধরে সড়কে বৃষ্টির পানি জমে ছিল। দীর্ঘদিন এই জলাবদ্ধতার কারণে সড়কের মূল ক্ষতি হয়।
আরো পড়ুন: চেক ডিজ-অনার মামলায় সাবেক ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
এলজিইডির কর্মকর্তারা জানান, বৃষ্টিতে আঞ্চলিক ও গ্রামীণ পর্যায়ের ২৯টি সড়কের প্রায় ৪০০ কিলোমিটার ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নোয়াখালী সদর উপজেলার উদয়সাধুরহাট-করমুল্যা সড়ক, ওদারহাট-সফিগঞ্জ বাজার সড়ক, বাংলা বাজার-শান্তিরহাট সড়ক। সুবর্ণচর উপজেলার আটকপালিয়া-হালিম বাজার-বগার বাজার সড়ক, জনতা বাজার-কেরামতপুর বাজার সড়ক, পরিষ্কার বাজার-পাঙ্খার বাজার সড়ক, সমিতির বাজার-কাঞ্চন বাজার সড়ক, খাসেরহাট-সমিরহাট সড়ক, জাহাজমারা-ভূঁইয়ারহাট সড়ক, দক্ষিণ ওয়াপদা-আল আমিন বাজার সড়ক। সোনাইমুড়ী উপজেলার ধন্যপুর-চাঁদপুর সড়ক, আমিশাপাড়া কলেজ-স্যামেরখিল সড়ক, নবগ্রাম রুস্তম কোম্পানি মসজিদ-দুর্গা দৌলতপুর আবদুল জলিল পাটোয়ারী ব্রিজ সড়ক, ধন্যপুর আবু ডাক্তার সড়ক। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বামনি কলেজ-বাঞ্চারাম বাজার সড়ক, বসুরহাট বাংলা বাজার-এসপি আবু সুফিয়ান বাড়ি সড়ক, নতুন বাজার-বামনি সড়ক। কবিরহাট উপজেলার কবিরহাট-চাপরাশিরহাট-শাহজিরহাট সড়ক, আবদুল্যা মিয়ার হাট-শাহজিরহাট সড়ক, রহমত নগর-নলুয়া ভূঁইয়ারহাট সড়ক, চাপরাশিরহাট-গুল্লাখালি-মৌলভীবাজার সড়ক। হাতিয়া উপজেলার ডিসি সড়ক-ওয়াপদা সড়ক, কাজীরটেক-মহিউদ্দিন বাজার-দিদার বাজার-টিনের মসজিদ সড়ক। সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া-তেমুহনী সড়ক, বসন্তপুর-বিরাহিমপুর বাজার সড়ক, কুতুবের হাট-চন্দেরহাট-সেবারহাট সড়ক, সিলোনিয়া বাজার-তরিক উল্যা বীর বিক্রম-জমিদারহাট সড়ক এবং চাটখিল উপজেলার নোয়াখলা-রাহিমগঞ্জ সড়ক, বাজার রোড-সোনাচাকা সড়ক, মানিকপুর-ছান্দিয়াপাড়া-সপ্তগাঁও সড়কের ক্ষতি হয়েছে।
আরো পড়ুন: শ্রমিকদের কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ, হাতিয়ার ঘাটে মানববন্ধন
সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সদর উপজেলার উদয়সাধুরহাট-করমুল্যা সড়কের ২১ কিলোমিটার ও কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট-গুল্লাখালি-মৌলভীবাজার সড়কের প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়ক।
আরো পড়ুন: গাঁজা সেবন করে দুই বন্ধুর ঝগড়া, পানিতে ডুবে একজনের মৃত্যু
এছাড়াও উল্লেখিত তালিকার বাহিরেও সকল উপজেলার গ্রামীন সড়কের প্রায় ৮০% সড়কেরই বেহাল দশা।
আরো পড়ুন: দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশের রাজনৈতিক আকাশে মেঘ ধরেছে: মো.শাহজাহান
এলজিইডির নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মাহফুজুল হোসাইন বলেন, জলাবদ্ধতা স্থায়ী হওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে। জেলার ৯টি উপজেলায় প্রায় ৪০০ কিলোমিটার সড়কের ক্ষতির তালিকা করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।









