সংবাদ শিরোনাম ::
১৯ হাজার ব্যাগ রক্তদানে উই ফর ইউ বাসে বেশি ভাড়া নেওয়ার প্রতিবাদ করায় মাথা ফাটালো আইনজীবি যাত্রীর জমি বিক্রির টাকা আত্মসাত করতে অন্তঃসত্বা বোনকে হত্যা: গ্রেপ্তার-২ Drug dealer arrested with 8,000 pieces of Yaba ৮হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার মাদক কারবারি স্বামী জুয়া খেলায় অভিমানে মেয়েকে নিয়ে স্ত্রীর আত্মহত্যা নদী ভাঙ্গন রোধে ক্রসডেম নির্মাণ ও ব্লক স্থাপনের দাবিতে জামায়াতের পদযাত্রা সেবার আলো ফাউন্ডেশনের ১ম বর্ষপূর্তি উদযাপন ও স্বেচ্ছাসেবীদের মিলন মেলা ২০২৫ অনুষ্ঠিত নোয়াখালী কলেজ বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েসনের ঈদ পুনর্মিলনী দীর্ঘ ১৮ বছর পর ভোট দেয়ার জন্য আগ্রহী মানুষ-বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ফখরুল

পৃথিবীটা আবারও আগের মতো হেসে উঠুক: পিয়া

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০১:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মে ২০২০ ৭৫০ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এনকে বার্তা বিনোদন ডেস্ক :

মডেলিংয়ের পাশাপাশি উপস্থাপনাতেও সাফল্য কুড়িয়েছেন বহুমাত্রিক প্রতিভায় বিকশিত পিয়া জান্নাতুল। কাজ করেছেন নাটকে এবং সিনেমাতেও।

করোনার এই সময়টাতে ঘরে বসেই সময় কাটাচ্ছেন। মিডিয়ার তারকারা ধর্ম নিয়ে উদাসীন, অনেকেই এমনটা মনে করে থাকেন। কিন্তু এটি ভুল। সব তারকাই যার যার ধর্ম পালন করে থাকেন। মুসলিম তারকারাও রোজা রাখেন। রোজা নিয়ে শুটিং করেন, ব্যস্ত থাকেন নানা রকম কাজে।

করোনার এই ঘরবন্দী সময়ে রোজা নিয়ে অভিজ্ঞতা জানিয়ে পিয়া জান্নাতুল বলেন, আমি সবসময় ভাবতাম রোজার সময় যদি বাসাতেই থাকা যেত। এবার বাসাতেই থাকা হচ্ছে। আমার বাসায় থাকতে খারাপ লাগে না বরং ভালোই লাগে। কিন্তু এইবার সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগছে, কারণ সারা পৃথিবী থমকে গেছে।

ঘরে বসে বই পড়ছি, টিভি দেখছি, নিজের মত করে সময় কাটাচ্ছি, নিজের অনেক কাজ যেগুলো কখনোই করা হয় না সেগুলো করছি। দোয়া করছি, পৃথিবীটা আবারও আগের মতো হেসে উঠুক।

রোজা নিয়ে ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করে পিয়া বলেন, ছোটবেলায় রোজা রাখতে চাইতাম। একান্নবর্তী পরিবারে আমার বেড়ে ওঠা। আমরা এক সঙ্গে দাদা-দাদী, চাচাসহ পরিবারের আরও অনেক মানুষ মিলে একসঙ্গে সেহরি খেতাম ও ইফতার করতাম।

খুব ছোটবেলায় যখন রোজা রাখতে চাইতাম, তখন আম্মু বলতেন দিনের বেলায় অল্প খেলে রোজা ভাঙবে না, আমিও ভাবতাম পানি খেলে রোজা ভাঙবে না। এমন মজার অনেক স্মৃতি আছে। ছোটবেলায় ইফতারের সময় অনেক খাবার খেতে পারতাম না, কিন্তু আমার সামনে অনেক খাবার থাকা লাগতো।

আমাদের যৌথ পরিবার ছিল তাই আমরা সবাই একসঙ্গে ইফতার করতাম। আগে আব্বা আম্মা এসব আয়োজন করতেন। এখন আমার স্বামী সেটা করেন।

ছোটবেলা আর বড়বেলার পার্থক্য হচ্ছে, আগে শুধু নিজের কথা চিন্তা করতাম, এখন সবার কথা চিন্তা করি। এখন শুধু নিজের ফ্যামিলিই না, ফ্যামিলির বাইরে মানুষ, দেশের মানুষ নিয়ে ভাবি।

যতটুকু সম্ভব ততটুকুই মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। আমি মনে করি মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটানো প্রয়োজন প্রত্যেকটা মানুষের। মানবিকতা থাকলেই তো মানুষ একে অপরের পাশে দাঁড়াতে পারে।

খাবার প্রাধান্যের কথা যদি বলি তাহলে বলবো, আমি ইফতারের পরে রাত্রেও ভাত খাই আবার সেহরিতেও ভাত খাই। তবে একটু লাইট খাবার খাই। ইফতারে ছোলা, মুড়ি, শরবত এসব খাওয়া হয়। এগুলো বাড়িতেই তৈরি করা হয়। বাইরের খাবার খায় না। বাইরে থেকে শুধুমাত্র জিলাপি আনা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

পৃথিবীটা আবারও আগের মতো হেসে উঠুক: পিয়া

আপডেট সময় : ১১:০১:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মে ২০২০

এনকে বার্তা বিনোদন ডেস্ক :

মডেলিংয়ের পাশাপাশি উপস্থাপনাতেও সাফল্য কুড়িয়েছেন বহুমাত্রিক প্রতিভায় বিকশিত পিয়া জান্নাতুল। কাজ করেছেন নাটকে এবং সিনেমাতেও।

করোনার এই সময়টাতে ঘরে বসেই সময় কাটাচ্ছেন। মিডিয়ার তারকারা ধর্ম নিয়ে উদাসীন, অনেকেই এমনটা মনে করে থাকেন। কিন্তু এটি ভুল। সব তারকাই যার যার ধর্ম পালন করে থাকেন। মুসলিম তারকারাও রোজা রাখেন। রোজা নিয়ে শুটিং করেন, ব্যস্ত থাকেন নানা রকম কাজে।

করোনার এই ঘরবন্দী সময়ে রোজা নিয়ে অভিজ্ঞতা জানিয়ে পিয়া জান্নাতুল বলেন, আমি সবসময় ভাবতাম রোজার সময় যদি বাসাতেই থাকা যেত। এবার বাসাতেই থাকা হচ্ছে। আমার বাসায় থাকতে খারাপ লাগে না বরং ভালোই লাগে। কিন্তু এইবার সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগছে, কারণ সারা পৃথিবী থমকে গেছে।

ঘরে বসে বই পড়ছি, টিভি দেখছি, নিজের মত করে সময় কাটাচ্ছি, নিজের অনেক কাজ যেগুলো কখনোই করা হয় না সেগুলো করছি। দোয়া করছি, পৃথিবীটা আবারও আগের মতো হেসে উঠুক।

রোজা নিয়ে ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করে পিয়া বলেন, ছোটবেলায় রোজা রাখতে চাইতাম। একান্নবর্তী পরিবারে আমার বেড়ে ওঠা। আমরা এক সঙ্গে দাদা-দাদী, চাচাসহ পরিবারের আরও অনেক মানুষ মিলে একসঙ্গে সেহরি খেতাম ও ইফতার করতাম।

খুব ছোটবেলায় যখন রোজা রাখতে চাইতাম, তখন আম্মু বলতেন দিনের বেলায় অল্প খেলে রোজা ভাঙবে না, আমিও ভাবতাম পানি খেলে রোজা ভাঙবে না। এমন মজার অনেক স্মৃতি আছে। ছোটবেলায় ইফতারের সময় অনেক খাবার খেতে পারতাম না, কিন্তু আমার সামনে অনেক খাবার থাকা লাগতো।

আমাদের যৌথ পরিবার ছিল তাই আমরা সবাই একসঙ্গে ইফতার করতাম। আগে আব্বা আম্মা এসব আয়োজন করতেন। এখন আমার স্বামী সেটা করেন।

ছোটবেলা আর বড়বেলার পার্থক্য হচ্ছে, আগে শুধু নিজের কথা চিন্তা করতাম, এখন সবার কথা চিন্তা করি। এখন শুধু নিজের ফ্যামিলিই না, ফ্যামিলির বাইরে মানুষ, দেশের মানুষ নিয়ে ভাবি।

যতটুকু সম্ভব ততটুকুই মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। আমি মনে করি মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটানো প্রয়োজন প্রত্যেকটা মানুষের। মানবিকতা থাকলেই তো মানুষ একে অপরের পাশে দাঁড়াতে পারে।

খাবার প্রাধান্যের কথা যদি বলি তাহলে বলবো, আমি ইফতারের পরে রাত্রেও ভাত খাই আবার সেহরিতেও ভাত খাই। তবে একটু লাইট খাবার খাই। ইফতারে ছোলা, মুড়ি, শরবত এসব খাওয়া হয়। এগুলো বাড়িতেই তৈরি করা হয়। বাইরের খাবার খায় না। বাইরে থেকে শুধুমাত্র জিলাপি আনা হয়।