ঢাকা ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, পাঁচ শিশুসহ আহত-৬ মানবিক তারুণ্যের ৮ম যুব সম্মেলন ও এ্যাওয়ার্ড বিতরণ সম্পত্তির বিরোধ নিয়ে থানায় অভিযোগ, পুলিশের তদন্তকালে বাদীর উপর হামলা, আহত ৪ হাসনাত-সারজিস ছাত্রলীগ থেকে গিয়ে নতুন দলে এসেছে: ইসমাইল সম্রাট কবিরহাটের একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র শিরিন গার্ডেনে হামলার অভিযোগ, পুলিশসহ আহত ৭ সুধারামে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে জখম, অভিযোগ যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতকর্মীদের বিরুদ্ধে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মালিকানা ছিনতাই করেও এনসিপি সংগঠন হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে: নাছির Blind Amjad receives Eid gift from Tarique Zia জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দৃষ্টি হারানো আমজাদ পেলো তারেক জিয়ার ঈদ উপহার ভাড়াটিয়ার দোকানে তালা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

বন্যা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা মধ্যাঞ্চলের চার জেলায়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:২০:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই ২০২০ ৯৭৭ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রতিবেদক :

গঙ্গা-পদ্মা অববাহিকায় নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত এটা অব্যাহত থাকতে পারে। ইতোমধ্যে পদ্মার গোয়ালন্দ অংশে বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় মুন্সীগঞ্জের ভাগ্যকূল পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।

অন্যদিকে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে মানিকগঞ্জের আরিচা পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এ অবস্থায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী ও ফরিদপুর জেলায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে। গতকাল দুপুরে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এসব তথ্য জানিয়েছে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীগুলোর পানি কমছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এ অবস্থায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর ও সিরাজগঞ্জ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।

বুধবার সকাল ৯টার তথ্য অনুযায়ী, পর্যবেক্ষণাধীন ১০১টি পানি স্টেশনের মধ্যে ৫৩টির পানি বাড়ছে, ৪৭টির কমছে এবং একটির স্থিতিশীল রয়েছে। পানি বাড়তে থাকা স্টেশনগুলোর মধ্যে ১৪টি স্টেশনে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ধরলা নদীর কুড়িগ্রাম অংশে বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সে সঙ্গে ঘাঘটের গাইবান্ধা অংশে ৫০ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের নুনখাওয়া অংশে ৫২ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী অংশে ৬৩ সেন্টিমিটার, যমুনার ফুলছড়ি অংশে ৭৯ সেন্টিমিটার, যমুনার বাহাদুরবাদ অংশে ৮৪ সেন্টিমিটার, যমুনার সারিয়াকান্দি অংশে ৬৭ সেন্টিমিটার, যমুনার কাজিপুর অংশে ৭০ সেন্টিমিটার, আত্রাইয়ের বাঘাবাড়ি অংশে ৩৪ সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরীর এলাসিন অংশে ৩২ সেন্টিমিটার, পদ্মার গোয়ালন্দ অংশে ৩১ সেন্টিমিটার, সুরমার সুনামগঞ্জ অংশে ৯ সেন্টিমিটার এবং পুরোনো সুরমার দিরাই অংশে বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৩০ জুন) সকাল ৯টা থেকে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সময়ে ছাতকে ১৭৫ মিলিমিটার, সুনামগঞ্জে ১২১, লাটুতে ১২০, কানাইঘাটে ৮৬, জকিগঞ্জে ৭০ ও লালখানে ৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। একই সময়ে বাংলাদেশ-সংলগ্ন ভারত অংশের সিলচরে ১১৭ ও গ্যাংটকে ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

বন্যা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা মধ্যাঞ্চলের চার জেলায়

আপডেট সময় : ০৭:২০:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই ২০২০

প্রতিবেদক :

গঙ্গা-পদ্মা অববাহিকায় নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত এটা অব্যাহত থাকতে পারে। ইতোমধ্যে পদ্মার গোয়ালন্দ অংশে বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় মুন্সীগঞ্জের ভাগ্যকূল পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।

অন্যদিকে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে মানিকগঞ্জের আরিচা পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এ অবস্থায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী ও ফরিদপুর জেলায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে। গতকাল দুপুরে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এসব তথ্য জানিয়েছে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীগুলোর পানি কমছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এ অবস্থায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর ও সিরাজগঞ্জ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।

বুধবার সকাল ৯টার তথ্য অনুযায়ী, পর্যবেক্ষণাধীন ১০১টি পানি স্টেশনের মধ্যে ৫৩টির পানি বাড়ছে, ৪৭টির কমছে এবং একটির স্থিতিশীল রয়েছে। পানি বাড়তে থাকা স্টেশনগুলোর মধ্যে ১৪টি স্টেশনে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ধরলা নদীর কুড়িগ্রাম অংশে বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সে সঙ্গে ঘাঘটের গাইবান্ধা অংশে ৫০ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের নুনখাওয়া অংশে ৫২ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী অংশে ৬৩ সেন্টিমিটার, যমুনার ফুলছড়ি অংশে ৭৯ সেন্টিমিটার, যমুনার বাহাদুরবাদ অংশে ৮৪ সেন্টিমিটার, যমুনার সারিয়াকান্দি অংশে ৬৭ সেন্টিমিটার, যমুনার কাজিপুর অংশে ৭০ সেন্টিমিটার, আত্রাইয়ের বাঘাবাড়ি অংশে ৩৪ সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরীর এলাসিন অংশে ৩২ সেন্টিমিটার, পদ্মার গোয়ালন্দ অংশে ৩১ সেন্টিমিটার, সুরমার সুনামগঞ্জ অংশে ৯ সেন্টিমিটার এবং পুরোনো সুরমার দিরাই অংশে বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৩০ জুন) সকাল ৯টা থেকে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সময়ে ছাতকে ১৭৫ মিলিমিটার, সুনামগঞ্জে ১২১, লাটুতে ১২০, কানাইঘাটে ৮৬, জকিগঞ্জে ৭০ ও লালখানে ৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। একই সময়ে বাংলাদেশ-সংলগ্ন ভারত অংশের সিলচরে ১১৭ ও গ্যাংটকে ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।