ঢাকা ০৮:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

আগামী ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১০ কেজি করে চাল পাবেন ১ কোটি দুস্থ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৪০:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুলাই ২০২০ ৬৪৯ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় দেশের বন্যা ও অন্যান্য দুর্যোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ছাড়াও দুস্থ, অতিদরিদ্র ব্যক্তি ও পরিবারকে বিনা মূল্যে ১০ কেজি করে চাল দেবে সরকার। এজন্য এক কোটি ছয় হাজার ৮৬৯টি ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে এক লাখ ৬৮ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়ে গতকাল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

সেখানে বলা হয়েছে, ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ৬৪ জেলার ৪৯২টি উপজেলা এবং ‘ক’, ‘খ’ ও ‘গ’ ক্যাটেগরির ৩২৮টি পৌরসভার অতিদরিদ্র ও অসহায়-দুস্থ পরিবারপ্রতি ১০ কেজি করে চাল দিতে ৮৭ লাখ ৭৯ হাজার ২০৩টি ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে ৮৭ হাজার ৭৯২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া পৌরসভার জন্য ১২ লাখ ২৭ হাজার ৬৬৬টি ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে ১২ হাজার ২৭৬ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ খাদ্যশস্য আগামী ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে ডিসিদের উত্তোলন করতে হবে। বরাদ্দপত্রে বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসকরা ভিজিএফ বরাদ্দের বিষয়ে নিজ নিজ এলাকায় সংসদ সদস্যদের অবহিত করবেন।

‘ভিজিএফ উপকারভোগী বাছাইয়ে ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডভিত্তিক বরাদ্দকৃত ভিজিএফ কার্ড সংখ্যা পুনর্বিভাজন করে তালিকা তৈরি করতে হবে।’

দুস্থ বা অতিদরিদ্র ব্যক্তি বা পরিবারকে এই খাদ্য সহায়তা দিতে হবে বলে জানিয়ে বরাদ্দপত্রে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বন্যাক্রান্ত ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত দুস্থ ও অতিদরিদ্ররা অগ্রাধিকার পাবেন। সরকারের বেঁধে দেওয়া ১২ শর্তের মধ্যে চারটি পূরণ করে এমন ব্যক্তি বা পরিবারকে দুস্থ হিসেবে গণ্য করে সহায়তা দিতে হবে।

এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে যে পরিবারের মালিকানায় কোনো জমি নেই বা ভিটাবাড়ি ছাড়া কোনো জমি নেই, যে পরিবার দিনমজুরের আয়ের ওপর নির্ভরশীল, যে পরিবার মহিলা শ্রমিকের আয় বা ভিক্ষাবৃত্তির ওপর নির্ভরশীল, যে পরিবারে উপার্জনক্ষম পূর্ণবয়স্ক কোনো পুরুষ সদস্য নেই, যে পরিবারে স্কুলগামী শিশুকে উপার্জনের জন্য কাজ করতে হয়, যে পরিবারে উপার্জনশীল কোনো ব্যক্তি নেই, যে পরিবারের প্রধান স্বামী পরিত্যক্তা, বিচ্ছিন্ন বা তালাকপ্রাপ্তা মহিলা রয়েছে, যে পরিবারের প্রধান অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, যে পরিবারের প্রধান অসচ্ছল ও অক্ষম প্রতিবন্ধী, যে পরিবার কোনো ক্ষুদ্রঋণপ্রাপ্ত হয়নি, যে পরিবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়ে চরম খাদ্য বা অর্থ সংকটে পড়েছে এবং যে পরিবারের সদস্যরা বছরের অধিকাংশ সময় দু’বেলা খাবার পায় না।

সরকার বলছে, ইউনিয়ন বা পৌরসভা ভিজিএফ কমিটি কর্তৃক প্রকাশ্য সভায় বর্ণিত তালিকা প্রণীত ও প্রত্যয়িত হতে হবে। জেলা বা উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে বিতরণ কেন্দ্র পর্যন্ত চাল পৌঁছানোর পরিবহন ও আনুষঙ্গিক খরচ সরকারি খাত থেকে বহন করতে হবে। ভিজিএফ উপকারভোগীর তালিকা এমনভাবে করতে হবে, যাতে কোনো অবস্থাতেই একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি ভিজিএফ বরাদ্দ না পায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

আগামী ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১০ কেজি করে চাল পাবেন ১ কোটি দুস্থ

আপডেট সময় : ০৬:৪০:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুলাই ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় দেশের বন্যা ও অন্যান্য দুর্যোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ছাড়াও দুস্থ, অতিদরিদ্র ব্যক্তি ও পরিবারকে বিনা মূল্যে ১০ কেজি করে চাল দেবে সরকার। এজন্য এক কোটি ছয় হাজার ৮৬৯টি ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে এক লাখ ৬৮ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়ে গতকাল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

সেখানে বলা হয়েছে, ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ৬৪ জেলার ৪৯২টি উপজেলা এবং ‘ক’, ‘খ’ ও ‘গ’ ক্যাটেগরির ৩২৮টি পৌরসভার অতিদরিদ্র ও অসহায়-দুস্থ পরিবারপ্রতি ১০ কেজি করে চাল দিতে ৮৭ লাখ ৭৯ হাজার ২০৩টি ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে ৮৭ হাজার ৭৯২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া পৌরসভার জন্য ১২ লাখ ২৭ হাজার ৬৬৬টি ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে ১২ হাজার ২৭৬ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ খাদ্যশস্য আগামী ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে ডিসিদের উত্তোলন করতে হবে। বরাদ্দপত্রে বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসকরা ভিজিএফ বরাদ্দের বিষয়ে নিজ নিজ এলাকায় সংসদ সদস্যদের অবহিত করবেন।

‘ভিজিএফ উপকারভোগী বাছাইয়ে ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডভিত্তিক বরাদ্দকৃত ভিজিএফ কার্ড সংখ্যা পুনর্বিভাজন করে তালিকা তৈরি করতে হবে।’

দুস্থ বা অতিদরিদ্র ব্যক্তি বা পরিবারকে এই খাদ্য সহায়তা দিতে হবে বলে জানিয়ে বরাদ্দপত্রে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বন্যাক্রান্ত ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত দুস্থ ও অতিদরিদ্ররা অগ্রাধিকার পাবেন। সরকারের বেঁধে দেওয়া ১২ শর্তের মধ্যে চারটি পূরণ করে এমন ব্যক্তি বা পরিবারকে দুস্থ হিসেবে গণ্য করে সহায়তা দিতে হবে।

এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে যে পরিবারের মালিকানায় কোনো জমি নেই বা ভিটাবাড়ি ছাড়া কোনো জমি নেই, যে পরিবার দিনমজুরের আয়ের ওপর নির্ভরশীল, যে পরিবার মহিলা শ্রমিকের আয় বা ভিক্ষাবৃত্তির ওপর নির্ভরশীল, যে পরিবারে উপার্জনক্ষম পূর্ণবয়স্ক কোনো পুরুষ সদস্য নেই, যে পরিবারে স্কুলগামী শিশুকে উপার্জনের জন্য কাজ করতে হয়, যে পরিবারে উপার্জনশীল কোনো ব্যক্তি নেই, যে পরিবারের প্রধান স্বামী পরিত্যক্তা, বিচ্ছিন্ন বা তালাকপ্রাপ্তা মহিলা রয়েছে, যে পরিবারের প্রধান অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, যে পরিবারের প্রধান অসচ্ছল ও অক্ষম প্রতিবন্ধী, যে পরিবার কোনো ক্ষুদ্রঋণপ্রাপ্ত হয়নি, যে পরিবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়ে চরম খাদ্য বা অর্থ সংকটে পড়েছে এবং যে পরিবারের সদস্যরা বছরের অধিকাংশ সময় দু’বেলা খাবার পায় না।

সরকার বলছে, ইউনিয়ন বা পৌরসভা ভিজিএফ কমিটি কর্তৃক প্রকাশ্য সভায় বর্ণিত তালিকা প্রণীত ও প্রত্যয়িত হতে হবে। জেলা বা উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে বিতরণ কেন্দ্র পর্যন্ত চাল পৌঁছানোর পরিবহন ও আনুষঙ্গিক খরচ সরকারি খাত থেকে বহন করতে হবে। ভিজিএফ উপকারভোগীর তালিকা এমনভাবে করতে হবে, যাতে কোনো অবস্থাতেই একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি ভিজিএফ বরাদ্দ না পায়।