ঢাকা ০২:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

ঈদে সরকারি চাকরিজীবীরা পাচ্ছেন বর্ধিত বোনাস

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১১:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুলাই ২০২০ ৬৭৯ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রতিবেদক:

চাঁদ ওঠার ওপর ভিত্তি করে আসন্ন ঈদুল আজহা আগামী ৩১ জুলাই কিংবা ১ আগস্ট হতে পারে। তবে ১ আগস্ট ঈদ হলে বার্ষিক ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টসহ এক মাসের মূল বেতন ও বোনাস পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। ৩১ জুলাই ঈদ হলে ইনক্রিমেন্ট ছাড়া এক মাসের মূল বেতন ও বোনাস পাবেন তারা।

তবে ঈদের দিন হিসাব করে বোনাস দেয়া নিয়ে জটিলতায় পড়ে হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানতে চেয়ে গত ৫ জুলাই চিঠি দেয় হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়। সেই প্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়কে জানিয়েছে, আসছে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য দিন ১ আগস্ট ধরে বার্ষিক বর্ধিত জুলাই মাসে গৃহীত মূল বেতন বা পেনশনের ভিত্তিতে উৎসবভাতা প্রদান করতে হবে। ঈদুল আজহা যদি ৩১ জুলাই হয় তাহলে তা পরবর্তী মাসের বেতন বা পেনশন থেকে বর্ধিত টাকা সমন্বয় করতে হবে।

বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এছাড়া এবারের কোরবানির ঈদ ১ আগস্ট হলে বার্ধিত বোনাসে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় ১৩০ থেকে ১৪০ কোটি টাকা বাড়বে বলেও জানা গেছে।

এদিকে ২০১৫ সালের বেতন স্কেল অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবীদের প্রতি বছর ১ জুলাই থেকে বার্ষিক ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট কার্যকর হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ স্মারক অনুযায়ী, যে মাসে উৎসব অনুষ্ঠিত হবে তার পূর্ববর্তী মাসে আহরিত মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী উৎসবভাতা হিসেবে পাবেন। পেনশনারদের উৎসবভাতা প্রদানের ক্ষেত্রেও পূর্ববর্তী মাসের আহরিত পেনশনের সমপরিমাণ উৎসবভাতা প্রদানের অনুরূপ নির্দেশনা রয়েছে। ঈদুল আজহা যদি ১ আগস্ট ঈদ হয় তাহলে সরকারি চাকরিজীবীরা বোনাস পাবেন বার্ষিক বর্ধিত জুলাইয়ের মূল বেতনের সমান। যদি ঈদ ৩১ জুলাই হয় তাহলে তারা বোনাস পাবেন জুন মাসের মূল বেতনের সমান।

এ বিষয়টি সুরাহার জন্য গত ৫ জুলাই অর্থ সচিবের কাছে হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ স্মারক অনুযায়ী, যে মাসে উৎসব অনুষ্ঠিত হবে তার পূর্ববর্তী মাসে আহরিত মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী উৎসবভাতা হিসেবে পাবেন। পেনশনারদের উৎসবভাতা প্রদানের ক্ষেত্রেও পূর্ববর্তী মাসের আহরিত পেনশনের সমপরিমাণ উৎসবভাতা প্রদানের অনুরূপ নির্দেশনা রয়েছে।

এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ছুটির তালিকা অনুযায়ী, আসন্ন ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ আগামী ১ আগস্ট। যেহেতু উৎসব চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় ঈদুল আজহা ৩১ জুলাইও অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উৎসবভাতা গত মাসের আহরিত মূল বেতন বা পেনশনের ওপর পরিশোধিত হবে নাকি জুলাই মাসের মূল বেতন বা পেনশনের ওপর ভিত্তি করে প্রদেয় হবে সে বিষয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়।

বর্ণিত বিষয়ে এ কার্যালয়ের মতামত হচ্ছে, ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ১ আগস্ট ধরে বার্ষিক বর্ধিত বেতনসহ জুলাই মাসে গৃহীত মূল বেতন বা পেনশনের ভিত্তিতে ঈদুল আজহার উৎসবভাতা প্রদান করা যেতে পারে। ঈদুল আজহা ৩১ জুলাই হলে তা পরবর্তী মাসের বেতন বা পেনশন হতে সমন্বয় করা যেতে পারে। এ অবস্থায় সময়মতো কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পেনশনারদের উৎসবভাতা প্রদানের লক্ষ্যে ন্যূনতম ১০ কর্মদিবস প্রয়োজন বিধায় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দ্রুত প্রদানের জন্য আদিষ্ট হয়ে অনুরোধ জানায় হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

ঈদে সরকারি চাকরিজীবীরা পাচ্ছেন বর্ধিত বোনাস

আপডেট সময় : ০৯:১১:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুলাই ২০২০

প্রতিবেদক:

চাঁদ ওঠার ওপর ভিত্তি করে আসন্ন ঈদুল আজহা আগামী ৩১ জুলাই কিংবা ১ আগস্ট হতে পারে। তবে ১ আগস্ট ঈদ হলে বার্ষিক ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টসহ এক মাসের মূল বেতন ও বোনাস পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। ৩১ জুলাই ঈদ হলে ইনক্রিমেন্ট ছাড়া এক মাসের মূল বেতন ও বোনাস পাবেন তারা।

তবে ঈদের দিন হিসাব করে বোনাস দেয়া নিয়ে জটিলতায় পড়ে হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানতে চেয়ে গত ৫ জুলাই চিঠি দেয় হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়। সেই প্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়কে জানিয়েছে, আসছে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য দিন ১ আগস্ট ধরে বার্ষিক বর্ধিত জুলাই মাসে গৃহীত মূল বেতন বা পেনশনের ভিত্তিতে উৎসবভাতা প্রদান করতে হবে। ঈদুল আজহা যদি ৩১ জুলাই হয় তাহলে তা পরবর্তী মাসের বেতন বা পেনশন থেকে বর্ধিত টাকা সমন্বয় করতে হবে।

বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এছাড়া এবারের কোরবানির ঈদ ১ আগস্ট হলে বার্ধিত বোনাসে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় ১৩০ থেকে ১৪০ কোটি টাকা বাড়বে বলেও জানা গেছে।

এদিকে ২০১৫ সালের বেতন স্কেল অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবীদের প্রতি বছর ১ জুলাই থেকে বার্ষিক ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট কার্যকর হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ স্মারক অনুযায়ী, যে মাসে উৎসব অনুষ্ঠিত হবে তার পূর্ববর্তী মাসে আহরিত মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী উৎসবভাতা হিসেবে পাবেন। পেনশনারদের উৎসবভাতা প্রদানের ক্ষেত্রেও পূর্ববর্তী মাসের আহরিত পেনশনের সমপরিমাণ উৎসবভাতা প্রদানের অনুরূপ নির্দেশনা রয়েছে। ঈদুল আজহা যদি ১ আগস্ট ঈদ হয় তাহলে সরকারি চাকরিজীবীরা বোনাস পাবেন বার্ষিক বর্ধিত জুলাইয়ের মূল বেতনের সমান। যদি ঈদ ৩১ জুলাই হয় তাহলে তারা বোনাস পাবেন জুন মাসের মূল বেতনের সমান।

এ বিষয়টি সুরাহার জন্য গত ৫ জুলাই অর্থ সচিবের কাছে হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ স্মারক অনুযায়ী, যে মাসে উৎসব অনুষ্ঠিত হবে তার পূর্ববর্তী মাসে আহরিত মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী উৎসবভাতা হিসেবে পাবেন। পেনশনারদের উৎসবভাতা প্রদানের ক্ষেত্রেও পূর্ববর্তী মাসের আহরিত পেনশনের সমপরিমাণ উৎসবভাতা প্রদানের অনুরূপ নির্দেশনা রয়েছে।

এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ছুটির তালিকা অনুযায়ী, আসন্ন ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ আগামী ১ আগস্ট। যেহেতু উৎসব চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় ঈদুল আজহা ৩১ জুলাইও অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উৎসবভাতা গত মাসের আহরিত মূল বেতন বা পেনশনের ওপর পরিশোধিত হবে নাকি জুলাই মাসের মূল বেতন বা পেনশনের ওপর ভিত্তি করে প্রদেয় হবে সে বিষয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়।

বর্ণিত বিষয়ে এ কার্যালয়ের মতামত হচ্ছে, ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ১ আগস্ট ধরে বার্ষিক বর্ধিত বেতনসহ জুলাই মাসে গৃহীত মূল বেতন বা পেনশনের ভিত্তিতে ঈদুল আজহার উৎসবভাতা প্রদান করা যেতে পারে। ঈদুল আজহা ৩১ জুলাই হলে তা পরবর্তী মাসের বেতন বা পেনশন হতে সমন্বয় করা যেতে পারে। এ অবস্থায় সময়মতো কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পেনশনারদের উৎসবভাতা প্রদানের লক্ষ্যে ন্যূনতম ১০ কর্মদিবস প্রয়োজন বিধায় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দ্রুত প্রদানের জন্য আদিষ্ট হয়ে অনুরোধ জানায় হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়।