ঢাকা ০৪:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, পাঁচ শিশুসহ আহত-৬ মানবিক তারুণ্যের ৮ম যুব সম্মেলন ও এ্যাওয়ার্ড বিতরণ সম্পত্তির বিরোধ নিয়ে থানায় অভিযোগ, পুলিশের তদন্তকালে বাদীর উপর হামলা, আহত ৪ হাসনাত-সারজিস ছাত্রলীগ থেকে গিয়ে নতুন দলে এসেছে: ইসমাইল সম্রাট কবিরহাটের একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র শিরিন গার্ডেনে হামলার অভিযোগ, পুলিশসহ আহত ৭ সুধারামে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে জখম, অভিযোগ যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতকর্মীদের বিরুদ্ধে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মালিকানা ছিনতাই করেও এনসিপি সংগঠন হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে: নাছির Blind Amjad receives Eid gift from Tarique Zia জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দৃষ্টি হারানো আমজাদ পেলো তারেক জিয়ার ঈদ উপহার ভাড়াটিয়ার দোকানে তালা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

ঢাকার রাজধানীতে করোনার ১০ হটস্পট

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:২৭:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মে ২০২০ ৩৩০ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এনকে বার্তা ডেস্ক:

ঢাকা বিভাগে এবং রাজধানীতে দেশের সর্বাধিক করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি রয়েছেন। আর শুধু রাজধানীতেই রয়েছে ১০ করোনা হটস্পট। এরমধ্যে রাজারবাগ ও কাকরাইল শীর্ষে রয়েছে। শুক্রবার নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

নাসিমা সুলতানা বলেন, রাজধানীর ১০ করোনা হটস্পট হলো- রাজারবাগ, কাকরাইল, যাত্রাবাড়ী, মুগদা, মহাখালী, মোহাম্মদপুর, লালবাগ, তেজগাঁও এবং বাবুবাজার।

গত ৭ মে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) ওয়েবসাইটের তথ্য থেকে জানা গেছ, গতকাল বৃহস্পতিবার রাজারবাগে ২০০ জন, কাকরাইলে ১৬৭ জন, যাত্রাবাড়ীতে ১৬৩ জন, মুগদায় ১৪৯ জন, মহাখালীতে ১৩৩ জন, মোহাম্মদপুরে ১১৮ জন, লালবাগে ৯৭ জন, তেজগাঁওয়ে ৫ জন এবং বাবুবাজারে ৭৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

এর আগে গত ১ মে পর্যন্ত রাজধানীতে এককভাবে সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী রাজারবাগ এলাকার পাওয়া যায়। এর মধ্যে প্রায় সবাই রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে আক্রান্ত পুলিশ সদস্য এবং কাকরাইল এলাকার বাসিন্দারা। এরপর থেকেই মূলত এই এলাকাগুলোতে করোনা রোগী বাড়তে থাকে।

এদিকে করোনাভাইরাসের রোগী পাওয়ার পর গত ২৬ মার্চ থেকে রাজধানী ঢাকার প্রায় সব এলাকাগুলো অঘোষিতভাবে লকডাউন করা হয়। এরমধ্যে রাজধানীর ৫২ এলাকার কেউ বাইরে বের হতে পারতেন না। আর সেই এলাগাগুলোতেও কেউ ঢুকতে পারতেন না।

তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বিস্তার ঠেকাতে সরকারি-বেসরকারি অফিসে ছুটির মেয়াদ ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হলেও সীমিত পরিসরে খুলছে হাটবাজার, ব্যবসাকেন্দ্র, দোকানপাট শপিং মলগুলো। ঈদকে সামনে রেখে শর্তসাপেক্ষে আগামী ১০ মে থেকে এগুলোসহ অন্যান্য কার্যাবলি সীমিত আকারে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এরপর থেকেই মূলত এসব এলাকায় লকডাউন কিছুটা শিথিল হয়ে গেছে। যদিও লকডাউনের মধ্যেও রাজধানীর কিছু কিছু এলাকায় মানুষদেরকে লকডাউন মানতে দেখা যায়নি।

অন্যদিকে বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ৭ জন। এনিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছে ২০৬ জন। আর দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন ৭০৯ জন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় সংক্রমিত ১৩ হাজার ১৩৪ ব্যক্তি শনাক্ত হলেন।

প্রসঙ্গত, গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্তের ঘোষণা আসে। আর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

ঢাকার রাজধানীতে করোনার ১০ হটস্পট

আপডেট সময় : ০৭:২৭:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মে ২০২০

এনকে বার্তা ডেস্ক:

ঢাকা বিভাগে এবং রাজধানীতে দেশের সর্বাধিক করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি রয়েছেন। আর শুধু রাজধানীতেই রয়েছে ১০ করোনা হটস্পট। এরমধ্যে রাজারবাগ ও কাকরাইল শীর্ষে রয়েছে। শুক্রবার নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

নাসিমা সুলতানা বলেন, রাজধানীর ১০ করোনা হটস্পট হলো- রাজারবাগ, কাকরাইল, যাত্রাবাড়ী, মুগদা, মহাখালী, মোহাম্মদপুর, লালবাগ, তেজগাঁও এবং বাবুবাজার।

গত ৭ মে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) ওয়েবসাইটের তথ্য থেকে জানা গেছ, গতকাল বৃহস্পতিবার রাজারবাগে ২০০ জন, কাকরাইলে ১৬৭ জন, যাত্রাবাড়ীতে ১৬৩ জন, মুগদায় ১৪৯ জন, মহাখালীতে ১৩৩ জন, মোহাম্মদপুরে ১১৮ জন, লালবাগে ৯৭ জন, তেজগাঁওয়ে ৫ জন এবং বাবুবাজারে ৭৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

এর আগে গত ১ মে পর্যন্ত রাজধানীতে এককভাবে সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী রাজারবাগ এলাকার পাওয়া যায়। এর মধ্যে প্রায় সবাই রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে আক্রান্ত পুলিশ সদস্য এবং কাকরাইল এলাকার বাসিন্দারা। এরপর থেকেই মূলত এই এলাকাগুলোতে করোনা রোগী বাড়তে থাকে।

এদিকে করোনাভাইরাসের রোগী পাওয়ার পর গত ২৬ মার্চ থেকে রাজধানী ঢাকার প্রায় সব এলাকাগুলো অঘোষিতভাবে লকডাউন করা হয়। এরমধ্যে রাজধানীর ৫২ এলাকার কেউ বাইরে বের হতে পারতেন না। আর সেই এলাগাগুলোতেও কেউ ঢুকতে পারতেন না।

তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বিস্তার ঠেকাতে সরকারি-বেসরকারি অফিসে ছুটির মেয়াদ ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হলেও সীমিত পরিসরে খুলছে হাটবাজার, ব্যবসাকেন্দ্র, দোকানপাট শপিং মলগুলো। ঈদকে সামনে রেখে শর্তসাপেক্ষে আগামী ১০ মে থেকে এগুলোসহ অন্যান্য কার্যাবলি সীমিত আকারে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এরপর থেকেই মূলত এসব এলাকায় লকডাউন কিছুটা শিথিল হয়ে গেছে। যদিও লকডাউনের মধ্যেও রাজধানীর কিছু কিছু এলাকায় মানুষদেরকে লকডাউন মানতে দেখা যায়নি।

অন্যদিকে বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ৭ জন। এনিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছে ২০৬ জন। আর দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন ৭০৯ জন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় সংক্রমিত ১৩ হাজার ১৩৪ ব্যক্তি শনাক্ত হলেন।

প্রসঙ্গত, গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্তের ঘোষণা আসে। আর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।