ঢাকা ১০:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

সোনাইমুড়ীতে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:০০:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর ২০২০ ৩৯৮২ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে নিখোঁজের একদিন পর শাহদাত হোসেন (১৬) নামে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত শাহদাত হোসেন (১৫) সোনাইমুড়ী পৌরসভার কাঁঠালি গ্রামের কাদির মাষ্টার বাড়ীর মীর হোসেনের ছেলে এবং সোনাইমুড়ী সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল ৪ টায় নিহতের ঘরের আঙিনায় একটি পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত বুধবার সকাল ৯ টা থেকে সে নিখোঁজ ছিল।

স্থানিয় সূত্রে জানা জায়, পৌরসভার কাঠাঁলী গ্রামের কাদির মাষ্টার বাড়ির মির হোসেনের ছেলে সাহাদাত হোসেনের মুঠোফোনে বুধবার সকাল ৯ টার দিকে কল দিয়ে ডেকে নিয়ে যায় একই বাড়ীর জামালের ছেলে সুমন (২৮)। এর পর থেকে শাহাাদাতকে খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া যায়নি।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘরের পিছনের পুকুরে ঝোপের মধ্যে সাহাদাতের পরিধানের কাপড় ভাসতে দেখে ছোট বোন মারিয়া তার মা কে জানান। পরে কাপড় ধরে টান দিলেই ভেসে ওঠে সাহাদাতের লাশ। খবর পেয়ে সোনাইমুড়ী ওসি গিয়াস উদ্দিন, এএসপি সাইফুল আলম (চাটখিল সার্কেল) পিবিআই ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

নিহতের মা রোকসানা বেগম জানান, সুমন প্রায় সময় কোয়েম বহিরাগত ছেলেদের নিয়ে তার ঘরে মাদকসেবন করে আসছে। মঙ্গলবার রাতেও সে কয়েকজন বন্ধুদের নিয়ে ঘরে মাদক পার্টি দেয়। সুমনের খারাপ অভ্যাস জেনে ফেলেছে বলে সুমন তার ছেলেকে মেরে ফেলেছে।

এর আগে বুধবার ৯টার দিকে মুঠোফোনে কল দিয়ে সুমন ও তার বন্ধু পার্শ্ববর্তী নাওতা গ্রামের রিয়াজ সাহাদাত কে নিয়ে যায়। তাকে না পেয়ে বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলর হাফেজ আবু বকর সিদ্দিক দুলালকে জানালে সন্ধ্যায় সুমন কয়েক জন বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে বাড়িতে আসে। এসময় স্থানীয় লোকজন তাকে সাহাদাতের কথা জিজ্ঞেস করলে সে এবং তার বন্ধুরা স্থানীয়দের সাথে উত্তেজিত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে নাওতলা গ্রামের তার বন্ধু রিয়াজের চাচা লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সুমনকে চলে যায়।

সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গিয়াস উদ্দিন জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

সোনাইমুড়ীতে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় : ১২:০০:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর ২০২০

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে নিখোঁজের একদিন পর শাহদাত হোসেন (১৬) নামে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত শাহদাত হোসেন (১৫) সোনাইমুড়ী পৌরসভার কাঁঠালি গ্রামের কাদির মাষ্টার বাড়ীর মীর হোসেনের ছেলে এবং সোনাইমুড়ী সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল ৪ টায় নিহতের ঘরের আঙিনায় একটি পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত বুধবার সকাল ৯ টা থেকে সে নিখোঁজ ছিল।

স্থানিয় সূত্রে জানা জায়, পৌরসভার কাঠাঁলী গ্রামের কাদির মাষ্টার বাড়ির মির হোসেনের ছেলে সাহাদাত হোসেনের মুঠোফোনে বুধবার সকাল ৯ টার দিকে কল দিয়ে ডেকে নিয়ে যায় একই বাড়ীর জামালের ছেলে সুমন (২৮)। এর পর থেকে শাহাাদাতকে খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া যায়নি।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘরের পিছনের পুকুরে ঝোপের মধ্যে সাহাদাতের পরিধানের কাপড় ভাসতে দেখে ছোট বোন মারিয়া তার মা কে জানান। পরে কাপড় ধরে টান দিলেই ভেসে ওঠে সাহাদাতের লাশ। খবর পেয়ে সোনাইমুড়ী ওসি গিয়াস উদ্দিন, এএসপি সাইফুল আলম (চাটখিল সার্কেল) পিবিআই ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

নিহতের মা রোকসানা বেগম জানান, সুমন প্রায় সময় কোয়েম বহিরাগত ছেলেদের নিয়ে তার ঘরে মাদকসেবন করে আসছে। মঙ্গলবার রাতেও সে কয়েকজন বন্ধুদের নিয়ে ঘরে মাদক পার্টি দেয়। সুমনের খারাপ অভ্যাস জেনে ফেলেছে বলে সুমন তার ছেলেকে মেরে ফেলেছে।

এর আগে বুধবার ৯টার দিকে মুঠোফোনে কল দিয়ে সুমন ও তার বন্ধু পার্শ্ববর্তী নাওতা গ্রামের রিয়াজ সাহাদাত কে নিয়ে যায়। তাকে না পেয়ে বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলর হাফেজ আবু বকর সিদ্দিক দুলালকে জানালে সন্ধ্যায় সুমন কয়েক জন বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে বাড়িতে আসে। এসময় স্থানীয় লোকজন তাকে সাহাদাতের কথা জিজ্ঞেস করলে সে এবং তার বন্ধুরা স্থানীয়দের সাথে উত্তেজিত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে নাওতলা গ্রামের তার বন্ধু রিয়াজের চাচা লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সুমনকে চলে যায়।

সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গিয়াস উদ্দিন জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।