ঢাকা ০৭:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মালিকানা ছিনতাই করেও এনসিপি সংগঠন হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে: নাছির Blind Amjad receives Eid gift from Tarique Zia জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দৃষ্টি হারানো আমজাদ পেলো তারেক জিয়ার ঈদ উপহার ভাড়াটিয়ার দোকানে তালা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা School student murdered in trivial incident: Police unravel mystery নোয়াখালীতে তুচ্ছ ঘটনায় স্কুল ছাত্র খুন: রহস্য উদঘাটন করল পুলিশ তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে কবিরহাটের ইতালি মার্কেটে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ নিখোঁজের ২ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে কবিরহাটের পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ নিজ এলাকায় হামলার শিকার এনসিপি নেতা হান্নান মাসুদ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আহত-১৫

রেমিট্যান্সে স্বাভাবিক গতি আনার চেষ্টা ঈদের পূর্বেই

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:১৫:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০ ৪২৪ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এনকে বার্তা ডেস্ক::

 

বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) কারণে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে বিশ্বব্যাপী। প্রবাসী অধ্যুষিত দেশগুলোতেও চলছে লকডাউন। তাই দেশগুলোতে থাকা প্রবাসীরা এখন কর্মহীন। তারপরও কিছু প্রবাসী ঈদ উপলক্ষ্যে দেশে টাকা পাঠিয়েছেন। এতে চলতি মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহে কিছুটা গতি এসেছে গত মাসের তুলনায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি মাসের গত ১২ মে পর্যন্ত ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৬২ কোটি ৪১ লাখ ডলার। এর পরের দুই দিন মিলিয়ে ১৪ মে পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ৮০ কোটি ডলার। কিন্তু রেমিট্যান্স পাঠানোর এই হার পূর্বের বছরের তুলনায় অনেক কম।

## করোনাভাইরাসের কারনে ফ্রি ভিসায় যাওয়া প্রবাসীরা এখন বেকার। গৃহবন্দী থাকায় অধিকাংশই এখন অর্থ সংকটে ভুগছে।

ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, মহামারি করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) কারণে দেশের মতো বিদেশেও চলছে লকডাউন। ব্যাংক-এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর অধিকাংশ শাখাই বন্ধ। সীমিত পরিসরে এলাকা ভেদে কিছু খোলা রয়েছে। এজন্য প্রবাসীরা অর্থ পাঠাতে পারছেন না।

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিভিন্ন দেশে প্রায় এক কোটি প্রবাসী রয়েছেন বাংলাদেশের। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রয়েছে ৪০ লাখের বেশি। বাংলাদেশে রেমিট্যান্স আয়ের প্রধান উৎস এই দেশগুলো।

এসব দেশে থাকা প্রবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ সময়ে নির্দিষ্ট কোম্পানির অধীনে থাকা প্রবাসীরা বেতন পাচ্ছেন। তারা গৃহবন্দী থাকলেও কোম্পানি খরচ দিচ্ছে। কোম্পানি তাদের খোঁজ-খবর রাখছে। ঈদ উপলক্ষ্যে তারাই কিছু অর্থ পাঠাচ্ছেন দেশে। অনেকে ধার করে হলেও কিছুটা পাঠিয়েছেন।

এ কারণে মন্দা অর্থনীতির সময়েও রেমিট্যান্স কিছুটা গতি এসেছে গত মাসের তুলনায়। সৌদি আরবের দাম্মামে রয়েছেন বাংলাদেশি প্রবাসী মো. মুসা। অন-লাইনে শেয়ার বিজের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। মুসা জানান, ‘আমি যে এলাকায় আছি, তা এখন লকডাউনের আওতায়।

ফলে কোথাও যেতে পারছি না। বাসার সামনে থেকেই সবজিসহ ভোগ্যপণ্য কিনে থাকি। ঈদ-উপলক্ষ্যে দেশে টাকা পাঠাতে চাই। কিন্তু বের হওয়া সম্ভব নয়। এজন্য আরেক শহরের এক পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠিয়েছি। পরে তাকে আমি ফেরত দিয়ে দেব’ বলে জানান তিনি।

মুসা আরও জানান, ‘ফ্রি-ভিসায় (যারা নির্দিষ্ট কোনো কোম্পানির অধীনে কাজ করেন না। কাজ পেলে করেন, না পেলে বসে থাকতে হয়) সৌদি আরবে অবস্থানরদের মধ্যে তারা বেশ কষ্টে রয়েছেন। আমার পাশের রুমেই পাঁচজন রয়েছেন। তাদের জীবন রক্ষাই কষ্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিচিতরা কিছু সহায়তা করছেন। এভাবেই চলছে তাদের জীবন। দেশ থেকেও অর্থ এনে চলছেন কেউ কেউ। অধিকাংশেরই সেই সুযোগ নেই।

এই সময়ে বাংলাদেশ দূতাবাস ও সরকার প্রবাসীদের পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৪ মে পর্যন্ত প্রবাসীরা ৮০ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন। ১৪ মে বৃহস্পতিবার একদিনেই আসে ১১ কোটি ২০ লাখ ডলার। এর পর ঈদের ছুটি পর্যন্ত বাংলাদেশে ব্যাংক খোলা থাকবে পাঁচ কার্যদিবস।

অর্থনৈতিক মন্দা ও কাজের অনুমোদন না পাওয়ায় অনেক প্রবাসীকে দেশে ফিরে আসতে হচ্ছে। এ কারণে গত কয়েক মাস ধরেই রেমিট্যান্স্যের প্রবাহ কমে আসছে দেশে।

গত এপ্রিলে রেমিট্যান্স এসেছে ১০৮ কোটি ১০ লাখ ডলারে আসে, যা ২০১৯ সালের এপ্রিলের চেয়ে ২৪ দশমিক ৬১ শতাংশ কম। এর পূর্বেও মাস অর্থাৎ মার্চে ১২৮ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল, যা ২০১৯ সালের মার্চ মাসের চেয়ে ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ কম।

অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন, মে মাসে এপ্রিলের চেয়ে রেমিট্যান্সের পরিমাণ কম হবে। মে মাসের অর্ধেকে রেমিট্যান্সের প্রবাহ কিছুটা স্বাভাবিক গতি ধারা দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের পূর্বে প্রবাসীরা দেশে থাকা পরিবারের জন্য খরচ পাঠিয়েছেন। এজন্য এ মাসে এখনো রেমিট্যান্স প্রবাহে স্বাভাবিক গতি দেখা যাচ্ছে। ঈদের পরে প্রকৃত চিত্র জানা যাবে।

প্রতি বছরই ঈদকে সামনে রেখে রেমিট্যান্সে গতি আসে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, গত বছরের উদ-উল-ফিতরের (রমজান শেষে ঈদ) জন্য মে ও জুন মাসে রেমিট্যান্স বেশি এসেছিল। গত বছরের মে মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৭৪ কোটি ৮২ লাখ ডলার। জুন মাসে এসেছিল ১৩৬ কোটি ৮২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স।

এ হিসাবে এবার রেমিট্যান্স এসেছে অর্ধেকের মতো। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। জিডিপিতে এই রেমিটেন্সের অবদান ১২ শতাংশের মতো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০১৮-১৯ দেশে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন এক হাজার ৬৪১ কোটি কোটি ৯৬ লাখ ডলার। এর পূর্বের অর্থবছরে এসেছিল এক হাজার ৪৯৮ কোটি ১৬ লাখ ডলার।

চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১০ মাসে (জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ) দেশে রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৪৮৬ কোটি ১২ লাখ ডলার।

এই দুঃসময়েও সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে। এরপরই রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ব অগ্রণী ব্যাংক। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

রেমিট্যান্সে স্বাভাবিক গতি আনার চেষ্টা ঈদের পূর্বেই

আপডেট সময় : ০৫:১৫:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০

এনকে বার্তা ডেস্ক::

 

বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) কারণে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে বিশ্বব্যাপী। প্রবাসী অধ্যুষিত দেশগুলোতেও চলছে লকডাউন। তাই দেশগুলোতে থাকা প্রবাসীরা এখন কর্মহীন। তারপরও কিছু প্রবাসী ঈদ উপলক্ষ্যে দেশে টাকা পাঠিয়েছেন। এতে চলতি মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহে কিছুটা গতি এসেছে গত মাসের তুলনায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি মাসের গত ১২ মে পর্যন্ত ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৬২ কোটি ৪১ লাখ ডলার। এর পরের দুই দিন মিলিয়ে ১৪ মে পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ৮০ কোটি ডলার। কিন্তু রেমিট্যান্স পাঠানোর এই হার পূর্বের বছরের তুলনায় অনেক কম।

## করোনাভাইরাসের কারনে ফ্রি ভিসায় যাওয়া প্রবাসীরা এখন বেকার। গৃহবন্দী থাকায় অধিকাংশই এখন অর্থ সংকটে ভুগছে।

ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, মহামারি করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) কারণে দেশের মতো বিদেশেও চলছে লকডাউন। ব্যাংক-এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর অধিকাংশ শাখাই বন্ধ। সীমিত পরিসরে এলাকা ভেদে কিছু খোলা রয়েছে। এজন্য প্রবাসীরা অর্থ পাঠাতে পারছেন না।

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিভিন্ন দেশে প্রায় এক কোটি প্রবাসী রয়েছেন বাংলাদেশের। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রয়েছে ৪০ লাখের বেশি। বাংলাদেশে রেমিট্যান্স আয়ের প্রধান উৎস এই দেশগুলো।

এসব দেশে থাকা প্রবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ সময়ে নির্দিষ্ট কোম্পানির অধীনে থাকা প্রবাসীরা বেতন পাচ্ছেন। তারা গৃহবন্দী থাকলেও কোম্পানি খরচ দিচ্ছে। কোম্পানি তাদের খোঁজ-খবর রাখছে। ঈদ উপলক্ষ্যে তারাই কিছু অর্থ পাঠাচ্ছেন দেশে। অনেকে ধার করে হলেও কিছুটা পাঠিয়েছেন।

এ কারণে মন্দা অর্থনীতির সময়েও রেমিট্যান্স কিছুটা গতি এসেছে গত মাসের তুলনায়। সৌদি আরবের দাম্মামে রয়েছেন বাংলাদেশি প্রবাসী মো. মুসা। অন-লাইনে শেয়ার বিজের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। মুসা জানান, ‘আমি যে এলাকায় আছি, তা এখন লকডাউনের আওতায়।

ফলে কোথাও যেতে পারছি না। বাসার সামনে থেকেই সবজিসহ ভোগ্যপণ্য কিনে থাকি। ঈদ-উপলক্ষ্যে দেশে টাকা পাঠাতে চাই। কিন্তু বের হওয়া সম্ভব নয়। এজন্য আরেক শহরের এক পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠিয়েছি। পরে তাকে আমি ফেরত দিয়ে দেব’ বলে জানান তিনি।

মুসা আরও জানান, ‘ফ্রি-ভিসায় (যারা নির্দিষ্ট কোনো কোম্পানির অধীনে কাজ করেন না। কাজ পেলে করেন, না পেলে বসে থাকতে হয়) সৌদি আরবে অবস্থানরদের মধ্যে তারা বেশ কষ্টে রয়েছেন। আমার পাশের রুমেই পাঁচজন রয়েছেন। তাদের জীবন রক্ষাই কষ্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিচিতরা কিছু সহায়তা করছেন। এভাবেই চলছে তাদের জীবন। দেশ থেকেও অর্থ এনে চলছেন কেউ কেউ। অধিকাংশেরই সেই সুযোগ নেই।

এই সময়ে বাংলাদেশ দূতাবাস ও সরকার প্রবাসীদের পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৪ মে পর্যন্ত প্রবাসীরা ৮০ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন। ১৪ মে বৃহস্পতিবার একদিনেই আসে ১১ কোটি ২০ লাখ ডলার। এর পর ঈদের ছুটি পর্যন্ত বাংলাদেশে ব্যাংক খোলা থাকবে পাঁচ কার্যদিবস।

অর্থনৈতিক মন্দা ও কাজের অনুমোদন না পাওয়ায় অনেক প্রবাসীকে দেশে ফিরে আসতে হচ্ছে। এ কারণে গত কয়েক মাস ধরেই রেমিট্যান্স্যের প্রবাহ কমে আসছে দেশে।

গত এপ্রিলে রেমিট্যান্স এসেছে ১০৮ কোটি ১০ লাখ ডলারে আসে, যা ২০১৯ সালের এপ্রিলের চেয়ে ২৪ দশমিক ৬১ শতাংশ কম। এর পূর্বেও মাস অর্থাৎ মার্চে ১২৮ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল, যা ২০১৯ সালের মার্চ মাসের চেয়ে ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ কম।

অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন, মে মাসে এপ্রিলের চেয়ে রেমিট্যান্সের পরিমাণ কম হবে। মে মাসের অর্ধেকে রেমিট্যান্সের প্রবাহ কিছুটা স্বাভাবিক গতি ধারা দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের পূর্বে প্রবাসীরা দেশে থাকা পরিবারের জন্য খরচ পাঠিয়েছেন। এজন্য এ মাসে এখনো রেমিট্যান্স প্রবাহে স্বাভাবিক গতি দেখা যাচ্ছে। ঈদের পরে প্রকৃত চিত্র জানা যাবে।

প্রতি বছরই ঈদকে সামনে রেখে রেমিট্যান্সে গতি আসে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, গত বছরের উদ-উল-ফিতরের (রমজান শেষে ঈদ) জন্য মে ও জুন মাসে রেমিট্যান্স বেশি এসেছিল। গত বছরের মে মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৭৪ কোটি ৮২ লাখ ডলার। জুন মাসে এসেছিল ১৩৬ কোটি ৮২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স।

এ হিসাবে এবার রেমিট্যান্স এসেছে অর্ধেকের মতো। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। জিডিপিতে এই রেমিটেন্সের অবদান ১২ শতাংশের মতো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০১৮-১৯ দেশে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন এক হাজার ৬৪১ কোটি কোটি ৯৬ লাখ ডলার। এর পূর্বের অর্থবছরে এসেছিল এক হাজার ৪৯৮ কোটি ১৬ লাখ ডলার।

চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১০ মাসে (জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ) দেশে রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৪৮৬ কোটি ১২ লাখ ডলার।

এই দুঃসময়েও সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে। এরপরই রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ব অগ্রণী ব্যাংক। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক।