ঢাকা ০২:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিনের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:২৮:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩ ১৪২৮৪ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দিলীপ কুমার দাস, ময়মনসিংহ:

 

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে প্রয়াত সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট প্রমোদ মানকিন এর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্বরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার ( ১১ মে ) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পৌর শহরের রাংরাপাড়া তাঁর নিজ বাসবভবন প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

 

এতে, বক্তব্য রাখেন প্রয়াত সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট প্রমোদ মানকিন এর পুত্র হালুয়াঘাট ধোবাউড়া আসনের সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং, ধোবাউড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডেভিড রানা চিসিম, হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা হাসান, ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমিন, ধোবাউড়া উপজেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তোষ বিশ্বাস বাবুল, হালুয়াঘাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আবদুর রশিদ, মোরশেদ আনোয়ার খোকন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কবিরুল ইসলাম বেগ ( সদস্য ) সহ হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া আওয়ামীলীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

 

এর আগে উনার কবরে হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

 

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১১ মে সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনের চারবারের নির্বাচিত সাংসদ ছিলেন ও হালুয়াঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। প্রমোদ মানকিন নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বাকালজোড়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে ১৯৩৯ সালের ১৮ এপ্রিল এক সভ্রান্ত গারো পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। পিতা মেঘা তজু ও মাতা হৃদয় শিসিলিয়া মানকিন এর আট সন্তানের মধ্যে প্রমোদ মানকিন ছিলেন পঞ্চম। প্রমোদ মানকিন ১৯৬৩ সালে নটর ডেম কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। ১৯৬৮ সালে ময়মনসিংহ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বিএড এবং ময়মনসিংহ ‘ল’ কলেজ থেকে ১৯৮২ সালে এলএলবি পাস করেন।

 

তিনি ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যও ছিলেন। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদানের মাধ্যমে তিনি সরাসরি সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন। সংগঠক হিসেবে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রমোদ মানকিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। প্রমোদ মানকিন ১৯৯১, ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের ১৫ জুলাই থেকে ২০১২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংস্কৃতি-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিনের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

আপডেট সময় : ০৯:২৮:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩

দিলীপ কুমার দাস, ময়মনসিংহ:

 

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে প্রয়াত সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট প্রমোদ মানকিন এর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্বরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার ( ১১ মে ) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পৌর শহরের রাংরাপাড়া তাঁর নিজ বাসবভবন প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

 

এতে, বক্তব্য রাখেন প্রয়াত সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট প্রমোদ মানকিন এর পুত্র হালুয়াঘাট ধোবাউড়া আসনের সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং, ধোবাউড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডেভিড রানা চিসিম, হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা হাসান, ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমিন, ধোবাউড়া উপজেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তোষ বিশ্বাস বাবুল, হালুয়াঘাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আবদুর রশিদ, মোরশেদ আনোয়ার খোকন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কবিরুল ইসলাম বেগ ( সদস্য ) সহ হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া আওয়ামীলীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

 

এর আগে উনার কবরে হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

 

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১১ মে সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনের চারবারের নির্বাচিত সাংসদ ছিলেন ও হালুয়াঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। প্রমোদ মানকিন নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বাকালজোড়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে ১৯৩৯ সালের ১৮ এপ্রিল এক সভ্রান্ত গারো পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। পিতা মেঘা তজু ও মাতা হৃদয় শিসিলিয়া মানকিন এর আট সন্তানের মধ্যে প্রমোদ মানকিন ছিলেন পঞ্চম। প্রমোদ মানকিন ১৯৬৩ সালে নটর ডেম কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। ১৯৬৮ সালে ময়মনসিংহ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বিএড এবং ময়মনসিংহ ‘ল’ কলেজ থেকে ১৯৮২ সালে এলএলবি পাস করেন।

 

তিনি ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যও ছিলেন। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদানের মাধ্যমে তিনি সরাসরি সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন। সংগঠক হিসেবে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রমোদ মানকিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। প্রমোদ মানকিন ১৯৯১, ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের ১৫ জুলাই থেকে ২০১২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংস্কৃতি-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।