সুবর্ণচর প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের নব গঠিত কমিটির সভাপতি রুবাইয়াত রহমান আরাফাত এবং সাধারণ সম্পাদক শামছুল হুদা বাপ্পী’র সুবর্ণচর উপজেলায় আগমনে বাইক শো-ডাউন এবং ফুলেল শুভেচ্ছা ও আনন্দ মিছিল করেছে সুবর্ণচর উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা৷
বাইক শো-ডাউনে নেতৃত্বে ছিলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজির ওয়ালি উদ্দিন কামরুল, সুবর্ণচর উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সদস্য কামরুল হোসেন ফয়সাল, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আরাফাত (বিপি),উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা জিয়াবুল ইসলাম জিহাব৷
২ এপ্রিল (মঙ্গলবার) বেলা ১১ টায় সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, নোয়াখালী জেলা আওয়ামিলীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, বিশেষ অতিথি ছিলেন, সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ চৌধুরী।
এ সময় জেলার নেতৃবৃন্দকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ছাত্রলীগের নব নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক নাজির ওয়ালি উদ্দিন কামরুল, সুবর্ণচর উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সদস্য কামরুল হোসেন ফয়সাল, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা ভিপি আরাফাত, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা জিয়াবুল ইসলাম জিহাব প্রমুখ৷
নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবাইয়াত রহমান আরাফাত বলেন, ”ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে কাজ করে যাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামি উপজেলা নির্বাচনে আমরা ছাত্রলীগ মাঠে কাজ করে যাবো, ছাত্রলীগ সব সময় আন্দোলন, সংগ্রামে ছিলো আছে থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাঙালি, স্বাধীনতা ও স্বাধীকার অর্জনের লক্ষে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের অ্যাসেম্বলি হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তৎকালীন তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেরণায় ও পৃষ্ঠপোষকতায় একঝাঁক সূর্যবিজয়ী স্বাধীনতাপ্রেমী তারুণ্যের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় এশিয়া মহাদেশের ‘বৃহত্তম’ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইতিহাস জাতির মুক্তির স্বপ্ন, সাধনা এবং সংগ্রামকে বাস্তবে রূপদানের ইতিহাস।’
‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার আগে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।,’ রুবাইয়াত রহমান যোগ করেন৷
‘১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার পর সর্বপ্রথম মাতৃভাষা বাংলার জন্য সংগ্রাম করেছিল।’ ‘আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জল ভূমিকা ছিল। বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ দিতে হয়েছিল অনেককে।’
‘তারপর আমরা আমাদের ভাষা হিসেবে বাংলাকে পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারকে হত্যার পর জননেত্রী শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হিসেবে ছাত্রলীগ কাজ করে যাচ্ছে৷’