ঢাকা ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক স্বামী

নোয়াখালী প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ১০:৪৭:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৬২ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্বামী মোঃ হোসেন (২৮)কে আটক করে পুলিশের সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। নিহত রত্না আক্তার (২০) এক সন্তানের জননী এবং আন্ডারচর ইউপির পশ্চিম মাইজদী গ্রামের রমজান আলীর মেয়ে।

 

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারী) নিহতের ভাই দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জনকে বিবাদী করে সুধারাম থানায় হত্যা মামলা রুজু করে।

 

দেলোয়ার হোসেন জানান, বিগত দুই বছর পূর্বে হোসেনের সাথে তার বোন রত্নার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ২ মাসের একটি সন্তান রয়েছে। হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি হলেও সে একজন নেশাগ্রস্ত, জুয়াডি এবং পরকীয়া প্রেমে আসক্ত। বিয়ের পর থেকে সে রত্নার উপর পাশবিক নির্যাতন করতে থাকে। এ নিয়ে একাধিকবার বৈঠকের পর সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সংসার ভাঙেনি রত্না। মুখ বুঝে সব অত্যাচার সহ্য করে নিয়েছে। ২ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) রাত ৮ টায় একই কায়দায় রত্নার উপর আবার অত্যাচার করে সে এক পর্যায়ে তার অত্যাচারে রত্না মৃত্যু কোলে ঢলে পড়ে। এ সময় হোসেন ফোন করে তাদের জানায় তার স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়েছে। খবর পেয়ে তারা ছুটে যান ওই বাড়িতে। তারা তাকে ফাঁসরত অবস্থায় পাননি এমনকি তার গলায় কোন চিহ্নও নেই। এসময় হোসেন ও তার পরিবার ছোট বাচ্চাটিকে রেখে কৌশলে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করেন। তখন স্থানীয় এলাকাবাসি তাকে আটক করে এবং সুধারাম থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে হোসেনকে থানায় নিয়ে যায়। বর্তমানে হোসেনের পরিবার পলাতক রয়েছে বলে জানান তিনি।

 

সুধারাম মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, নিহতের ভাই বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় হত্যা মামলার অভিযোগ করেন। আটককৃত মোঃ হোসেনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক স্বামী

আপডেট সময় : ১০:৪৭:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্বামী মোঃ হোসেন (২৮)কে আটক করে পুলিশের সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। নিহত রত্না আক্তার (২০) এক সন্তানের জননী এবং আন্ডারচর ইউপির পশ্চিম মাইজদী গ্রামের রমজান আলীর মেয়ে।

 

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারী) নিহতের ভাই দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জনকে বিবাদী করে সুধারাম থানায় হত্যা মামলা রুজু করে।

 

দেলোয়ার হোসেন জানান, বিগত দুই বছর পূর্বে হোসেনের সাথে তার বোন রত্নার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ২ মাসের একটি সন্তান রয়েছে। হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি হলেও সে একজন নেশাগ্রস্ত, জুয়াডি এবং পরকীয়া প্রেমে আসক্ত। বিয়ের পর থেকে সে রত্নার উপর পাশবিক নির্যাতন করতে থাকে। এ নিয়ে একাধিকবার বৈঠকের পর সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সংসার ভাঙেনি রত্না। মুখ বুঝে সব অত্যাচার সহ্য করে নিয়েছে। ২ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) রাত ৮ টায় একই কায়দায় রত্নার উপর আবার অত্যাচার করে সে এক পর্যায়ে তার অত্যাচারে রত্না মৃত্যু কোলে ঢলে পড়ে। এ সময় হোসেন ফোন করে তাদের জানায় তার স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়েছে। খবর পেয়ে তারা ছুটে যান ওই বাড়িতে। তারা তাকে ফাঁসরত অবস্থায় পাননি এমনকি তার গলায় কোন চিহ্নও নেই। এসময় হোসেন ও তার পরিবার ছোট বাচ্চাটিকে রেখে কৌশলে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করেন। তখন স্থানীয় এলাকাবাসি তাকে আটক করে এবং সুধারাম থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে হোসেনকে থানায় নিয়ে যায়। বর্তমানে হোসেনের পরিবার পলাতক রয়েছে বলে জানান তিনি।

 

সুধারাম মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, নিহতের ভাই বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় হত্যা মামলার অভিযোগ করেন। আটককৃত মোঃ হোসেনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।