ঢাকা ০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫

সুধারামে মাদরাসা ছাত্রকে হত্যার অভিযোগ

নোয়াখালী প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ১০:৩৮:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ১০ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় মাদরাসা থেকে জোবায়ের ইবনে জিদান (১২) নামে এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নিহতের মা সাবরিনা খাতুন জুমা অভিযোগ করেন, মাদারাসায় নির্যাতন করে তার ছেলেকে হত্যা করেছে।

আরো পড়ুন: যুবককে গুলি করে হত্যা, থানায় মামলা, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

বুধবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার নোয়াখালী পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের মহব্বতপুর কাঞ্চন মেম্বারের পোল সংলগ্ন তানজিরুল কোরআন সোবহানিয়া মাদরাসা থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

আরো পড়ুন: বিদেশ যাওয়া হলোনা শাকিলের

নিহত জিদান উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের মধ্য চর উরিয়া গ্রামের ফজল মিস্ত্রি বাড়ির ওমান প্রবাসী আমিরুল ইসলাম সোহেলের ছেলে এবং তানজিরুল কোরআন সোবহানিয়া মাদরাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র ছিল।

আরো পড়ুন: প্রকল্পের কাজে দুর্নীতি, সারাদেশে ৩৬ এলজিইডি অফিসে একযোগে অভিযান

নিহতের মা সাবরিনা খাতুন জুমা জানান, তার এক ছেলে এক মেয়ে। বড় ছেলে জিদান তানজিরুল কোরআন সোবহানিয়া মাদরাসার হিফজ বিভাগে আবাসিকে থেকে পড়ালেখা করে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলের দিকে তার দাদা মো. নুরুল হক বাবুল তার নাতিকে দেখতে মাদরাসায় যায়। সেখানে তিনি দেখেন তার নাতির বমি পড়ে আছে মাদরাসার ফ্লোরে। তখন মাদরাসার মুহতামিম আফজাল হোসাইন জিদানের দাদাকে জানায় আপনার নাতি পড়েলেখা পারেনা। এজন্য শাস্তি দিয়েছি, দেখেন।

আরো পড়ুন: কবিরহাটে এলজিইডি কার্যালয়ে দুদকের অভিযান

সাবরিনা খাতুন জুমা অভিযোগ করে আরো বলেন, বুধবার বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে মাদরাসার মুহতামিম ফোন করে আমাকে জানায় আপনারা দ্রুত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে যান। আপনার ছেলে মাদরাসায় গলায় ফাঁস দিয়েছে। জুমা অভিযোগ করে বলেন, মাদরাসার শিক্ষকরা আমার ছেলেকে হত্যা করে। এরপর ফাঁসির নাটক সাজায়। তারা আমার ছেলেকে এর আগেও শারীরিক ভাবে নির্যাতন করেছে।

আরো পড়ুন: গৃহকর্তাকে কুপিয়ে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি

তানজিরুল কোরআন সোবহানিয়া মাদরাসার মুহতামিম আফজাল হোসাইন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, ওই ছাত্র বিকেলের দিকে মাদরাসার শৌচাগারে ঢুকে। ওই সময় আরো দুজন ছাত্র শৌচাগারে ঢুকতে অপেক্ষায় ছিল। সেখানে জিদান পায়জামার সঙ্গে থাকা নেয়ার (রশি) দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। তখন ওই ছাত্ররা শৌচাগারে ঢুকতে দরজ্জা ধাক্কাধাক্কি করলে দরজা খুলে যায়। পরে তারা জিদানের মরদেহ দেখে আমাদের জানায়।

আরো পড়ুন: বিস্ফোরক মামলায় গ্রেফতার বিএডিসির গুদামরক্ষক যুবলীগ নেতা

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার মো. শাহরিয়ার বলেন, ফাঁস হলে পিছনের দিকে দাগ থাকার কথা না। ফাঁসের বিষয় হলে পিছনে দাগ থাকত না। কিন্ত আমি প্রাথমিক অবস্থায় জিদানের গলার পিছনের দিকে দাগ দেখতে পেয়েছি। তাই প্রাথমিক ভাবে এটিকে আত্মহত্যা মনে হচ্ছেনা। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

আরো পড়ুন: জলাবদ্ধতা নিরসনে নোয়াখালী খালসহ শাখা খাল খনন দাবিতে উপজেলা নির্বাহী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

এ বিষয়ে সুধারাম থানার ওসি মো. কামরুল ইসলাম বলেন, অনেকে অনেক কথা বলবে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। মাদরাসায় থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

সুধারামে মাদরাসা ছাত্রকে হত্যার অভিযোগ

আপডেট সময় : ১০:৩৮:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় মাদরাসা থেকে জোবায়ের ইবনে জিদান (১২) নামে এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নিহতের মা সাবরিনা খাতুন জুমা অভিযোগ করেন, মাদারাসায় নির্যাতন করে তার ছেলেকে হত্যা করেছে।

আরো পড়ুন: যুবককে গুলি করে হত্যা, থানায় মামলা, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

বুধবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার নোয়াখালী পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের মহব্বতপুর কাঞ্চন মেম্বারের পোল সংলগ্ন তানজিরুল কোরআন সোবহানিয়া মাদরাসা থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

আরো পড়ুন: বিদেশ যাওয়া হলোনা শাকিলের

নিহত জিদান উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের মধ্য চর উরিয়া গ্রামের ফজল মিস্ত্রি বাড়ির ওমান প্রবাসী আমিরুল ইসলাম সোহেলের ছেলে এবং তানজিরুল কোরআন সোবহানিয়া মাদরাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র ছিল।

আরো পড়ুন: প্রকল্পের কাজে দুর্নীতি, সারাদেশে ৩৬ এলজিইডি অফিসে একযোগে অভিযান

নিহতের মা সাবরিনা খাতুন জুমা জানান, তার এক ছেলে এক মেয়ে। বড় ছেলে জিদান তানজিরুল কোরআন সোবহানিয়া মাদরাসার হিফজ বিভাগে আবাসিকে থেকে পড়ালেখা করে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলের দিকে তার দাদা মো. নুরুল হক বাবুল তার নাতিকে দেখতে মাদরাসায় যায়। সেখানে তিনি দেখেন তার নাতির বমি পড়ে আছে মাদরাসার ফ্লোরে। তখন মাদরাসার মুহতামিম আফজাল হোসাইন জিদানের দাদাকে জানায় আপনার নাতি পড়েলেখা পারেনা। এজন্য শাস্তি দিয়েছি, দেখেন।

আরো পড়ুন: কবিরহাটে এলজিইডি কার্যালয়ে দুদকের অভিযান

সাবরিনা খাতুন জুমা অভিযোগ করে আরো বলেন, বুধবার বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে মাদরাসার মুহতামিম ফোন করে আমাকে জানায় আপনারা দ্রুত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে যান। আপনার ছেলে মাদরাসায় গলায় ফাঁস দিয়েছে। জুমা অভিযোগ করে বলেন, মাদরাসার শিক্ষকরা আমার ছেলেকে হত্যা করে। এরপর ফাঁসির নাটক সাজায়। তারা আমার ছেলেকে এর আগেও শারীরিক ভাবে নির্যাতন করেছে।

আরো পড়ুন: গৃহকর্তাকে কুপিয়ে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি

তানজিরুল কোরআন সোবহানিয়া মাদরাসার মুহতামিম আফজাল হোসাইন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, ওই ছাত্র বিকেলের দিকে মাদরাসার শৌচাগারে ঢুকে। ওই সময় আরো দুজন ছাত্র শৌচাগারে ঢুকতে অপেক্ষায় ছিল। সেখানে জিদান পায়জামার সঙ্গে থাকা নেয়ার (রশি) দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। তখন ওই ছাত্ররা শৌচাগারে ঢুকতে দরজ্জা ধাক্কাধাক্কি করলে দরজা খুলে যায়। পরে তারা জিদানের মরদেহ দেখে আমাদের জানায়।

আরো পড়ুন: বিস্ফোরক মামলায় গ্রেফতার বিএডিসির গুদামরক্ষক যুবলীগ নেতা

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার মো. শাহরিয়ার বলেন, ফাঁস হলে পিছনের দিকে দাগ থাকার কথা না। ফাঁসের বিষয় হলে পিছনে দাগ থাকত না। কিন্ত আমি প্রাথমিক অবস্থায় জিদানের গলার পিছনের দিকে দাগ দেখতে পেয়েছি। তাই প্রাথমিক ভাবে এটিকে আত্মহত্যা মনে হচ্ছেনা। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

আরো পড়ুন: জলাবদ্ধতা নিরসনে নোয়াখালী খালসহ শাখা খাল খনন দাবিতে উপজেলা নির্বাহী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

এ বিষয়ে সুধারাম থানার ওসি মো. কামরুল ইসলাম বলেন, অনেকে অনেক কথা বলবে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। মাদরাসায় থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।