ঢাকা ১১:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::

অটোরিকশা চালক বাবর হত্যা, সুদের টাকা পরিশোধ করতে হত্যার প্ল্যান, মূলহোতা গ্রেপ্তার

নোয়াখালী প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৬:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫ ৭৫ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় ক্লুলেস ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক বাবর হোসেন (১৮) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও ঘটনার মূল হোতাকে আটক করেছে র‍্যাব-১১। নিহত বাবর উপজেলার নোয়াখালী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম করিমপুর এলাকার মো. সেলিমের ছেলে।

আরো পড়ুন: পরিবেশ অধিদপ্তরের যোগসাজশেই কোম্পানীগঞ্জে চলছে আ.লীগ নেতার ইটভাটা

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরের দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ নোয়াখালীর কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে, গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাইজদী পেট্রোল পাম্প এলাকা থেকে মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরো পড়ুন: চতুর্থ বিয়ে নিয়ে কথা কাটাকাটি, ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে মৃত্যু হলো বড় ভাইর

মনিরুল ইসলাম মামুন (৩০) নোয়াখালী পৌরসভার মধ্যম করিমপুর এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে। এ সময় তার কাছ থেকে বাবরের ব্যবহৃত মোবাইল ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি গেঞ্জি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো নিহত বাবরের ব্যবহৃত অটোরিকশাটির সন্ধান পাওয়া যায়নি।

আরো পড়ুন: যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

র‍্যাব-জানায়, গত ৯ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভাড়া নিয়ে যাওয়ার পর থেকে আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলনা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক বাবরের। এরপর থেকে স্বজনরা যোগাযোগ করেও বন্ধ পাচ্ছিলেন তার মুঠোফোন। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালী সদর উপজেলার কোম্পানিঘাট-সংলগ্ন স্লুইসগেট এলাকার একটি কবরস্থান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও অটোরিকশাটি নিখোঁজ ছিল। পরবর্তীতে এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে র‍্যাবের একাধিক টিম কাজ করে।

আরো পড়ুন: ভুল ইনজেকশনে প্রবাসী যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতাল বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ

র‍্যাব আরো জানায়, গ্রেপ্তারের পর হত্যাকারী মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে হত্যাকান্ডে নিজে জড়িত থাকার বিষয়ে বিস্তারিত স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, কতিপয় ব্যক্তির কাছ থেকে ধার নেওয়া ৪৫ হাজার টাকার পরিবর্তে ৯০ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হওয়ায় অতিরিক্ত টাকা সংগ্রহে তার পরিচিত বাবরের অটোরিকশা বিক্রি করে টাকা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সে মোতাবেক তাকে নিয়ে দত্তেরহাট এসে ফ্রুটিকা জুসের সাথে কৌশলে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে বিনোদপুর ইউনিয়নের জালিয়াল গ্রামের নির্জন বাগানে অটোরিকশা রেখে বাবরকে নিয়ে প্রথমে সোনাপুর যায়। তারপর সিএনজি যোগে পূর্বচর উড়িয়ার সুইসগেট সংলগ্ন কৃষি অফিসের সামনে ডান দিকে নির্জন স্থানের সবজি বাগানে নিয়ে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে দুর্বল করে বাবরকে তার গায়ের লিলেন গেঞ্জি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

আরো পড়ুন: মাটিবাহী ট্রাক্টরের চাপায় চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া স্কুল ছাত্রের মৃত্যু

র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ নোয়াখালীর কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু বলেন, ভিকটিমের স্যান্ডেল বাঁশ ঝাড়ের পাশে এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত লিলেন গেঞ্জিটি তার পাশের কলাবাগানে রেখে পালিয়ে যায়। শুধু কেবল টাকার নেশায় সে উক্ত হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সুধারাম মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আসামির স্বীকারোক্তি বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি হিসাবে রেকড প্রক্রিয়াধীন আছে। এছাড়াও খোওয়া যাওয়া অটোরিকশা উদ্ধার ও অপরাপর সহযোগী আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

অটোরিকশা চালক বাবর হত্যা, সুদের টাকা পরিশোধ করতে হত্যার প্ল্যান, মূলহোতা গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ০৮:৪৬:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় ক্লুলেস ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক বাবর হোসেন (১৮) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও ঘটনার মূল হোতাকে আটক করেছে র‍্যাব-১১। নিহত বাবর উপজেলার নোয়াখালী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম করিমপুর এলাকার মো. সেলিমের ছেলে।

আরো পড়ুন: পরিবেশ অধিদপ্তরের যোগসাজশেই কোম্পানীগঞ্জে চলছে আ.লীগ নেতার ইটভাটা

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরের দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ নোয়াখালীর কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে, গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাইজদী পেট্রোল পাম্প এলাকা থেকে মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরো পড়ুন: চতুর্থ বিয়ে নিয়ে কথা কাটাকাটি, ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে মৃত্যু হলো বড় ভাইর

মনিরুল ইসলাম মামুন (৩০) নোয়াখালী পৌরসভার মধ্যম করিমপুর এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে। এ সময় তার কাছ থেকে বাবরের ব্যবহৃত মোবাইল ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি গেঞ্জি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো নিহত বাবরের ব্যবহৃত অটোরিকশাটির সন্ধান পাওয়া যায়নি।

আরো পড়ুন: যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

র‍্যাব-জানায়, গত ৯ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভাড়া নিয়ে যাওয়ার পর থেকে আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলনা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক বাবরের। এরপর থেকে স্বজনরা যোগাযোগ করেও বন্ধ পাচ্ছিলেন তার মুঠোফোন। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালী সদর উপজেলার কোম্পানিঘাট-সংলগ্ন স্লুইসগেট এলাকার একটি কবরস্থান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও অটোরিকশাটি নিখোঁজ ছিল। পরবর্তীতে এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে র‍্যাবের একাধিক টিম কাজ করে।

আরো পড়ুন: ভুল ইনজেকশনে প্রবাসী যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতাল বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ

র‍্যাব আরো জানায়, গ্রেপ্তারের পর হত্যাকারী মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে হত্যাকান্ডে নিজে জড়িত থাকার বিষয়ে বিস্তারিত স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, কতিপয় ব্যক্তির কাছ থেকে ধার নেওয়া ৪৫ হাজার টাকার পরিবর্তে ৯০ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হওয়ায় অতিরিক্ত টাকা সংগ্রহে তার পরিচিত বাবরের অটোরিকশা বিক্রি করে টাকা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সে মোতাবেক তাকে নিয়ে দত্তেরহাট এসে ফ্রুটিকা জুসের সাথে কৌশলে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে বিনোদপুর ইউনিয়নের জালিয়াল গ্রামের নির্জন বাগানে অটোরিকশা রেখে বাবরকে নিয়ে প্রথমে সোনাপুর যায়। তারপর সিএনজি যোগে পূর্বচর উড়িয়ার সুইসগেট সংলগ্ন কৃষি অফিসের সামনে ডান দিকে নির্জন স্থানের সবজি বাগানে নিয়ে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে দুর্বল করে বাবরকে তার গায়ের লিলেন গেঞ্জি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

আরো পড়ুন: মাটিবাহী ট্রাক্টরের চাপায় চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া স্কুল ছাত্রের মৃত্যু

র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ নোয়াখালীর কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু বলেন, ভিকটিমের স্যান্ডেল বাঁশ ঝাড়ের পাশে এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত লিলেন গেঞ্জিটি তার পাশের কলাবাগানে রেখে পালিয়ে যায়। শুধু কেবল টাকার নেশায় সে উক্ত হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সুধারাম মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আসামির স্বীকারোক্তি বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি হিসাবে রেকড প্রক্রিয়াধীন আছে। এছাড়াও খোওয়া যাওয়া অটোরিকশা উদ্ধার ও অপরাপর সহযোগী আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।