নোয়াখালী প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের নিঃশর্ত মুক্তি চাইলেন তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার কাকলী। এ জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেছেন।
শুক্রবার (১২ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের চরকালী গ্রামে নিজ বাড়িতে বাদলের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের স্ত্রী সেলিনা আক্তার কাকলী, তাঁর স্বামীকে নির্দোষ দাবি করে স্বামীর নিঃশর্ত মুক্তি চান। তিনি আরো বলেন, মির্জা কাদেরের যড়যন্ত্রের শিকার হয়ে বিনা কারণে তার স্বামী জেলে রয়েছে। কোম্পানীগঞ্জে সকল সংঘর্ষ, সহিংসতা, রক্তপাত খুনের জন্য একমাত্র আবদুল কাদের মির্জা দায়ী।
কাদের মির্জা কোম্পানীগঞ্জের সকল অপরাজনীতির হোতা বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আরো অভিযোগ করেন, যাদের লোক মারা গেছে তাদের কোন মামলা নেওয়া হয়নি, পুলিশ তালবাহানা করছে। কিন্তু যাদের লোক মারা যায়নি তাদের মামলা নেওয়া হয়েছে।
বাদলের মা আরাধন বেগম বলেন, একেবারে মিথ্য বানোয়াট কারণে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সকল সংঘার্তের জন্য কাদের মির্জা একমাত্র দায়ী। এ সময় তিনি দ্রুত কাদের মির্জাকে আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারের ওপর মহলের কাছে দাবি জানান।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, বড় বোন ফাতেমা আক্তার বকুল, ছোট বোন আমেনা বেগম।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৯মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টায় উপজেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর হামলার প্রতিবাদে বসুরহাট বাজারের রুপালী চত্তরে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে উপজেলা আ’লীগ। পরে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সভায় আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীরা সভার একেবারে শেষ মুহূর্তে ককটেল ও গুলি ছোঁড়ে এবং সভার পার্শবর্তী এলাকায় ব্যাপক ককটেল বিষ্ফোরণ করে একটি নৈরাজ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করে।
এ সময় সভাস্থল থেকে উপজেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দ এক সাথ হয়ে মির্জা কাদেরের অনুসারীদের প্রতিরোধ করতে গেলে মাকসুদাহ গার্লস স্কুল রোড এলাকায় দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা, ককটেল বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় পুরো বসুরহাট বাজার জুড়ে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
এছাড়াও থেমে থেমে মধ্যরাত পর্যন্ত ক্ষমতাসীন দলের দু’গ্রুপের অনুসারীরা বসুরহাট বাজারের বিভিন্নস্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, গোলাগুলি ও ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আহত হন ওসি মীর জাহিদুল হক রনিসহ চার পুলিশ। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুলিবিদ্ধ সিএনজি চালক ও স্থানীয় যুবলীগ কর্মী মো.আলাউদ্দিন (৪০) মারা যান। অপরদিকে, একটি নাশকতার মামলায় বৃস্পতিবার (১১ মার্চ) বিকেলে বাদলকে আটক করে নোয়াখালী গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।