কোম্পানীগঞ্জ, (নোয়াখালী) প্রতিনিধি:
পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় আ.লীগ নেতা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বাদল অনুসারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা
দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় আসামী করা হয় ১৬৩জন স্থানীয় আ.লীগের নেতাকর্মীকে। তারা সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাদলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
শনিবার দিবাগত রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা নং-১৩। তবে মামলার কোন আসামীকে এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি।
রোববার (১৩ জুন) সকাল ৯টায় কোম্পানীগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার (এসআই) ফেরদৌসী বেগম এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গতকাল শনিবার সকালে আ.লীগ নেতা বাদলের ওপর হামলার জেরে তার অনুসারীরা উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের টেকের বাজারের বসুরহাট টু পেশকারহাট সড়কে ব্যারিকেট দিয়ে তারা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় পুলিশ তাদেরকে সরিয়ে দিতে চাইলে তারা উল্টো পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে এ ঘটনায় আ.লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম সবুজকে (৬৬) প্রধান আসামী করে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ১০০-১৫০জনকে অজ্ঞাত আসামী করে একটি পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা করা হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাইফুদ্দিন আনোয়ার মামলা হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে এবং নিরাপরাধ কোন মানুষ যেন মামলায় হয়রানি না হয় সে বিষয়েও সতর্ক রয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের ওপর হামলার প্রতিবাদে তার কর্মী সমর্থক ও অনুসারীরা চরকাঁকড়া ইউনিয়নের টেকের বাজারে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে। এ সময় পুলিশ তাদেরকে বাধা দিলে তারা পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশও তাদেরকে শটগানের ছরা গুলি ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় বাদল অনুসারী ৪জন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়।