ছবি সংগৃহীত
আলোচিত সমালোচিত সদ্য সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের নাম ফলক সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এদিকে পদত্যাগের পরের দিন বুধবার ( ৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর বসার কক্ষের দরজায় লাগানো মুরাদের নামফলক সরিয়ে নেওয়া হয়। তিন দিনে আগেও তিনি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী। তার অসৌজন্যমূল্যক বক্তব্য ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ কথোকপনের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে তাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদ পদত্যাগ করার জন্য। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মাধ্যমে প্রতিমন্ত্রীকে পদত্যাগের নির্দেশনা জানিয়ে দেন তিনি।
তথ্য মন্ত্রনালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ডা. মুরাদ হাসান তার অফিস কক্ষে সৌন্দর্যবর্ধনসহ সংস্কার করা হচ্ছিল্য। এর জন্য তিনি সেখানে বসতেন না। তিনি নিজের মতো করে দপ্তরটি সাজাচ্ছিলেন। সংস্কার চলাকালিন সময়ে অন্য একটি কক্ষে বসতেন তিনি। সেখানেই তার নাম ফলক লাগানো ছিলো। কিন্তু এরমধ্যেই তাকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পদত্যাগ করতে হয়েছে। যার কারণে নামফলকটিও বুধবার নামিয়ে ফেলা হয়। শেষ পর্যন্ত নিজের সাজানো দপ্তরে বসার ইচ্ছাটাও পূরণ হলো না।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের পর মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) তিনি পদত্যাগ করেন। রাতেই তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপনও জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।