ইউক্রেন-রাশিয়ার চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনের হয়ে লড়ছেন গাজীপুরের তায়িব

Avatar
Jubayer Hosain Hemel
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ, ২০২২

ইউক্রেন-রাশিয়ার চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনের হয়ে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত যুবক মোহাম্মদ তায়িব (১৮)। ইউক্রেন থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ওয়াটসঅ্যাপ-এ কথোপকথনে তায়িবের যুদ্ধে অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার বাবা আয়ুবুর রহমান ওরফে মোহাম্মদ হাবিব। তায়িবের বাবা মোহাম্মদ হাবিবের বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার পাবুর গ্রামে। তার বাবা মৃত সামির উদ্দিন।

মোহাম্মদ হাবিব বলেন, ‘১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর আমি ইউক্রেনের উদ্দেশে দেশ ছাড়ি এবং ওই দেশের এক নারীকেই জীবনসঙ্গী করে সংসার শুরু করি। সংসারে মোহাম্মদ তায়িব ও মোহাম্মদ কারিম নামে দুজন সন্তানের জন্ম হয়।’ ২০ বছর আগে আমি ইউক্রেনের পাসপোর্ট পাই। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের নিপ্রস্কি জেলায় ত্রিশ বছর ধরে বসবাস করছি। এখানে আমার তৈরি পোশাকের ব্যবসা রয়েছে। তুর্কি প্যান্ট, শার্ট-জ্যাকেট বিক্রি করি আমি।

তিনি বলেন, ‘আমার বড় ছেলে তায়িব ইউক্রেনের হয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে গেছে। তায়েব ওই শহরের কিয়েভেস্কি টেকনি ইউনিভাসিটিতে পড়ে। রাশিয়া যেদিন ইউক্রেনে অ্যাটাক করেছে, ওরা অনলাইনে খবর দেখেছে অ্যাটাকের খবর। রাশিয়া বোম্বিং শুরু করেছে ওইদিন সকালেই সে যুদ্ধে চলে গেছে। সে বলেছে, আমাদের দেশ ধ্বংস করে ফেলছে, আমাদের দেশে রাশিয়ার শত্রু ঢুকছে, আমি আর ঘরে বসে থাকবো না, আমি অস্ত্র ধরবো, আমি এই দেশের নাগরিক, এটা আমার নৈতিক কর্তব্য। আমি আমার দায়িত্ব পালন করবো। আমি আর সহ্য করতে পারছি না।’

তায়িবের বাবা আরও বলেন, ‘আমি ও আমার স্ত্রী মিলে তাকে অনেক বারণ করেছি। কিন্তু সে আমাদের কথা মানেনি। না মেনে সে বলেছে তোমরা আমাকে বারণ করো না। তোমরা আমাকে দোয়া করো। এই মুহুর্তে আমি আর ঘরে বসে থাকতে পারবো না। কারণ আমার এটা কর্তব্য এবং দায়িত্ব। আমার ওপর এটা ফরজ হয়ে গেছে দেশ শত্র মুক্ত করার জন্য। যাওয়ার সময় সে বলেছে, আমি যখন বাড়িতে আসবো, তখন আমি বীরের বেশে আসবো, না হয় লাশ হয়ে ফিরবো।‘

যুদ্ধে যাওয়ার পর তায়িব মাঝে মধ্যে যখন খাবার-দাবার ও বিশ্রামের সময় পায় তখন সে ফোন করে, দুই চার মিনিট কথা বলে। যখন অ্যাটাকে থাকে, তখন টেলিফোন করে না। তখন টেলিফোন সব বন্ধ থাকে বলেও জানান তিনি।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০