ঢাকা ০৬:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ মার্চ ২০২২ ৫২০৬ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে র‌্যাব ও এর কর্মকর্তাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার উপায় ও পন্থা বের করতে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক। বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ জাতিসংঘে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে যোগ দিতে নিউইয়র্ক সফরকালে কংগ্রেসের একজন নারী ও একজন পুরুষ সদস্যের সাথে বৈঠককালে তিনি এ ব্যাপারে মার্কিন কংগ্রেসের সমর্থনও চেয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে ২৮ফেব্রুয়ারী কংগ্রেস সদস্য গ্রেস মেং এবং ১ মার্চ টম ল্যান্টোস মানবাধিকার কমিশনের কো-চেয়ার কংগ্রেস সদস্য জেমস পি. ম্যাকগোভার্নের ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

র‌্যাব ও এর সাত জন বর্তমান ও সাবেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন মার্কিন আইনপ্রণেতাদের বলেন, বাংলাদেশ র‌্যাব সদস্যদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগগুলো খ-ন করতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে র‌্যাব সন্ত্রাসবাদ, সহিংস চরমপন্থা, মাদক ও মানবপাচার এবং অন্যান্য অপরাধ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সর্বাধিক যোগ্য ও কার্যকর আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ড. মোমেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে ব্যাপক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে সে বিষয়েও ব্রিফ করেন। এ সময় দুই আইনপ্রণেতা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অসামান্য উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

ড. মোমেন রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের জোরালো মানবিক ও রাজনৈতিক সমর্থন এবং কোভিড ভ্যাকসিন পাঠানোর বিষয়টিও এসময়ে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। তিনি রাখাইন রাজ্যে নিরাপদ ও নিশ্চিত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত হয়ে বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তাদের জন্মভূমিতে ফিরিয়ে নিতে সম্ভাব্য সকল উপায়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে, মার্কিন আইনপ্রণেতাদের প্রতি অনুরোধ জানান।

এই বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করে মার্কিন আইনপ্রণেতারা বলেন, তারা এ ব্যাপারে তাদের প্রচেষ্টা অব্যহত রাখবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরো জোরদারের গুরুত্বের বিষয়টি তুলে ধরে আগামী দিনগুলোতে এই অংশীদারিত্ব আরো গভীর হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। ড. মোমেন ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বছর পূর্তি উদযাপনকালে বাংলাদেশ সফরের জন্য উভয় আইনপ্রণেতা ও কংগ্রেস প্রতিনিধি দলকে আমন্ত্রণ জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

যুক্তরাষ্ট্রের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন

আপডেট সময় : ১০:১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ মার্চ ২০২২

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে র‌্যাব ও এর কর্মকর্তাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার উপায় ও পন্থা বের করতে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক। বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ জাতিসংঘে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে যোগ দিতে নিউইয়র্ক সফরকালে কংগ্রেসের একজন নারী ও একজন পুরুষ সদস্যের সাথে বৈঠককালে তিনি এ ব্যাপারে মার্কিন কংগ্রেসের সমর্থনও চেয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে ২৮ফেব্রুয়ারী কংগ্রেস সদস্য গ্রেস মেং এবং ১ মার্চ টম ল্যান্টোস মানবাধিকার কমিশনের কো-চেয়ার কংগ্রেস সদস্য জেমস পি. ম্যাকগোভার্নের ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

র‌্যাব ও এর সাত জন বর্তমান ও সাবেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন মার্কিন আইনপ্রণেতাদের বলেন, বাংলাদেশ র‌্যাব সদস্যদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগগুলো খ-ন করতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে র‌্যাব সন্ত্রাসবাদ, সহিংস চরমপন্থা, মাদক ও মানবপাচার এবং অন্যান্য অপরাধ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সর্বাধিক যোগ্য ও কার্যকর আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ড. মোমেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে ব্যাপক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে সে বিষয়েও ব্রিফ করেন। এ সময় দুই আইনপ্রণেতা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অসামান্য উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

ড. মোমেন রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের জোরালো মানবিক ও রাজনৈতিক সমর্থন এবং কোভিড ভ্যাকসিন পাঠানোর বিষয়টিও এসময়ে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। তিনি রাখাইন রাজ্যে নিরাপদ ও নিশ্চিত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত হয়ে বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তাদের জন্মভূমিতে ফিরিয়ে নিতে সম্ভাব্য সকল উপায়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে, মার্কিন আইনপ্রণেতাদের প্রতি অনুরোধ জানান।

এই বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করে মার্কিন আইনপ্রণেতারা বলেন, তারা এ ব্যাপারে তাদের প্রচেষ্টা অব্যহত রাখবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরো জোরদারের গুরুত্বের বিষয়টি তুলে ধরে আগামী দিনগুলোতে এই অংশীদারিত্ব আরো গভীর হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। ড. মোমেন ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বছর পূর্তি উদযাপনকালে বাংলাদেশ সফরের জন্য উভয় আইনপ্রণেতা ও কংগ্রেস প্রতিনিধি দলকে আমন্ত্রণ জানান।