মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৬ মার্চ) ভোর ৫টা ৫৫ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রদ্ধা জানান। এসময় তারা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় সশস্ত্র সালাম জানায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল। পাশ থেকে বেজে ওঠে বিউগলের করুণ সুর।
এরপর শ্রদ্ধা জানাতে আসেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমীন চৌধুরী। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে স্মৃতিসৌধে আসা বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা শ্রদ্ধা জানান। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সভাপতি হিসেবে আরও একবার শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। সঙ্গে ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ ও কেন্দ্রীয় নেতারা। এরপর তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করে কেন্দ্রীয় ১৪ দলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
রাষ্ট্রীয় আয়োজন শেষে স্মৃতিসৌধ খুলে দেওয়া হয় সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য। ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ ফুল দিয়ে বিনম্র চিত্তে স্মরণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের।
প্রতি বছরই বিশেষ ব্যক্তিবর্গের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধ। সকাল থেকেই মানুষের ঢল নামে স্মৃতিসৌধে। ধীরে ধীরে ফুলে ফুলে ঢেকে যায় গৌরবের সৌধ। এদিকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে স্মৃতিসৌধ ঘিরে তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। পথে আটকে পড়া মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে চলে যাওয়ার পরই তারা ছুটে যান স্মৃতিসৌধে।