ঢাকা ১১:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশ নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪২:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ মার্চ ২০২২ ২০০৩ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশ নিয়ে আর কোনও খেলা কেউ খেলতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কখনও কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। বাংলাদেশ যে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই গতি আমাদের ধরে রাখতে হবে।
শনিবার সন্ধ্যায়, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সমাপনী উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত ‘জয় বাংলার জয়োৎসব’ শিরোনামে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা জানান। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের ৫০ বছরের মধ্যে একটি সময় ছিল বিজয় অর্জন ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার। তারপর আরেকটি অধ্যায় হলো ২১ বছরের শোষণ বঞ্চনা। হত্যা-ক্যু অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের রাজনীতি। ৫০ বছরের মধ্যে ২৯ বছর কিন্তু উন্নয়ন হয়নি।
কেবল জাতির পিতার ক্ষমতাকাল এবং ১৯৯৬ সালে মানুষ কিছুটা উন্নয়নের ছোঁয়া পায়। আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। আমার প্রতিটি ঘর আলোকিত করেছি। এ দেশের একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না।
সরকার প্রধান বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতার পর দেশে ফিরেই একটি স্বাধীন রাষ্ট্র কীভাবে চলবে তার দিকনির্দেশনা ঘোষণা করেন। জাতির পিতা শুধু স্বাধীনতা দেননি, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলেছিলেন। ঘুণে ধরা সমাজ ব্যবস্থা ভেঙে নতুন সমাজ গড়ার ব্যবস্থা নিয়েছিলেন।
তৃণমূল মানুষ যেন ক্ষমতাসীন হন সেই ব্যবস্থা তিনি নিয়েছিলেন। ঠিক সেই সময় এলো চরম আঘাত। মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন তিনি। এরপর অন্ধকারের যাত্রা শুরু। বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলে তার স্বাধীনতার চেতনা, জয় বাংলার স্লোগান।
৭ মার্চের ভাষণ হয় নিষিদ্ধ—বঙ্গবন্ধুর নাম ও ছবি নিষিদ্ধ। ২১টি বছর এভাবে বাংলাদেশের বিজয় ইতিহাসকে পদদলিত করা হয়। একটি মন্দ ইতিহাস ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ইতিহাস কেউ মুছে ফেলতে পারে না। সত্যের জয় হবেই। আজ সেটাই হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে যেন কেউ অবহেলা করতে না পারে। বাংলাদেশের মানুষ যেন বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে চলতে পারে। শিক্ষা-দীক্ষা-প্রযুক্তি জ্ঞান সব দিক থেকে যেন আমরা এগিয়ে থাকতে পারি।
সুবর্ণজয়ন্তীর পথ ধরে আমরা এগিয়ে যাবো। শতবর্ষ উদযাপন করবে আমাদের আগামী দিনের প্রজন্ম। তারা এটা করবে ২০৭১ সালে। তাদের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে এবং আমাদের বর্তমানকে আগামী প্রজন্মের জন্য উৎসর্গ করছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে আমার এটাই আহ্বান থাকবে—আমরা পরিকল্পনা দিয়ে গেছি ২০৪১ সালের বাংলাদেশ কেমন হবে। ২১০০ সালের ডেল্টা প্ল্যান আমরা করেছি। এ দেশের মানুষ কীভাবে উন্নত জীবন পাবে—সেই লক্ষ্য নিয়েই আমাদের পরিকল্পনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশ নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আপডেট সময় : ০৯:৪২:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ মার্চ ২০২২

বাংলাদেশ নিয়ে আর কোনও খেলা কেউ খেলতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কখনও কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। বাংলাদেশ যে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই গতি আমাদের ধরে রাখতে হবে।
শনিবার সন্ধ্যায়, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সমাপনী উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত ‘জয় বাংলার জয়োৎসব’ শিরোনামে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা জানান। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের ৫০ বছরের মধ্যে একটি সময় ছিল বিজয় অর্জন ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার। তারপর আরেকটি অধ্যায় হলো ২১ বছরের শোষণ বঞ্চনা। হত্যা-ক্যু অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের রাজনীতি। ৫০ বছরের মধ্যে ২৯ বছর কিন্তু উন্নয়ন হয়নি।
কেবল জাতির পিতার ক্ষমতাকাল এবং ১৯৯৬ সালে মানুষ কিছুটা উন্নয়নের ছোঁয়া পায়। আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। আমার প্রতিটি ঘর আলোকিত করেছি। এ দেশের একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না।
সরকার প্রধান বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতার পর দেশে ফিরেই একটি স্বাধীন রাষ্ট্র কীভাবে চলবে তার দিকনির্দেশনা ঘোষণা করেন। জাতির পিতা শুধু স্বাধীনতা দেননি, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলেছিলেন। ঘুণে ধরা সমাজ ব্যবস্থা ভেঙে নতুন সমাজ গড়ার ব্যবস্থা নিয়েছিলেন।
তৃণমূল মানুষ যেন ক্ষমতাসীন হন সেই ব্যবস্থা তিনি নিয়েছিলেন। ঠিক সেই সময় এলো চরম আঘাত। মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন তিনি। এরপর অন্ধকারের যাত্রা শুরু। বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলে তার স্বাধীনতার চেতনা, জয় বাংলার স্লোগান।
৭ মার্চের ভাষণ হয় নিষিদ্ধ—বঙ্গবন্ধুর নাম ও ছবি নিষিদ্ধ। ২১টি বছর এভাবে বাংলাদেশের বিজয় ইতিহাসকে পদদলিত করা হয়। একটি মন্দ ইতিহাস ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ইতিহাস কেউ মুছে ফেলতে পারে না। সত্যের জয় হবেই। আজ সেটাই হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে যেন কেউ অবহেলা করতে না পারে। বাংলাদেশের মানুষ যেন বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে চলতে পারে। শিক্ষা-দীক্ষা-প্রযুক্তি জ্ঞান সব দিক থেকে যেন আমরা এগিয়ে থাকতে পারি।
সুবর্ণজয়ন্তীর পথ ধরে আমরা এগিয়ে যাবো। শতবর্ষ উদযাপন করবে আমাদের আগামী দিনের প্রজন্ম। তারা এটা করবে ২০৭১ সালে। তাদের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে এবং আমাদের বর্তমানকে আগামী প্রজন্মের জন্য উৎসর্গ করছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে আমার এটাই আহ্বান থাকবে—আমরা পরিকল্পনা দিয়ে গেছি ২০৪১ সালের বাংলাদেশ কেমন হবে। ২১০০ সালের ডেল্টা প্ল্যান আমরা করেছি। এ দেশের মানুষ কীভাবে উন্নত জীবন পাবে—সেই লক্ষ্য নিয়েই আমাদের পরিকল্পনা।