ঢাকা ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশের পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার মতো হবে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০৭:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল ২০২২ ২২৫৬ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শ্রীলঙ্কার মতো অর্থনৈতিক সংকট যেন বাংলাদেশে না হয় সে ব্যাপারে সরকার সতর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (৬ এপ্রিল) একাদশ জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থায় বাংলাদেশও পড়তে পারে- বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদেরের এমন আশঙ্কার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা বাস্তব। তবে আমরা সরকার গঠন করার পর থেকে এ পর্যন্ত উন্নয়নের ক্ষেত্রে যত ঋণ নিয়েছি তা সময়মতো পরিশোধ করছি। বাংলাদেশ একটি দেশ, যে দেশ কোনোদিন ঋণ পরিশোধে ডিফল্টার হয়নি, হবেও না। সেদিক থেকে আমাদের অর্থনীতির ভিত্তি অনেক মজবুত। সেটা আমি বলে রাখতে চাই। আমরা অত্যন্ত সতর্ক। এর আগে জিএম কাদের তার বক্তব্যে শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকটের প্রসঙ্গ টেনে বাংলাদেশের অবস্থাও শ্রীলঙ্কার মত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

সংবিধানের সত্তর অনুচ্ছেদ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সত্তর অনুচ্ছেদ আছে বলেই রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা আছে। ভারসাম্য আছে। এটা হলো বাস্তবতা। অন্যপথে যারা ক্ষমতা দখল করতে যায় তাদের কাছে ৭০ অনুচ্ছেদের এই প্রশ্ন উঠবে। সত্তর দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে স্থিতিশীল রাখা হয়েছে, এটাই বাস্তবতা। এখন এটাও দেওয়া হয়েছে, অবৈধভাবে যারা সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করে তাদের ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট পর্যন্ত হবে।

তিনি বলেন, বিরোধী দলীয় উপনেতা যেসব কথা বলেছেন। আমাদের সংবিধান পাঠদান করেছেন। তার প্রতিটির উত্তরই আছে। তার সবগুলোর জবাব দেবো। বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভাগ্য হলো এমন একটি দলের কাছ থেকে সংবিধানের বিষয় শুনতে হচ্ছে, যে দলটি ক্ষমতায় এসেছিল সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে, মার্শাল ল’ জারি করে। মার্শাল ল’র মাধ্যমে যাদের জন্ম, যার নেতা ক্ষমতাই দখল করেছিল তৎকালীন রাষ্ট্রপতিকে বিদায় করে- সেনাপ্রধান হয়ে গেলেন রাষ্ট্রপ্রধান! যে সংবিধান স্থগিত করে ক্ষমতায় এসেছিল, তার কাছ থেকে আজকে আমাদের সংবিধান শিখতে হচ্ছে, সংবিধানের ব্যাখ্যা শুনতে হচ্ছে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একে তো করোনা, তারপর ইউক্রেনে যুদ্ধ। সমস্ত ইউরোপে সাড়ে সাতভাগের ওপরে মূল্যস্ফীতি। কোনো কোনো দেশে ৮০ ভাগ পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি হয়ে গেছে। এটা হয়েছে একটা করোনার ধাক্কায়, আরেকটা যুদ্ধের ধাক্কায়। সেখানে বাংলাদেশে আমাদের ৬ ভাগের নিচে আছে মূল্যস্ফীতি। বিরোধী দলের নেতা বলেছেন, মাথাপিছু আয়ও যেমন বেড়েছে সেই সাথে দ্রব্যমূল্যও বেড়েছে। এটা হলো বাস্তব।

জিনিসপত্র মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, মানুষ যাতে বেশি কষ্ট না পায় সেই পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশের পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার মতো হবে না: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৯:০৭:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল ২০২২

শ্রীলঙ্কার মতো অর্থনৈতিক সংকট যেন বাংলাদেশে না হয় সে ব্যাপারে সরকার সতর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (৬ এপ্রিল) একাদশ জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থায় বাংলাদেশও পড়তে পারে- বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদেরের এমন আশঙ্কার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা বাস্তব। তবে আমরা সরকার গঠন করার পর থেকে এ পর্যন্ত উন্নয়নের ক্ষেত্রে যত ঋণ নিয়েছি তা সময়মতো পরিশোধ করছি। বাংলাদেশ একটি দেশ, যে দেশ কোনোদিন ঋণ পরিশোধে ডিফল্টার হয়নি, হবেও না। সেদিক থেকে আমাদের অর্থনীতির ভিত্তি অনেক মজবুত। সেটা আমি বলে রাখতে চাই। আমরা অত্যন্ত সতর্ক। এর আগে জিএম কাদের তার বক্তব্যে শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকটের প্রসঙ্গ টেনে বাংলাদেশের অবস্থাও শ্রীলঙ্কার মত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

সংবিধানের সত্তর অনুচ্ছেদ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সত্তর অনুচ্ছেদ আছে বলেই রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা আছে। ভারসাম্য আছে। এটা হলো বাস্তবতা। অন্যপথে যারা ক্ষমতা দখল করতে যায় তাদের কাছে ৭০ অনুচ্ছেদের এই প্রশ্ন উঠবে। সত্তর দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে স্থিতিশীল রাখা হয়েছে, এটাই বাস্তবতা। এখন এটাও দেওয়া হয়েছে, অবৈধভাবে যারা সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করে তাদের ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট পর্যন্ত হবে।

তিনি বলেন, বিরোধী দলীয় উপনেতা যেসব কথা বলেছেন। আমাদের সংবিধান পাঠদান করেছেন। তার প্রতিটির উত্তরই আছে। তার সবগুলোর জবাব দেবো। বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভাগ্য হলো এমন একটি দলের কাছ থেকে সংবিধানের বিষয় শুনতে হচ্ছে, যে দলটি ক্ষমতায় এসেছিল সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে, মার্শাল ল’ জারি করে। মার্শাল ল’র মাধ্যমে যাদের জন্ম, যার নেতা ক্ষমতাই দখল করেছিল তৎকালীন রাষ্ট্রপতিকে বিদায় করে- সেনাপ্রধান হয়ে গেলেন রাষ্ট্রপ্রধান! যে সংবিধান স্থগিত করে ক্ষমতায় এসেছিল, তার কাছ থেকে আজকে আমাদের সংবিধান শিখতে হচ্ছে, সংবিধানের ব্যাখ্যা শুনতে হচ্ছে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একে তো করোনা, তারপর ইউক্রেনে যুদ্ধ। সমস্ত ইউরোপে সাড়ে সাতভাগের ওপরে মূল্যস্ফীতি। কোনো কোনো দেশে ৮০ ভাগ পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি হয়ে গেছে। এটা হয়েছে একটা করোনার ধাক্কায়, আরেকটা যুদ্ধের ধাক্কায়। সেখানে বাংলাদেশে আমাদের ৬ ভাগের নিচে আছে মূল্যস্ফীতি। বিরোধী দলের নেতা বলেছেন, মাথাপিছু আয়ও যেমন বেড়েছে সেই সাথে দ্রব্যমূল্যও বেড়েছে। এটা হলো বাস্তব।

জিনিসপত্র মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, মানুষ যাতে বেশি কষ্ট না পায় সেই পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি।