ঢাকা ০২:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

সরকারের ব্যর্থতায় বাড়ছে করোনা রোগী: দাবী বিএনপির

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:১৩:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মে ২০২০ ৩৭০ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এনকে বার্তা ডেস্ক::

সরকারের ব্যর্থতার কারণে দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। সোমবার ঈদের নামাজ শেষে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত শেষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন।

এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা কবরের সামনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়িয়ে ফাতেহা পাঠ করে প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা দেখেছি, কয়েকবার বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কারণে সারাদেশেই মানুষ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে আপনারা দেখলেন এবার ঈদের আগে এবং তারও আগে গার্মেন্টসসহ ছুটি- সব মিলিয়ে এখন সারাদেশের মানুষই করোনাতে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে প্রায়। প্রতিদিন সংখ্যা বাড়ছে এবং বৃদ্ধির কারণটা হচ্ছে যে, পরীক্ষা হচ্ছে বেশি সংক্রামিত সংখ্যাও সেজন্য বাড়ছে।’

তিনি বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় সরকারের তরফ থেকে যে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে আমাদের কাছে মনে হয়েছে তা সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিলো না, সমন্বয় ছিলো না এবং এখনো নেই। সুতরাং তারা ব্যর্থ হয়েছে।’

ফখরুল বলেন, ‘করোনাভাইরাসকে ন্যুনতম প্রতিরোধের একটা কাছাকাছি আনার চেষ্টা করা থেকেও তারা (সরকার) ব্যর্থ হয়েছে। আমরা এই কথা বলি না যে, এটা তারা পুরোটাই পারবেন। কারণ পুরোটা পারা সম্ভব নয়, নতুন একটা জিনিস। কিন্তু যে ইচ্ছে, যে প্রচেষ্টা, সকলকে আপনার সাথে নিয়ে বিশেষ করে বিশেষজ্ঞ যারা তাদেরকে সাথে নিয়ে এইটাকে মোকাবিলা করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি।’

বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা হচ্ছে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কতটা ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে দেখুন- এখন যারা দায়িত্বপূর্ণ লোক আছেন, গুরুত্বপূর্ণ লোক আছেন তারা কিন্তু অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে যেগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে করোনাভাইরাসের হাসপাতাল হিসেবে। সেখানে তারা যাচ্ছেন না। তারা যাচ্ছেন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে। আমরা মনে করি যে, এটা প্রমাণ করে সিভিল হেলথ ব্যবস্থা অর্থাৎ বেসামরিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রায় ভেঙ্গেই পড়েছে। যার কারণে কারো আস্থা সেখানে থাকছে না।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরো বলেন, ‘আমরা প্রতিবছর বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়েই এখানে আমরা আসি জিয়ারত করতে। কিন্তু আপনারা জানেন, তিনি অসুস্থ। তার পক্ষে সম্ভব নয় এখানে আসার। যদিও মাত্র ৬ মাসের জন্য তাকে সাজা স্থগিত করে মুক্তি দেয়া হয়েছে। আমরা মনে করি যে, এটা এটা তার প্রতি সম্পূর্ণ অবিচার করা হয়েছে, ন্যায় বিচার করা হয়নি। তাকে সম্পূর্ণভাবে মুক্তি দেয়া উচিত ছিলো এবং তার বিচারেও তার যে জামিন পাওয়া উচিত ছিলো, সেই জামিনও বর্তমান ব্যবস্থায় তিনি পাননি।’

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখন কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেল, ‘ইনশাল্লাহ উনি যেমন ছিলেন ওর থেকে খারাপ হননি, স্থিতিশীল আছেন।’

এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

সরকারের ব্যর্থতায় বাড়ছে করোনা রোগী: দাবী বিএনপির

আপডেট সময় : ০২:১৩:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মে ২০২০

এনকে বার্তা ডেস্ক::

সরকারের ব্যর্থতার কারণে দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। সোমবার ঈদের নামাজ শেষে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত শেষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন।

এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা কবরের সামনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়িয়ে ফাতেহা পাঠ করে প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা দেখেছি, কয়েকবার বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কারণে সারাদেশেই মানুষ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে আপনারা দেখলেন এবার ঈদের আগে এবং তারও আগে গার্মেন্টসসহ ছুটি- সব মিলিয়ে এখন সারাদেশের মানুষই করোনাতে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে প্রায়। প্রতিদিন সংখ্যা বাড়ছে এবং বৃদ্ধির কারণটা হচ্ছে যে, পরীক্ষা হচ্ছে বেশি সংক্রামিত সংখ্যাও সেজন্য বাড়ছে।’

তিনি বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় সরকারের তরফ থেকে যে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে আমাদের কাছে মনে হয়েছে তা সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিলো না, সমন্বয় ছিলো না এবং এখনো নেই। সুতরাং তারা ব্যর্থ হয়েছে।’

ফখরুল বলেন, ‘করোনাভাইরাসকে ন্যুনতম প্রতিরোধের একটা কাছাকাছি আনার চেষ্টা করা থেকেও তারা (সরকার) ব্যর্থ হয়েছে। আমরা এই কথা বলি না যে, এটা তারা পুরোটাই পারবেন। কারণ পুরোটা পারা সম্ভব নয়, নতুন একটা জিনিস। কিন্তু যে ইচ্ছে, যে প্রচেষ্টা, সকলকে আপনার সাথে নিয়ে বিশেষ করে বিশেষজ্ঞ যারা তাদেরকে সাথে নিয়ে এইটাকে মোকাবিলা করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি।’

বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা হচ্ছে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কতটা ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে দেখুন- এখন যারা দায়িত্বপূর্ণ লোক আছেন, গুরুত্বপূর্ণ লোক আছেন তারা কিন্তু অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে যেগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে করোনাভাইরাসের হাসপাতাল হিসেবে। সেখানে তারা যাচ্ছেন না। তারা যাচ্ছেন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে। আমরা মনে করি যে, এটা প্রমাণ করে সিভিল হেলথ ব্যবস্থা অর্থাৎ বেসামরিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রায় ভেঙ্গেই পড়েছে। যার কারণে কারো আস্থা সেখানে থাকছে না।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরো বলেন, ‘আমরা প্রতিবছর বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়েই এখানে আমরা আসি জিয়ারত করতে। কিন্তু আপনারা জানেন, তিনি অসুস্থ। তার পক্ষে সম্ভব নয় এখানে আসার। যদিও মাত্র ৬ মাসের জন্য তাকে সাজা স্থগিত করে মুক্তি দেয়া হয়েছে। আমরা মনে করি যে, এটা এটা তার প্রতি সম্পূর্ণ অবিচার করা হয়েছে, ন্যায় বিচার করা হয়নি। তাকে সম্পূর্ণভাবে মুক্তি দেয়া উচিত ছিলো এবং তার বিচারেও তার যে জামিন পাওয়া উচিত ছিলো, সেই জামিনও বর্তমান ব্যবস্থায় তিনি পাননি।’

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখন কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেল, ‘ইনশাল্লাহ উনি যেমন ছিলেন ওর থেকে খারাপ হননি, স্থিতিশীল আছেন।’

এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।