ঢাকা ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

হাওরের বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতির আশঙ্কা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩৫:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ এপ্রিল ২০২২ ১৮০০ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হাওর বেষ্টিত জেলা সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জে রাতভর বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড়ি ঢলে হাওর অঞ্চলের পরিস্থিতি আরও অবনতি ঘটবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত এবং পাহারি ঢলে ফসল রক্ষা বিভিন্ন বাঁধ ভেঙে কৃষকের স্বপ্নের ফসল পানিতে ডুবে গেছে। পানির নিচে ফসল তলিয়ে যাওয়ায় হাহাকার করছে হাওরের কৃষকরা। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এর আগে ভারতের বিহার রাজ্য থেকে একটি শক্তিশালী কলাবৈশাখী ঝড় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে বাংলাদেশের প্রবেশ করে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়। একইসময়ে ভারতের মেঘালয় পর্বতের উপরে সৃষ্ট চলমান ঝড় রাত ৩টা থেকে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এই ঝড়ের প্রভাবে রাজধানী ঢাকাতেও বুধবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৬টা ৫০ মিনিটের দিকে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়।

আবহাওয়াবিদ ও গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, এখন পর্যন্ত এই বছরের বৈশাখ মাসের সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী ঝড় এটি। বিশেষ করে সিলেট ও ময়মনসিংহে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে হাওরাঞ্চলের বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের আরও অবনতি ঘটবে।

এর আগে মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাস নির্দেশ করে আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, দেশের আটটি জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস রয়েছে। এক্ষেত্রে তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি কমে গিয়ে তাপপ্রবাহ কিছুটা প্রশমিত হতে পারে। আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

হাওরের বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতির আশঙ্কা

আপডেট সময় : ১১:৩৫:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ এপ্রিল ২০২২

হাওর বেষ্টিত জেলা সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জে রাতভর বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড়ি ঢলে হাওর অঞ্চলের পরিস্থিতি আরও অবনতি ঘটবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত এবং পাহারি ঢলে ফসল রক্ষা বিভিন্ন বাঁধ ভেঙে কৃষকের স্বপ্নের ফসল পানিতে ডুবে গেছে। পানির নিচে ফসল তলিয়ে যাওয়ায় হাহাকার করছে হাওরের কৃষকরা। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এর আগে ভারতের বিহার রাজ্য থেকে একটি শক্তিশালী কলাবৈশাখী ঝড় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে বাংলাদেশের প্রবেশ করে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়। একইসময়ে ভারতের মেঘালয় পর্বতের উপরে সৃষ্ট চলমান ঝড় রাত ৩টা থেকে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এই ঝড়ের প্রভাবে রাজধানী ঢাকাতেও বুধবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৬টা ৫০ মিনিটের দিকে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়।

আবহাওয়াবিদ ও গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, এখন পর্যন্ত এই বছরের বৈশাখ মাসের সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী ঝড় এটি। বিশেষ করে সিলেট ও ময়মনসিংহে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে হাওরাঞ্চলের বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের আরও অবনতি ঘটবে।

এর আগে মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাস নির্দেশ করে আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, দেশের আটটি জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস রয়েছে। এক্ষেত্রে তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি কমে গিয়ে তাপপ্রবাহ কিছুটা প্রশমিত হতে পারে। আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে।