ঢাকা ০৫:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

ঈদের দিনে সর্বোচ্চ করোনা আক্রান্ত ১৯৭৫, মৃত্যু ২১

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫০:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মে ২০২০ ৩৬৭ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এনকে বার্তা ডেস্ক::

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরো ১৯৭৫ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫,৫৮৫। এ সময়ের মধ্যে মারা গেছেন আরো ২১ জন। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৫০১।

সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, যারা দেশবাসীর পাশে বিভিন্ন দাঁড়িয়েছেন তাদের সবার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প‌রিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. সা‌নিয়া তহ‌মিনা, প‌রিচালক (প‌রিকল্পনা ও গ‌বেষণা) ডা. ইকবাল কবীর প্রমুখ।

নাসিমা নতুন একটিসহ মোট ৪৮টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১১ হাজার ৫৪১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় নয় হাজার ৪৫১টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো দুই লাখ ৫৩ হাজার ৩৪টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও এক হাজার ৯৭৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এটি একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ হাজার ৫৮৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ২১ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫০১ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৪৩৩ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল সাত হাজার ৩৩৪ জনে।

নতুন করে যারা মারা গেছেন, তাদের ১৬ জন পুরুষ, পাঁচজন নারী। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের নয়জন ও রংপুর বিভাগের একজন রয়েছেন। বয়সের দিক থেকে ১১ থেকে ২০ বছরের একজন, চল্লিশোর্ধ্ব তিনজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব নয়জন, ষাটোর্ধ্ব চারজন, সত্তরোর্ধ্ব দুজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের দুজন রয়েছেন।

গত রোববারের (২৪ মে) বুলেটিনে জানানো হয়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ জন মারা গেছেন। যা একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। আট হাজার ৯০৯টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৫৩২ জনের দেহে। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু কমলেও হয়েছে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এর আগে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্তের রেকর্ড ছিল এক হাজার ৮৭৩ জনের, যা গত ২৩ মের বুলেটিনে জানানো হয়।

সোমবারের বুলেটিনে বলা হয়, করোনা রোগী শনাক্ত বিবেচনায় এখন পর্যন্ত সুস্থতার হার ২০ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪১ শতাংশ।

ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে আরও ২৮৪ জনকে এবং বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন চার হাজার ৬৫৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৯৫ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ২৫৮ জন।

সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা আছে ১৩ হাজার ২৮৪টি। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় সাত হাজার ২৫০টি এবং ঢাকার বাইরে আছে ছয় হাজার ৩৪টি। সারাদেশে আইসিইউ শয্যা আছে ৩৯৯টি, ডায়ালাইসিস ইউনিট আছে ১০৬টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে দুই হাজার ৩৮৪ জনকে। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে দুই লাখ ৬৫ হাজার ৮৬৩জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ১১২ জন। এ পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ ১০ হাজার ৪৫৮ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৫৫ হাজার ৪০৫ জন।

দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ৬২৬টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ৮৪০ জনকে।

বুলেটিনে করোনার বিস্তাররোধে সবাইকে বাড়িতে থাকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, বিগত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে বৈশ্বিক মহামারিতে পরিণত করোনাভাইরাসে এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫ লাখ ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। মৃতের সংখ্যা তিন লাখ ৪৭ হাজার প্রায়। তবে সাড়ে ২৩ লাখের বেশি রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।

বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও এপ্রিলের শুরু থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা।

প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে; যার মূলে রয়েছে মানুষে মানুষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। মানুষকে ঘরে রাখতে রাজপথের পাশাপাশি পাড়া-মহল্লায় টহল দিচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

ঈদের দিনে সর্বোচ্চ করোনা আক্রান্ত ১৯৭৫, মৃত্যু ২১

আপডেট সময় : ০৪:৫০:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মে ২০২০

এনকে বার্তা ডেস্ক::

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরো ১৯৭৫ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫,৫৮৫। এ সময়ের মধ্যে মারা গেছেন আরো ২১ জন। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৫০১।

সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, যারা দেশবাসীর পাশে বিভিন্ন দাঁড়িয়েছেন তাদের সবার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প‌রিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. সা‌নিয়া তহ‌মিনা, প‌রিচালক (প‌রিকল্পনা ও গ‌বেষণা) ডা. ইকবাল কবীর প্রমুখ।

নাসিমা নতুন একটিসহ মোট ৪৮টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১১ হাজার ৫৪১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় নয় হাজার ৪৫১টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো দুই লাখ ৫৩ হাজার ৩৪টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও এক হাজার ৯৭৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এটি একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ হাজার ৫৮৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ২১ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫০১ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৪৩৩ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল সাত হাজার ৩৩৪ জনে।

নতুন করে যারা মারা গেছেন, তাদের ১৬ জন পুরুষ, পাঁচজন নারী। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের নয়জন ও রংপুর বিভাগের একজন রয়েছেন। বয়সের দিক থেকে ১১ থেকে ২০ বছরের একজন, চল্লিশোর্ধ্ব তিনজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব নয়জন, ষাটোর্ধ্ব চারজন, সত্তরোর্ধ্ব দুজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের দুজন রয়েছেন।

গত রোববারের (২৪ মে) বুলেটিনে জানানো হয়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ জন মারা গেছেন। যা একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। আট হাজার ৯০৯টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৫৩২ জনের দেহে। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু কমলেও হয়েছে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এর আগে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্তের রেকর্ড ছিল এক হাজার ৮৭৩ জনের, যা গত ২৩ মের বুলেটিনে জানানো হয়।

সোমবারের বুলেটিনে বলা হয়, করোনা রোগী শনাক্ত বিবেচনায় এখন পর্যন্ত সুস্থতার হার ২০ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪১ শতাংশ।

ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে আরও ২৮৪ জনকে এবং বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন চার হাজার ৬৫৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৯৫ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ২৫৮ জন।

সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা আছে ১৩ হাজার ২৮৪টি। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় সাত হাজার ২৫০টি এবং ঢাকার বাইরে আছে ছয় হাজার ৩৪টি। সারাদেশে আইসিইউ শয্যা আছে ৩৯৯টি, ডায়ালাইসিস ইউনিট আছে ১০৬টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে দুই হাজার ৩৮৪ জনকে। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে দুই লাখ ৬৫ হাজার ৮৬৩জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ১১২ জন। এ পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ ১০ হাজার ৪৫৮ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৫৫ হাজার ৪০৫ জন।

দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ৬২৬টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ৮৪০ জনকে।

বুলেটিনে করোনার বিস্তাররোধে সবাইকে বাড়িতে থাকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, বিগত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে বৈশ্বিক মহামারিতে পরিণত করোনাভাইরাসে এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫ লাখ ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। মৃতের সংখ্যা তিন লাখ ৪৭ হাজার প্রায়। তবে সাড়ে ২৩ লাখের বেশি রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।

বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও এপ্রিলের শুরু থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা।

প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে; যার মূলে রয়েছে মানুষে মানুষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। মানুষকে ঘরে রাখতে রাজপথের পাশাপাশি পাড়া-মহল্লায় টহল দিচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশ।