ঢাকা ০১:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

৭১ টিভির সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:২৪:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জুন ২০২২ ২৬৭১ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে একাত্তর টিভির নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি মিজানুর রহমানের ওপর হামলাকারী যুবলীগ-ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সাংবাদিকরা।

 

বৃহস্পতিবার (২জুন) এ ঘটনার প্রতিবাদে সকাল ১০টার দিকে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকেরা এ কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধনে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মিরা সংহতি প্রকাশ করে।

 

চ্যানেল টুয়েন্টিফোর জেলা প্রতিনিধি সুমন ভৌমিকের সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন, নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বখতিয়ার শিকদার, আলমগীর ইউছুফ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক আনোয়ার, জামাল হোসেন বিষাদ, সিনিয়র সাংবাদিক, সাইফুল্যাহ কামরুল, আকাস মো.জসীম, আবু নাছের মঞ্জু, তাজুল ইসলাম মানিক প্রমূখ। এছাড়াও কর্মসূচীতে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।

 

মানববন্ধনে বক্তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে সাংবাদিক মিজানুর রহমানের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচীর হুশিয়ারি দেন তারা। একই সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীরা যাতে নিরাপদে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারে সে দায়িত্ব প্রশাসন তথা সরকারকে নেয়ারও দাবী জানান।

 

প্রসঙ্গত, সাবেক রাষ্ট্রপ্রতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বুধবার ১ জুন বেগমগঞ্জের বাংলাবাজার এলাকায় খাবার বিতরণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হলে সেখানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্যাহ বুলুসহ দলের নেতাকর্মীরা যায়। কর্মসূচি শুরুর সাথে সাথে স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে কর্মসূচীরস্থলে এসে হামলা চালায় এবং কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ করে। এসময় ভিডিও ধারন করতে গেলে সাংবাদিক মিজানুর রহমানের মোবাইল ছিনিয়ে নেয় এবং তাকে লাঞ্ছিত করে হামলাকারিরা, পরে দুই ঘন্টা পর তাকে মোবাইল ফেরত দেয়। তবে মোবাইলের সকল ভিডিও মুছে দেয়া হয়। এ ঘটনায় রাতে মিজানুর রহমান বাদি হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দিলেও এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

৭১ টিভির সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৮:২৪:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জুন ২০২২

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে একাত্তর টিভির নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি মিজানুর রহমানের ওপর হামলাকারী যুবলীগ-ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সাংবাদিকরা।

 

বৃহস্পতিবার (২জুন) এ ঘটনার প্রতিবাদে সকাল ১০টার দিকে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকেরা এ কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধনে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মিরা সংহতি প্রকাশ করে।

 

চ্যানেল টুয়েন্টিফোর জেলা প্রতিনিধি সুমন ভৌমিকের সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন, নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বখতিয়ার শিকদার, আলমগীর ইউছুফ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক আনোয়ার, জামাল হোসেন বিষাদ, সিনিয়র সাংবাদিক, সাইফুল্যাহ কামরুল, আকাস মো.জসীম, আবু নাছের মঞ্জু, তাজুল ইসলাম মানিক প্রমূখ। এছাড়াও কর্মসূচীতে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।

 

মানববন্ধনে বক্তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে সাংবাদিক মিজানুর রহমানের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচীর হুশিয়ারি দেন তারা। একই সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীরা যাতে নিরাপদে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারে সে দায়িত্ব প্রশাসন তথা সরকারকে নেয়ারও দাবী জানান।

 

প্রসঙ্গত, সাবেক রাষ্ট্রপ্রতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বুধবার ১ জুন বেগমগঞ্জের বাংলাবাজার এলাকায় খাবার বিতরণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হলে সেখানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্যাহ বুলুসহ দলের নেতাকর্মীরা যায়। কর্মসূচি শুরুর সাথে সাথে স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে কর্মসূচীরস্থলে এসে হামলা চালায় এবং কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ করে। এসময় ভিডিও ধারন করতে গেলে সাংবাদিক মিজানুর রহমানের মোবাইল ছিনিয়ে নেয় এবং তাকে লাঞ্ছিত করে হামলাকারিরা, পরে দুই ঘন্টা পর তাকে মোবাইল ফেরত দেয়। তবে মোবাইলের সকল ভিডিও মুছে দেয়া হয়। এ ঘটনায় রাতে মিজানুর রহমান বাদি হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দিলেও এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।