ঢাকা ০৮:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

চিকিৎসক পরিচয়ে সরকারি হাসপাতালে ডুকে রোগিকে ধর্ষণের চেষ্টা, বখাটের বিরুদ্ধে মামলা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৫২:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ জুলাই ২০২২ ১১৫২৭ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

 

 

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি রোগির কেভিনে চিকিৎসক পরিচয়ে প্রবেশ করে ভর্তিকৃত এক রোগিকে (২৪) ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে মঞ্জুরুল হায়দার জনি (৩৫) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে অনধিকার নিয়ে প্রবেশ করে ভর্তিকৃত রোগিকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাদি হয়ে মঞ্জুরুল হায়দার জনিকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে।

 

 

শুক্রবার বিকেলে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. তাহমিনা আক্তার বাদি হয়ে চাটখিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। অভিযুক্ত মঞ্জুরুল হায়দার জনি চাটখিল পৌরসভার সুন্দরপুর এলাকার মৃত শাহাদাত উল্যার ছেলে। হাসপাতালের সামনে হায়দার ফার্মেসী নামে তার একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

 

 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জ্বর ও সর্দি নিয়ে হাসপাতালের একটি কেভিনে ভর্তি হন ওই নারী (২৪)। পরদিন বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে ওই কেভিনে প্রবেশ করে মঞ্জুরুল হায়দার জনি। কেভিনে গিয়ে সে কৌশলে রোগির স্বজনদের বাহির করে দেয়। পরে ওই রোগীর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকারত স্থানে হাত দিয়ে যৌন হয়রানি এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে জনি। একপর্যায়ে রোগি শোর চিৎকার করলে দ্রুত কেবিন থেকে পালিয়ে যায় জনি। পরবর্তীতে ভুক্তভোগি নারী বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ঘটনার প্রতিকার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ধর্ষণের চেষ্টা চালানোর সময় চিৎকার করলে আসামি তাকে গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন।

 

 

চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খন্দকার মোশতাক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, যেহেতু জনি আমাদের হাসপাতালে অনধিকার চর্চা করে প্রবেশ করে কেবিনে ভর্তিকৃত রোগিকে যৌন হয়রানি করেছে সে কারনে আমরা হাসপাতালের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছি।

 

 

তিনি আরও বলেন, অভিযোগের তদন্তে হাসপাতালের শিশু কনসালটেন্ট ডা. তানজিনা হককে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, হাসপতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শহীদুল আহমেদ নয়ন, ডা. ইকরাম বিন ফারুক ও নার্সিং সুপারভাইজার আয়েশা আক্তার।

 

 

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গিয়াস উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

চিকিৎসক পরিচয়ে সরকারি হাসপাতালে ডুকে রোগিকে ধর্ষণের চেষ্টা, বখাটের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট সময় : ০৭:৫২:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ জুলাই ২০২২

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

 

 

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি রোগির কেভিনে চিকিৎসক পরিচয়ে প্রবেশ করে ভর্তিকৃত এক রোগিকে (২৪) ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে মঞ্জুরুল হায়দার জনি (৩৫) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে অনধিকার নিয়ে প্রবেশ করে ভর্তিকৃত রোগিকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাদি হয়ে মঞ্জুরুল হায়দার জনিকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে।

 

 

শুক্রবার বিকেলে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. তাহমিনা আক্তার বাদি হয়ে চাটখিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। অভিযুক্ত মঞ্জুরুল হায়দার জনি চাটখিল পৌরসভার সুন্দরপুর এলাকার মৃত শাহাদাত উল্যার ছেলে। হাসপাতালের সামনে হায়দার ফার্মেসী নামে তার একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

 

 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জ্বর ও সর্দি নিয়ে হাসপাতালের একটি কেভিনে ভর্তি হন ওই নারী (২৪)। পরদিন বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে ওই কেভিনে প্রবেশ করে মঞ্জুরুল হায়দার জনি। কেভিনে গিয়ে সে কৌশলে রোগির স্বজনদের বাহির করে দেয়। পরে ওই রোগীর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকারত স্থানে হাত দিয়ে যৌন হয়রানি এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে জনি। একপর্যায়ে রোগি শোর চিৎকার করলে দ্রুত কেবিন থেকে পালিয়ে যায় জনি। পরবর্তীতে ভুক্তভোগি নারী বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ঘটনার প্রতিকার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ধর্ষণের চেষ্টা চালানোর সময় চিৎকার করলে আসামি তাকে গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন।

 

 

চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খন্দকার মোশতাক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, যেহেতু জনি আমাদের হাসপাতালে অনধিকার চর্চা করে প্রবেশ করে কেবিনে ভর্তিকৃত রোগিকে যৌন হয়রানি করেছে সে কারনে আমরা হাসপাতালের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছি।

 

 

তিনি আরও বলেন, অভিযোগের তদন্তে হাসপাতালের শিশু কনসালটেন্ট ডা. তানজিনা হককে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, হাসপতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শহীদুল আহমেদ নয়ন, ডা. ইকরাম বিন ফারুক ও নার্সিং সুপারভাইজার আয়েশা আক্তার।

 

 

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গিয়াস উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।