নিখোঁজের পর কবিরহাটে প্রজেক্টে মিলল ব্যবসায়ীর মৃতদেহ
- আপডেট সময় : ১২:০২:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২ ৫০৪২ বার পড়া হয়েছে
নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় নিখোঁজের ১৩ ঘন্টা পর মুরগির খামারের পুকুরের কিনার থেকে এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত ব্যবসায়ীর পার্টনার রাকিবকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
নিহত মো. জাহিদ হোসেন (২৭) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের গাংচিল এলাকার আবুল হাসেমের ছেলে।
সোমবার (২৫ জুলাই) সকাল ১১টায় মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, গতকাল রোবার রাত পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের ৯নয় ওয়ার্ডের গুড়া মিয়ার দোকন সংলগ্ন একটি প্রজেক্টের পুকুর থেকে পুলিশ এ মৃতদেহ উদ্ধার করে।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা সূত্রে জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জের গাংচিল এলাকার বাসিন্দা জাহিদ ও কবিরহাট পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাকিব (২৮)। তারা দুইজন ব্যবসায়িক পার্টনার হিসেবে কবিরহাট উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের গুড়া মিয়ার দোকন সংলগ্ন একটি প্রজেক্ট লিজ নিয়ে সেখানে বাণিজ্যিক ভাবে মুরগির খামার গড়ে তুলে। তারা দুইজন সেখানে থেকে যৌথ ভাবে এ খামার পরিচালনা করত। রোববার সকাল ৯টার দিকে রাকিব নাস্তা করে এসে দেখে তার পার্টনার জাহিদ খামারে নেই। এরপর সকাল ১০টার দিকে রাকিব জাহিদের স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানতে চায় তার স্বামী বাড়িতে গেছি কিনা। তখন জাহিদের স্ত্রী জানায় তার স্বামী বাড়িতে আসেনি। তবে স্থানীয়রা বলছে, মৃত্যুটি রহস্যজনক।
ওসি আরো জানায়, পরবর্তীতে ভিকটিমের আত্মীয় স্বজনসহ সবাই খোঁজাখুঁজি শুরু করে তার কোন সন্ধান পায়নি। তখন রাকিব আবার খামার দেখাশুনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রজেক্টের ভিতরে রাস্তা সংলগ্ন পুকুরের কোনায় জাহিদের লাশ পড়ে থাকতে দেখে রাকিব। লাশ দেখে সে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে অবহিত করে। এরপর ইউপি সদস্য পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, লাশের সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন হয়েছে। নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহৃ নেই। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ফেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে এখন পর্যন্ত নিহতের পরিবার এ বিষয়ে মৌখিক বা লিখিত কোন ধরনের অভিযোগ করেনি। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।